ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে বন্যার শঙ্কা, বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

সিলেটে বন্যার শঙ্কা, বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা দুই দিন টানা ঝড়বৃষ্টির পর আজ বুধবারও সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বড় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত নদ-নদীর পানি জেলার তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টার রেকর্ড অনুয়ায়ী সেটি এখন পাঁচ পয়েন্ট দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিলেটের তিনটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়েছে। সিলেটে তিনটি পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরো দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি পানির প্রবাহ। ফলে সিলেটজুড়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্য মতে, সিলেট জেলার পাঁচ পয়েন্টে নদীর পানি বিদৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টার তথ্য অনুযায়ী, জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫.০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.২ সেন্টিমিটার, জৈন্তাপুর উপজেলায় সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ০.৮১ সেন্টিমিটার, জাফলংয়ে ডাউকি নদীর পানি বিপৎসীমার ৩.২৭ সেন্টিমিটার এবং গোয়াইনঘাটে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।’ তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই পানি আরেকটু বৃদ্ধি পাবে। তারপর নেমে যাবে। তবে আমাদেরকে প্রাক-বর্ষাকাল ও বর্ষাকালে সব সময় বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

আমরা বন্যার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং নিম্নাঞ্চলের জনসাধারণকে গবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পানি বাড়ছে। পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

সিলেটে বন্যার শঙ্কা, বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

আপডেট সময় ১০:৫২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা দুই দিন টানা ঝড়বৃষ্টির পর আজ বুধবারও সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বড় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত নদ-নদীর পানি জেলার তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টার রেকর্ড অনুয়ায়ী সেটি এখন পাঁচ পয়েন্ট দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিলেটের তিনটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়েছে। সিলেটে তিনটি পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরো দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি পানির প্রবাহ। ফলে সিলেটজুড়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্য মতে, সিলেট জেলার পাঁচ পয়েন্টে নদীর পানি বিদৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টার তথ্য অনুযায়ী, জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫.০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.২ সেন্টিমিটার, জৈন্তাপুর উপজেলায় সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ০.৮১ সেন্টিমিটার, জাফলংয়ে ডাউকি নদীর পানি বিপৎসীমার ৩.২৭ সেন্টিমিটার এবং গোয়াইনঘাটে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।’ তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই পানি আরেকটু বৃদ্ধি পাবে। তারপর নেমে যাবে। তবে আমাদেরকে প্রাক-বর্ষাকাল ও বর্ষাকালে সব সময় বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

আমরা বন্যার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং নিম্নাঞ্চলের জনসাধারণকে গবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পানি বাড়ছে। পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম।