ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্যে’র ডাক বিএনপির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪ কর্মসূচিতে না নামায় ভেঙে দেওয়া হলো আ. লীগের ২৭ ইউনিট কমিটি ‘ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ কক্ষ সংস্কারের পর চালু করা হবে শিক্ষা কার্যক্রম’ প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: ওবায়দুল কাদের আন্দোলনে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ও আসিফকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী ভিসা বন্ধ নিয়ে কিছুই জানায়নি আমিরাত: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

সরকার খালেদাকে জীবিত দেখতে চায় না: ফখরুল

সরকার খালেদাকে জীবিত দেখতে চায় না: ফখরুল

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চায় না। তবে প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের কোনো ক্ষতি করা হলে সরকার তীব্র গণরোষের শিকার হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।

বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল বলেন, গত ৯ অক্টোবর বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনা করে যেসব বিষয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তার অন্যতম হলো- বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে তার চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে দেশবাসীর মতোই বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সদস্য, সমর্থকরা উদ্বিগ্ন। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তার জীবন রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে তার সুচিকিৎসা সম্ভব এমন কোনো দেশে যাওয়ার পথে আরোপিত অমানবিক বাধা দূর করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি দেশনেত্রীর দ্রুত সুচিকিৎসার বিষয়ে দারুণ উৎকণ্ঠার পাশাপাশি তার দণ্ড স্থগিতের শর্ত, বয়স এবং অসুস্থতা নিয়ে সরকারপ্রধান ও মন্ত্রীদের অশোভন, নিষ্ঠুর ও অমানবিক বক্তব্য এবং প্রচলিত আইনের অযৌক্তিক ও ভ্রান্ত ব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণের অসুস্থ প্রয়াসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

ফখরুল বলেন, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, স্রেফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য যেমন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে তার ক্যান্টনমেন্টের বাসভবন থেকে উৎখাত করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে বিনা অপরাধে ফরমায়েশি রায়ে তাকে পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠিয়ে বিনা চিকিৎসা এবং ইচ্ছাকৃত ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চায় না।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, যে সরকার দেশনেত্রীর মৃত্যু চায় সেই সরকার তার সুচিৎসায় অন্যায়ভাবে বাধা দেবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু দেশবাসীর কাছে সরকারের এই মনোভাব ও আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।

আর তাই গণমানুষের প্রিয় নেত্রীকে প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে তার কোনো ক্ষতি করা হলে সরকার অবশ্যই তীব্র গণরোষের শিকার হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব দলের নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে গভীর রাতে নিজ বাসা থেকে আটকের নিন্দা জানান। তাকে সরকার ডাকাতের মতো দরজা ভেঙে আটক করেছে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের আগে সরকার বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের পরিকল্পিতভাবে কারাগারে ভরছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির

সরকার খালেদাকে জীবিত দেখতে চায় না: ফখরুল

আপডেট সময় ০১:৩১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চায় না। তবে প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের কোনো ক্ষতি করা হলে সরকার তীব্র গণরোষের শিকার হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।

বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল বলেন, গত ৯ অক্টোবর বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনা করে যেসব বিষয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তার অন্যতম হলো- বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে তার চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে দেশবাসীর মতোই বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সদস্য, সমর্থকরা উদ্বিগ্ন। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তার জীবন রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে তার সুচিকিৎসা সম্ভব এমন কোনো দেশে যাওয়ার পথে আরোপিত অমানবিক বাধা দূর করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি দেশনেত্রীর দ্রুত সুচিকিৎসার বিষয়ে দারুণ উৎকণ্ঠার পাশাপাশি তার দণ্ড স্থগিতের শর্ত, বয়স এবং অসুস্থতা নিয়ে সরকারপ্রধান ও মন্ত্রীদের অশোভন, নিষ্ঠুর ও অমানবিক বক্তব্য এবং প্রচলিত আইনের অযৌক্তিক ও ভ্রান্ত ব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণের অসুস্থ প্রয়াসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

ফখরুল বলেন, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, স্রেফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য যেমন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে তার ক্যান্টনমেন্টের বাসভবন থেকে উৎখাত করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে বিনা অপরাধে ফরমায়েশি রায়ে তাকে পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠিয়ে বিনা চিকিৎসা এবং ইচ্ছাকৃত ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চায় না।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, যে সরকার দেশনেত্রীর মৃত্যু চায় সেই সরকার তার সুচিৎসায় অন্যায়ভাবে বাধা দেবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু দেশবাসীর কাছে সরকারের এই মনোভাব ও আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।

আর তাই গণমানুষের প্রিয় নেত্রীকে প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে তার কোনো ক্ষতি করা হলে সরকার অবশ্যই তীব্র গণরোষের শিকার হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব দলের নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে গভীর রাতে নিজ বাসা থেকে আটকের নিন্দা জানান। তাকে সরকার ডাকাতের মতো দরজা ভেঙে আটক করেছে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের আগে সরকার বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের পরিকল্পিতভাবে কারাগারে ভরছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।