ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দল-প্রার্থীর ব্যয় বিবরণী প্রকাশ না করে আইন অমান্য করেছে ইসি: টিআইবি

দল-প্রার্থীর ব্যয় বিবরণী প্রকাশ না করে আইন অমান্য করেছে ইসি: টিআইবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পাঁচ মাস পার হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং দলগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের বিবরণী প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও দলের ব্যয়ের বিবরণী জমা প্রদান না করাসহ এসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে ব্যর্থতায় হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ বুধবার (২৯ মে) এক বিবৃতিতে এসব জানায় টিআইবি। সংস্থাটি মনে করে, এই গোপনীয়তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন অমান্য করেছে।

অন্যদিকে, যে সকল প্রার্থী ও দল যথাসময়ে তথ্য জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কমিশন গ্রহণ করেছে-এমন তথ্য নেই, যা একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রত্যাশিত নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে (https://ti-bangladesh.org/articles/research/6895) প্রকাশ করে অবিলম্বে নির্বাচনীয় ব্যয়সংক্রান্ত সকল তথ্য উন্মুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (৪৪গ) ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা বাধ্যতামূলক। দাখিলে ব্যর্থ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সে হিসেবে প্রার্থীদের ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৭ এপ্রিল ২০২৪। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ প্রার্থীই এবং রাজনৈতিক দল ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসে জমা প্রদান করেনি।

নির্বাচন কমিশনও তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ প্রার্থী ও দলের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। নির্বাচনী ব্যয়সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ ও প্রকাশে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয়সংক্রান্ত আইনি বাধ্যবাধকতাকে প্রার্থী-দল এমনকি নির্বাচন কমিশনও রীতিমতো উপেক্ষা করেছে। নির্ধারিত সময়ে ব্যয় বিবরণী জমা দিতে প্রার্থী এবং দলসমূহ অনীহা দেখিয়েছে, আবার সময়সীমা পার হলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইনানুগ কোনো প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচনী আইন মেনে চলতে ব্যর্থ প্রার্থী ও দলসমূহের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ফলে একদিকে যেমন কমিশনের নির্বাচনী আইনকে উপেক্ষা করার দৃষ্টান্ত যেমন হতাশাজনক, অন্যদিকে এই নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে কমিশন বাস্তবে প্রার্থী ও দলসমূহকে আইনের লঙ্ঘনে আরো বেশি উৎসাহিত করেছে, যা নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বিব্রতকর।

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন

দল-প্রার্থীর ব্যয় বিবরণী প্রকাশ না করে আইন অমান্য করেছে ইসি: টিআইবি

আপডেট সময় ১০:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পাঁচ মাস পার হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং দলগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের বিবরণী প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও দলের ব্যয়ের বিবরণী জমা প্রদান না করাসহ এসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে ব্যর্থতায় হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ বুধবার (২৯ মে) এক বিবৃতিতে এসব জানায় টিআইবি। সংস্থাটি মনে করে, এই গোপনীয়তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন অমান্য করেছে।

অন্যদিকে, যে সকল প্রার্থী ও দল যথাসময়ে তথ্য জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কমিশন গ্রহণ করেছে-এমন তথ্য নেই, যা একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রত্যাশিত নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে (https://ti-bangladesh.org/articles/research/6895) প্রকাশ করে অবিলম্বে নির্বাচনীয় ব্যয়সংক্রান্ত সকল তথ্য উন্মুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (৪৪গ) ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা বাধ্যতামূলক। দাখিলে ব্যর্থ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সে হিসেবে প্রার্থীদের ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৭ এপ্রিল ২০২৪। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ প্রার্থীই এবং রাজনৈতিক দল ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসে জমা প্রদান করেনি।

নির্বাচন কমিশনও তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ প্রার্থী ও দলের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। নির্বাচনী ব্যয়সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ ও প্রকাশে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয়সংক্রান্ত আইনি বাধ্যবাধকতাকে প্রার্থী-দল এমনকি নির্বাচন কমিশনও রীতিমতো উপেক্ষা করেছে। নির্ধারিত সময়ে ব্যয় বিবরণী জমা দিতে প্রার্থী এবং দলসমূহ অনীহা দেখিয়েছে, আবার সময়সীমা পার হলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইনানুগ কোনো প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচনী আইন মেনে চলতে ব্যর্থ প্রার্থী ও দলসমূহের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ফলে একদিকে যেমন কমিশনের নির্বাচনী আইনকে উপেক্ষা করার দৃষ্টান্ত যেমন হতাশাজনক, অন্যদিকে এই নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে কমিশন বাস্তবে প্রার্থী ও দলসমূহকে আইনের লঙ্ঘনে আরো বেশি উৎসাহিত করেছে, যা নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বিব্রতকর।