ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের খবরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শিবিরের আনন্দ মিছিল Logo কেরানীগঞ্জে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে “কোরআন দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল চায় এনসিপি Logo বিক্ষোভে উত্তাল তেল আবিব Logo আবারও শাহবাগ ব্লকেড জুলাই মঞ্চের Logo উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের দাবি ‘কুচক্রীমূলক’ দাবি করে বেকার মুক্তি পরিষদের সংবাদ সম্মেলন Logo গাইবান্ধায় আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়াতে তাৎখনিক আনন্দ মিছিল Logo ‘আ.লীগ নিষিদ্ধে আংশিক দাবি পূরণ, বিচার না হলে পূর্ণতা পাবে না’ডা.শফিকুর রহমান Logo ভীতিকর গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে মোদিকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

শক্তিশালী ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। গত শনিবার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর আজ বুধবার সকালে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সর্বশেষ কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে এই অঞ্চলের সব কিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গ্রামগুলোর সামান্যই অবশিষ্ট আছে। ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি হেরাত প্রদেশের রাজধানীর বাইরে প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) এবং ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরে ছিল।

এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে প্রথমে ৬.৩ তীব্রতার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আফগানিস্তানে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫.৫, ৪.৭, ৬.৩ ও ৫.৯ মাত্রার চারটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়। নায়েব রাফিতে একটি গ্রামে আগে প্রায় দুই হাজার ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল। তবে এখন মানুষ বলছে, ভূমিকম্পের সময় বাইরে কাজ করা পুরুষ বাদে আর প্রায় কেউই এখন জীবিত নেই।

জীবিতরা সারা দিন গণকবরের জন্য কবর খনন করছে। জিন্দা জান জেলার একটি মাঠে বুলডোজারের সাহায্যে সারি সারি কবর খনন করা হচ্ছে।
হেরাত শহরের মীর আগা বলেন, ‘বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা এবং এর কয়েক মিনিট পর তাকে আবার মাটির নিচে রেখে আসা খুবই কঠিন।’ স্থানীয়দের সাহায্য করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। গত শনিবারের ভূমিকম্পে ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে দেশটির তালেবান সরকার জানিয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মাত্র একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ভূমিকম্পের পর হেরাতজুড়ে দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। তারা পরবর্তী সময়ে আবার বলেছেন, ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে; কিন্তু হতাহতের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেননি।

জনপ্রিয় সংবাদ

আ.লীগ নিষিদ্ধের খবরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শিবিরের আনন্দ মিছিল

আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আপডেট সময় ০১:৫২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

শক্তিশালী ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। গত শনিবার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর আজ বুধবার সকালে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সর্বশেষ কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে এই অঞ্চলের সব কিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গ্রামগুলোর সামান্যই অবশিষ্ট আছে। ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি হেরাত প্রদেশের রাজধানীর বাইরে প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) এবং ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরে ছিল।

এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে প্রথমে ৬.৩ তীব্রতার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আফগানিস্তানে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫.৫, ৪.৭, ৬.৩ ও ৫.৯ মাত্রার চারটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়। নায়েব রাফিতে একটি গ্রামে আগে প্রায় দুই হাজার ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল। তবে এখন মানুষ বলছে, ভূমিকম্পের সময় বাইরে কাজ করা পুরুষ বাদে আর প্রায় কেউই এখন জীবিত নেই।

জীবিতরা সারা দিন গণকবরের জন্য কবর খনন করছে। জিন্দা জান জেলার একটি মাঠে বুলডোজারের সাহায্যে সারি সারি কবর খনন করা হচ্ছে।
হেরাত শহরের মীর আগা বলেন, ‘বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা এবং এর কয়েক মিনিট পর তাকে আবার মাটির নিচে রেখে আসা খুবই কঠিন।’ স্থানীয়দের সাহায্য করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। গত শনিবারের ভূমিকম্পে ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে দেশটির তালেবান সরকার জানিয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মাত্র একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ভূমিকম্পের পর হেরাতজুড়ে দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। তারা পরবর্তী সময়ে আবার বলেছেন, ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে; কিন্তু হতাহতের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেননি।