ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাফ নদীতে আরাকান আর্মির গুলিতে আহত ২ জেলে Logo ঈদে ২০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বাস মালিকদের Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি সচিব Logo অবশেষে চলতি মাসেই ব্রাজিলের দায়িত্ব নিচ্ছেন আনচেলত্তি Logo এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ, দ্রুত বিচার দাবি Logo লক্ষ্মীপুরে ১২ দেশের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আটক ২ Logo “মুন্সীগঞ্জ ছাত্র আন্দোলন হত্যাকাণ্ড সহ ১৪ মামলার আসামী চাক্কু মিলন গ্রেফতার” Logo পাবনায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবি এবং আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস বয়কটের ডাক Logo রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর Logo র‍্যাব পুনর্গঠনে কমিটি গঠন করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইংলিশদের বোলিং তোপে ১৩৭ রানের বড় হার টাইগারদের

ইংলিশদের বোলিং তোপে ১৩৭ রানের বড় হার টাইগারদের

এই ভয়টাই ছিল ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষে। এমনিতে ব্যাটিংয়ে ভালো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। গত কয়েকটি ম্যাচে ৫০ ওভার ঠিকঠাক খেলতেও খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তার ওপর ইংল্যান্ডের ৩৬৫ রানের লক্ষ্য।

লড়াইও জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুতে বিপর্যয়, মাঝে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা, এরপর আবার ভেঙে পড়া―এই হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সারমর্ম। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৭ রানে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার ছিল, তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন ব্যাটাররা। ৮.৩ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হাওয়া। একে একে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম তিনজনই রিস টপলির শিকার।

পরে তিনি উইকেট নিয়েছেন আরো একটি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একাদশ থেকে মঈন আলীকে বসিয়ে এই ম্যাচে টপলিকে সুযোগ দেওয়া হয়। কেন তাঁকে জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেটা কী দারুণভাবেই না প্রমাণ করেছেন টপলি। টপলির ঝড় শেষে মাঝে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সেটা ওই সামাল দেওয়া পর্যন্তই ছিল।

দুজনের ৭০ রানের জুটি ভেঙেছে লিটনের বিদায়ে। ৭৬ রান করেছেন তিনি। ৬৬ বলের ইনিংসে সাত চার ও দুই ছক্কার মার রয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। লিটন-মুশফিকের পর জুটি অবশ্য আরো একটি হয়েছে। তবে মুশফিক-তাওহিদ হৃদয়ের সেই জুটি যতটা না ম্যাচ জয়ের জন্য ছিল, তার চেয়ে বেশি হারের ব্যবধান কমানোর জন্যই মনে হয়েছে। দুজনের জুটি থেকে এসেছে ৪৩ রান।
ফিফটির পর টপলিকে আপার কাট করতে গিয়ে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক। ৬৪ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি। এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশের ইনিংস আর এগোয়নি। বলার মতো স্কোর বলতে হৃদয়ের ৩৯ রানই। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়েছে ২২৭ রানে। শেষ ১০ ওভারে বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানোও জাগাতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটারদের। ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একটা সময় ৪০০ রানের স্কোর যথেষ্ট সম্ভব মনে হচ্ছিল। সেটা হতে দেননি শরীফুল ইসলাম-শেখ মেহেদী হাসানরা। শেষ ১০ ওভারে তাঁরা দিয়েছেন মাত্র ৬৬ রান। তাতে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৩৬৪ রানে। ইংলিশদের পাহাড়সম স্কোরের বড় অবদান ডেভিড মালানের ১৪০, জো রুটের ৮২ ও জনি বেয়ারস্টোর ৫২ রানের তিনটি ইনিংস। যে অপূর্ণতা ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। বাংলাদেশের ইংলিশ-পরীক্ষা তাই শেষ হলো বড় হারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নাফ নদীতে আরাকান আর্মির গুলিতে আহত ২ জেলে

ইংলিশদের বোলিং তোপে ১৩৭ রানের বড় হার টাইগারদের

আপডেট সময় ০৭:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

এই ভয়টাই ছিল ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষে। এমনিতে ব্যাটিংয়ে ভালো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। গত কয়েকটি ম্যাচে ৫০ ওভার ঠিকঠাক খেলতেও খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তার ওপর ইংল্যান্ডের ৩৬৫ রানের লক্ষ্য।

লড়াইও জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুতে বিপর্যয়, মাঝে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা, এরপর আবার ভেঙে পড়া―এই হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সারমর্ম। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৭ রানে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার ছিল, তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন ব্যাটাররা। ৮.৩ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হাওয়া। একে একে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম তিনজনই রিস টপলির শিকার।

পরে তিনি উইকেট নিয়েছেন আরো একটি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একাদশ থেকে মঈন আলীকে বসিয়ে এই ম্যাচে টপলিকে সুযোগ দেওয়া হয়। কেন তাঁকে জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেটা কী দারুণভাবেই না প্রমাণ করেছেন টপলি। টপলির ঝড় শেষে মাঝে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সেটা ওই সামাল দেওয়া পর্যন্তই ছিল।

দুজনের ৭০ রানের জুটি ভেঙেছে লিটনের বিদায়ে। ৭৬ রান করেছেন তিনি। ৬৬ বলের ইনিংসে সাত চার ও দুই ছক্কার মার রয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। লিটন-মুশফিকের পর জুটি অবশ্য আরো একটি হয়েছে। তবে মুশফিক-তাওহিদ হৃদয়ের সেই জুটি যতটা না ম্যাচ জয়ের জন্য ছিল, তার চেয়ে বেশি হারের ব্যবধান কমানোর জন্যই মনে হয়েছে। দুজনের জুটি থেকে এসেছে ৪৩ রান।
ফিফটির পর টপলিকে আপার কাট করতে গিয়ে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক। ৬৪ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি। এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশের ইনিংস আর এগোয়নি। বলার মতো স্কোর বলতে হৃদয়ের ৩৯ রানই। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়েছে ২২৭ রানে। শেষ ১০ ওভারে বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানোও জাগাতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটারদের। ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একটা সময় ৪০০ রানের স্কোর যথেষ্ট সম্ভব মনে হচ্ছিল। সেটা হতে দেননি শরীফুল ইসলাম-শেখ মেহেদী হাসানরা। শেষ ১০ ওভারে তাঁরা দিয়েছেন মাত্র ৬৬ রান। তাতে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৩৬৪ রানে। ইংলিশদের পাহাড়সম স্কোরের বড় অবদান ডেভিড মালানের ১৪০, জো রুটের ৮২ ও জনি বেয়ারস্টোর ৫২ রানের তিনটি ইনিংস। যে অপূর্ণতা ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। বাংলাদেশের ইংলিশ-পরীক্ষা তাই শেষ হলো বড় হারে।