২০১১ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে না ভারত। সমর্থকেরাও নিয়মিত উত্তাপ ছড়ানো জমজমাট লড়াইয়ের আমেজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আইসিসির বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটিকে মুখোমুখি হতে দেখা যায় না।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান আছে একই গ্রুপে। আগামী ৯ জুন নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের খেলায় মুখোমুখি হবে দুদল। এটি কেবল ২ পয়েন্টের ম্যাচ হলেও দুই দলের কাছে এটি মর্যাদার লড়াই।
এমনকি বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে জয়কেই এগিয়ে রাখেন অনেকে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাবর আজম-রিজওয়ানদের এমনটাই বলেছিলেন তৎকালীন পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা।
ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের কয়েকদিন আগ থেকেই কথার লড়াই শুরু হয়। ম্যাচের কয়েকদিন পরও যার রেশ চলতে থাকে। তর্ক-বিতর্কে দুই পক্ষই সমানে সমান লড়লেও মাঠের খেলায় পাল্লাটা ভারতের দিকেই ভারী। আইসিসির বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ২০ বার মুখোমুখি হয়েছে দুদল। এরমধ্যে পাকিস্তান জিতেছে কেবল চারবার, যার তিনটিই এসেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি ১৫ বারের দেখায় এখন পর্যন্ত মাত্র একবারই ভারতকে হারাতে পেরেছে পাকিস্তান। ২০২১ বিশ্বকাপে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচে ভারতের ১৫১ রান টপকাতে ১৭.৫ ওভার লাগে বাবর রিজওয়ানদের। সেটাও কোনো উইকেট না হারিয়ে। ওই ম্যাচের আগে তৎকালীন পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা রিজওয়ানদের বলেছিলেন, বিশ্বকাপ না জিতলেও হবে, কিন্তু ভারতের বিপক্ষে হারা যাবে না।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের প্রভাব কতটা, এটি উঠে এসেছে রিজওয়ানের কথায়। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই বাড়তি চাপ তৈরি করে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের নজর থাকে এ ম্যাচের দিকে। আমরা ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে যখন হারালাম, (বিশ্বকাপ শেষে) পাকিস্তানে ফেরার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি এটার মূল্য কতটা। আমরা যখন কেনাকাটা করতে যেতাম, মানুষজন আমাদের কাছ থেকে টাকা নিত না।’
রিজওয়ান যোগ করেন, ‘রমিজ রাজা আমাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন, আমাদের ভারতকে হারাতেই হবে। ম্যাচের সময় ঘনিয়ে আসছিল, তিনি (রমিজ) আমাদের বলেছিলেন, “বিশ্বকাপ জেতা না জেতায় কিচ্ছু আসে যায় না, কেবল ভারতের বিপক্ষে হারা চলবে না।”’