ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া হত্যাকাণ্ডের ৬ দিনের মাথায় ভগিরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মেহেরপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে নিজবাড়ি ফেরার পথে ভগিরথপুর ওবায়দুল্লা টেক্সটাইলের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করছে পুলিশ।

এদিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর বিরুদ্ধে। নিহতের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ অলিউল্লাহ এমন অভিযোগ করেছেন।

নিহত মাহাবুবুল হাসান মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভগিরথপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন- সাইদ হাসান পাপ্পু ও ফরহাদ।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, স্থানীয় রাজনীতি ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাহাবুবুল হাসানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও মামলা পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ৮ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি মেহেরপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং শেষে নিজবাড়ি ফিরছিলেন। চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গে কয়েকজন সমর্থক হেঁটে ভগিরথপুর নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর পরিচালনাধীন ওবায়দুল্লা টেক্সটাইলের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। পরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাহাবুবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে কোপাতে থাকে। এতে তার মাথা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত মাহাবুবুলের সঙ্গে থাকা সমর্থক রবিন বলেন, ‘ভাইয়ের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলাম। সামনে একটা বালুর ট্রাক ছিল। ট্রাকের চিপা থেকে নুরু, সেন্টু, আতাউর, রাসেল, ফাহিম, ইমরান, নয়নসহ ১০-১২ জন বের হয়। তারা এসে প্রথমে গুলি ও ককটেল মারে। তখন আমরা দৌড়ে দূরে সরে যাই। পরে দেখি তারা ভাইরে কুপাইতাছে। ওই সময় পাপ্পু ভাইও গুলি খাইছে।’

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) মাহামুদুল কবির বাশার কমল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুলের ঘাড়ের পেছনে বড় ধরনের কাটা ক্ষত ছিল। তার কানের একটা অংশও কেটে গেছে। হাসপাতালে আনার পর আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার সঙ্গে আরও ১ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তাকে আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছি।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভির আহাম্মেদ জানান, তৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়েছি মেহেরপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। দুই জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন

নরসিংদীতে আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ০১:১৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

নরসিংদীতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া হত্যাকাণ্ডের ৬ দিনের মাথায় ভগিরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মেহেরপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে নিজবাড়ি ফেরার পথে ভগিরথপুর ওবায়দুল্লা টেক্সটাইলের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করছে পুলিশ।

এদিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর বিরুদ্ধে। নিহতের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ অলিউল্লাহ এমন অভিযোগ করেছেন।

নিহত মাহাবুবুল হাসান মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভগিরথপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন- সাইদ হাসান পাপ্পু ও ফরহাদ।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, স্থানীয় রাজনীতি ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাহাবুবুল হাসানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও মামলা পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ৮ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি মেহেরপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং শেষে নিজবাড়ি ফিরছিলেন। চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গে কয়েকজন সমর্থক হেঁটে ভগিরথপুর নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর পরিচালনাধীন ওবায়দুল্লা টেক্সটাইলের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। পরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাহাবুবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে কোপাতে থাকে। এতে তার মাথা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত মাহাবুবুলের সঙ্গে থাকা সমর্থক রবিন বলেন, ‘ভাইয়ের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলাম। সামনে একটা বালুর ট্রাক ছিল। ট্রাকের চিপা থেকে নুরু, সেন্টু, আতাউর, রাসেল, ফাহিম, ইমরান, নয়নসহ ১০-১২ জন বের হয়। তারা এসে প্রথমে গুলি ও ককটেল মারে। তখন আমরা দৌড়ে দূরে সরে যাই। পরে দেখি তারা ভাইরে কুপাইতাছে। ওই সময় পাপ্পু ভাইও গুলি খাইছে।’

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) মাহামুদুল কবির বাশার কমল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুলের ঘাড়ের পেছনে বড় ধরনের কাটা ক্ষত ছিল। তার কানের একটা অংশও কেটে গেছে। হাসপাতালে আনার পর আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার সঙ্গে আরও ১ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তাকে আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছি।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভির আহাম্মেদ জানান, তৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়েছি মেহেরপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। দুই জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।