আওয়ামী লীগ সরকার শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের শিশু-কিশোররাই হবে ২০৪১ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথপ্রদর্শক। মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জেলা পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসা, কৃষি, ডিজাইন ও ফ্যাশন, অ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বহুমাত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তার সরকার শিশুদের সুরক্ষায় অনেক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে এবং শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। সরকার প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, উপবৃত্তি ও বৃত্তির পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্যও বৃত্তি প্রদান করে।
সরকারের পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৬ সালে তা ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ। তার সরকার দেশে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব এবং কম্পিউটার ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা আইটি শিক্ষা, ডিজিটাল সিস্টেম এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ করছি। প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সন্তানরা পিছিয়ে থাকবে না। আমরা তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সুসজ্জিত করে একটি আধুনিক জাতি হিসেবে গড়ে তুলব। সরকারের এখন ভিশন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম, ১০০তম, ১০১তম, ১০২তম, ১০৩তম ও ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ৩০৪ জন বিজয়ীর মধ্য থেকে সেরা পারফর্মারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।