ঢাকা ০১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, “দুনিয়াতে সকল বিপদ-মুসিবত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আবার আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাতেই বিপদ কেটে যায়। এর মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে পরীক্ষা করে থাকেন। তাই আমাদের উচিত বিপদে-মুসিবতে মহান আল্লাহর কাছেই ফিরে যাওয়া। তার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করা। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দেশের দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দুর্গত এ বিশাল এলাকাকার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে ক্ষতি পূরণ করা একক কোনো সংগঠন বা ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। এ কঠিন পরিস্থিতিতে মূলত প্রধান দায়িত্ব সরকারের ওপরেই বর্তায়। ছাত্রশিবির আপনাদের কষ্টে সমব্যথি হয়ে আপনাদের সাথে ভালোবাসা বিনিময় করতে এসেছে। একটা ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির প্রধানত ছাত্রদের নিয়ে কাজ করে থাকে। এর পাশাপাশি দেশের যেকোনো ক্লান্তিলগ্নে সাধ্যের আলোকে সর্বোচ্চ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। এবং এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।”

বুধবার (২৯ মে) সাতক্ষীরার ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান শিবির সভাপতি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে উপহারসামগ্রী প্রদানকালে এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক উসামা রাইয়ান ও ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর ও জেলা সভাপতিবৃন্দ।

কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, “বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চরম দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে অবকাঠামোগত কিছু উন্নয়ন হলেও মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়নি। অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের নামে দেশের অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। এসব ব্যাপারেও আমাদের সকলকে সজাগ হতে হবে।”

সরকারের উচিত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তিনি দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবানদের বিপন্ন এ মানুষগুলোর সাহায্যে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় টিম উপকূলীয় অঞ্চল সুন্দরবনসংলগ্ন রমজাননগর ইউনিয়নের গোলাখালী গ্রামে ত্রাণসামগ্রী প্রদান করেন এবং কৈখালী ইউনিয়নের ভেটখালী গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দুর্গত মানুষের খোঁজখবর নেন।

বৃষ্টিতে ভিজে পেনশনস্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শিক্ষকদের

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে শিবির সভাপতি

আপডেট সময় ০৭:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, “দুনিয়াতে সকল বিপদ-মুসিবত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আবার আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাতেই বিপদ কেটে যায়। এর মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে পরীক্ষা করে থাকেন। তাই আমাদের উচিত বিপদে-মুসিবতে মহান আল্লাহর কাছেই ফিরে যাওয়া। তার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করা। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দেশের দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দুর্গত এ বিশাল এলাকাকার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে ক্ষতি পূরণ করা একক কোনো সংগঠন বা ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। এ কঠিন পরিস্থিতিতে মূলত প্রধান দায়িত্ব সরকারের ওপরেই বর্তায়। ছাত্রশিবির আপনাদের কষ্টে সমব্যথি হয়ে আপনাদের সাথে ভালোবাসা বিনিময় করতে এসেছে। একটা ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির প্রধানত ছাত্রদের নিয়ে কাজ করে থাকে। এর পাশাপাশি দেশের যেকোনো ক্লান্তিলগ্নে সাধ্যের আলোকে সর্বোচ্চ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। এবং এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।”

বুধবার (২৯ মে) সাতক্ষীরার ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান শিবির সভাপতি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে উপহারসামগ্রী প্রদানকালে এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক উসামা রাইয়ান ও ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর ও জেলা সভাপতিবৃন্দ।

কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, “বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চরম দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার কারণে দেশে অবকাঠামোগত কিছু উন্নয়ন হলেও মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়নি। অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের নামে দেশের অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। এসব ব্যাপারেও আমাদের সকলকে সজাগ হতে হবে।”

সরকারের উচিত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তিনি দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবানদের বিপন্ন এ মানুষগুলোর সাহায্যে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় টিম উপকূলীয় অঞ্চল সুন্দরবনসংলগ্ন রমজাননগর ইউনিয়নের গোলাখালী গ্রামে ত্রাণসামগ্রী প্রদান করেন এবং কৈখালী ইউনিয়নের ভেটখালী গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দুর্গত মানুষের খোঁজখবর নেন।