ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

শক্তিশালী ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। গত শনিবার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর আজ বুধবার সকালে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সর্বশেষ কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে এই অঞ্চলের সব কিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গ্রামগুলোর সামান্যই অবশিষ্ট আছে। ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি হেরাত প্রদেশের রাজধানীর বাইরে প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) এবং ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরে ছিল।

এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে প্রথমে ৬.৩ তীব্রতার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আফগানিস্তানে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫.৫, ৪.৭, ৬.৩ ও ৫.৯ মাত্রার চারটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়। নায়েব রাফিতে একটি গ্রামে আগে প্রায় দুই হাজার ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল। তবে এখন মানুষ বলছে, ভূমিকম্পের সময় বাইরে কাজ করা পুরুষ বাদে আর প্রায় কেউই এখন জীবিত নেই।

জীবিতরা সারা দিন গণকবরের জন্য কবর খনন করছে। জিন্দা জান জেলার একটি মাঠে বুলডোজারের সাহায্যে সারি সারি কবর খনন করা হচ্ছে।
হেরাত শহরের মীর আগা বলেন, ‘বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা এবং এর কয়েক মিনিট পর তাকে আবার মাটির নিচে রেখে আসা খুবই কঠিন।’ স্থানীয়দের সাহায্য করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। গত শনিবারের ভূমিকম্পে ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে দেশটির তালেবান সরকার জানিয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মাত্র একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ভূমিকম্পের পর হেরাতজুড়ে দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। তারা পরবর্তী সময়ে আবার বলেছেন, ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে; কিন্তু হতাহতের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেননি।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আপডেট সময় ০১:৫২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

শক্তিশালী ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। গত শনিবার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর আজ বুধবার সকালে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সর্বশেষ কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে এই অঞ্চলের সব কিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গ্রামগুলোর সামান্যই অবশিষ্ট আছে। ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি হেরাত প্রদেশের রাজধানীর বাইরে প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) এবং ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরে ছিল।

এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে প্রথমে ৬.৩ তীব্রতার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আফগানিস্তানে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫.৫, ৪.৭, ৬.৩ ও ৫.৯ মাত্রার চারটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়। নায়েব রাফিতে একটি গ্রামে আগে প্রায় দুই হাজার ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল। তবে এখন মানুষ বলছে, ভূমিকম্পের সময় বাইরে কাজ করা পুরুষ বাদে আর প্রায় কেউই এখন জীবিত নেই।

জীবিতরা সারা দিন গণকবরের জন্য কবর খনন করছে। জিন্দা জান জেলার একটি মাঠে বুলডোজারের সাহায্যে সারি সারি কবর খনন করা হচ্ছে।
হেরাত শহরের মীর আগা বলেন, ‘বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা এবং এর কয়েক মিনিট পর তাকে আবার মাটির নিচে রেখে আসা খুবই কঠিন।’ স্থানীয়দের সাহায্য করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। গত শনিবারের ভূমিকম্পে ২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে দেশটির তালেবান সরকার জানিয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মাত্র একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ভূমিকম্পের পর হেরাতজুড়ে দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। তারা পরবর্তী সময়ে আবার বলেছেন, ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে; কিন্তু হতাহতের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেননি।