ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌন হয়রানির দায়ে চাকরিচ্যুত রাবি চিকিৎসক

যৌন হয়রানির দায়ে চাকরিচ্যুত রাবি চিকিৎসক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের উপপ্রধান ডা. রাজু আহমেদ কিশোরীকে যৌন হয়রানি করার দায়ে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩১তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে ডা. রাজুর বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে, গত ৩০ অক্টোবর রাতে নগরীর তালাইমারীর আমেনা ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসাকালে ডা. রাজুর বিরুদ্ধে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। ঘটনাস্থলেই ভুক্তভোগীর মা ও স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। সেদিনই নগরীর বোয়ালিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা)।

এ ঘটনায় ডা. রাজুর স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে ক্যাম্পাসে কয়েকদফা আন্দোলন হয়। পূর্বেও তার কাছে এমন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে গত বছর ৫ নভেম্বর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন ও নিপীড়ন নিরোধ সেল। গত জানুয়ারিতে এ মামলায় জেলেও যান ডা. রাজু।

এদিকে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পান কমিটি। ফলে অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেন তারা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ডা. রাজুকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। প্রতিবেদনের সার্বিক পর্যালোচনা শেষে স্থায়ী বহিষ্কারের পক্ষে মত দেয় এই কমিটি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আটক

যৌন হয়রানির দায়ে চাকরিচ্যুত রাবি চিকিৎসক

আপডেট সময় ০৬:১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের উপপ্রধান ডা. রাজু আহমেদ কিশোরীকে যৌন হয়রানি করার দায়ে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩১তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে ডা. রাজুর বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে, গত ৩০ অক্টোবর রাতে নগরীর তালাইমারীর আমেনা ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসাকালে ডা. রাজুর বিরুদ্ধে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। ঘটনাস্থলেই ভুক্তভোগীর মা ও স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। সেদিনই নগরীর বোয়ালিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা)।

এ ঘটনায় ডা. রাজুর স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে ক্যাম্পাসে কয়েকদফা আন্দোলন হয়। পূর্বেও তার কাছে এমন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে গত বছর ৫ নভেম্বর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন ও নিপীড়ন নিরোধ সেল। গত জানুয়ারিতে এ মামলায় জেলেও যান ডা. রাজু।

এদিকে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পান কমিটি। ফলে অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেন তারা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ডা. রাজুকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। প্রতিবেদনের সার্বিক পর্যালোচনা শেষে স্থায়ী বহিষ্কারের পক্ষে মত দেয় এই কমিটি।