ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ব্লাড ডোনার লিস্ট Logo বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি রক্তের জন্য ছাত্রশিবিরের হেল্পলাইন চালু Logo প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত : ছাত্রদলের জরুরি মেডিকেল টিম গঠন Logo মানুষের পাশে দাঁড়ান, প্রচুর রক্ত লাগবে : সিবগাতুল্লাহ Logo উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে পাইলট বেঁচে আছেন, পালস পেয়েছেন চিকিৎসকরা Logo উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : নারী-শিশুসহ দগ্ধ প্রায় ৩০ জন জাতীয় বার্ন ইউনিটে Logo বিমানবিধ্বস্ত উদ্ধারে কাজে জামায়তের কর্মীদের র্নিদেশ Logo বিমানবিধ্বস্ত উদ্ধারে কাজে অংশ গ্রহণ করতে জামায়তের কর্মীদের র্নিদেশ Logo উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি  Logo উত্তরা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিট

এমপি আনারের মরদেহের টুকরো পাবলিক টয়লেটে নিয়ে হস্তান্তর করা হয়

কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে পাবলিক টয়লেট থেকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন কলকাতায় তদন্তে থাকা বাংলাদেশের ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।

সোমবার (২৭ মে) দিনভর তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এদিন এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে যে পাবলিক টয়লেটে হস্তান্তর করা হয় সে জায়গাটিও পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের ডিবি প্রধান।

তিনি বলেন, যে পাবলিক টয়লেট, যে জায়গাটাতে তারা মরদেহটিকে বিভিন্ন টুকরো করে হস্তান্তর করেছিল সে জায়গাটা আজকেও পরিদর্শন করেছি। আমরা তদন্তের স্বার্থে সম্ভাব্য প্রতিটি জায়গা পরিদর্শন করেছি। কলকাতা পুলিশ যে ঘাতককে গ্রেফতার করেছে, তাকে নিয়ে আমরা আজও পুরো ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলাম ও প্রতিটি জায়গায় কোথায় কী করেছে, সবটাই আমরা পাই টু পাই তার কাছ থেকে শুনেছি।

সোমবার সকালের দিকে টিআই প্যারেড করানোর জন্য নিউ টাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনে আনা হয় গ্রেফতার আসামি জিহাদকে। ১৩ মে এই সঞ্জীবা গার্ডেনের ‘বিইউ-৫৬’ ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।

ফ্ল্যাটের যে ঘরটি এমপিকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে যান বাংলাদেশের ডিবি প্রধান। সঙ্গে ছিলেন ভারতের সিআইডি কর্মকর্তারা ও নিউ টাউন থানার পুলিশ। জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করেন তারা।

হারুন অর রশিদ জানান, জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে যে এমপি আনারের লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খাল ও তার আশেপাশের এলাকায়। সোমবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব থাকলেও জিহাদকে নিয়ে সেই বাগজোলা খাল পরিদর্শনে যান তিনি।

সঞ্জীবা গার্ডেনের নিস্তব্ধতা দেখে হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের প্রাণবন্ত সংসদ সদস্য আনারকে হত্যা করে তার লাশটাকে টুকরো টুকরো করে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা মাফিক গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অপরাধীরা ঘটনাকে ভিন্ন ধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। যে আলিশান বাড়িতে এমপিকে হত্যা করা হয়েছে; আমাদের মনে হয়, এখনো সেখানে ঘাতকদের অট্টহাসি শুনতে পাচ্ছি, এমপির কান্না শুনতে পাচ্ছি।

একজন সংসদ সদস্য এখানে এলেন, আর তার নিজ দেশেরই কিছু মদতদাতা পাশবিক কায়দায় অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে ফেললো। এমনকি, মরদেহটি যাতে খুঁজে না পাওয়া যায়, তার জন্য টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হত্যায় কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে হারুন অর রশিদ জানান, এসব বিষয় নিয়ে কাজ চলছে, আমরা পরে জানিয়ে দেবো। তদন্তের স্বার্থে এখন আর কিছু বলতে পারছি না।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম। নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্লাড ডোনার লিস্ট

এমপি আনারের মরদেহের টুকরো পাবলিক টয়লেটে নিয়ে হস্তান্তর করা হয়

আপডেট সময় ১২:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে পাবলিক টয়লেট থেকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন কলকাতায় তদন্তে থাকা বাংলাদেশের ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।

সোমবার (২৭ মে) দিনভর তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এদিন এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে যে পাবলিক টয়লেটে হস্তান্তর করা হয় সে জায়গাটিও পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের ডিবি প্রধান।

তিনি বলেন, যে পাবলিক টয়লেট, যে জায়গাটাতে তারা মরদেহটিকে বিভিন্ন টুকরো করে হস্তান্তর করেছিল সে জায়গাটা আজকেও পরিদর্শন করেছি। আমরা তদন্তের স্বার্থে সম্ভাব্য প্রতিটি জায়গা পরিদর্শন করেছি। কলকাতা পুলিশ যে ঘাতককে গ্রেফতার করেছে, তাকে নিয়ে আমরা আজও পুরো ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলাম ও প্রতিটি জায়গায় কোথায় কী করেছে, সবটাই আমরা পাই টু পাই তার কাছ থেকে শুনেছি।

সোমবার সকালের দিকে টিআই প্যারেড করানোর জন্য নিউ টাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনে আনা হয় গ্রেফতার আসামি জিহাদকে। ১৩ মে এই সঞ্জীবা গার্ডেনের ‘বিইউ-৫৬’ ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।

ফ্ল্যাটের যে ঘরটি এমপিকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে যান বাংলাদেশের ডিবি প্রধান। সঙ্গে ছিলেন ভারতের সিআইডি কর্মকর্তারা ও নিউ টাউন থানার পুলিশ। জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করেন তারা।

হারুন অর রশিদ জানান, জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে যে এমপি আনারের লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি বাগজোলা খাল ও তার আশেপাশের এলাকায়। সোমবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব থাকলেও জিহাদকে নিয়ে সেই বাগজোলা খাল পরিদর্শনে যান তিনি।

সঞ্জীবা গার্ডেনের নিস্তব্ধতা দেখে হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের প্রাণবন্ত সংসদ সদস্য আনারকে হত্যা করে তার লাশটাকে টুকরো টুকরো করে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা মাফিক গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অপরাধীরা ঘটনাকে ভিন্ন ধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। যে আলিশান বাড়িতে এমপিকে হত্যা করা হয়েছে; আমাদের মনে হয়, এখনো সেখানে ঘাতকদের অট্টহাসি শুনতে পাচ্ছি, এমপির কান্না শুনতে পাচ্ছি।

একজন সংসদ সদস্য এখানে এলেন, আর তার নিজ দেশেরই কিছু মদতদাতা পাশবিক কায়দায় অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে ফেললো। এমনকি, মরদেহটি যাতে খুঁজে না পাওয়া যায়, তার জন্য টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হত্যায় কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে হারুন অর রশিদ জানান, এসব বিষয় নিয়ে কাজ চলছে, আমরা পরে জানিয়ে দেবো। তদন্তের স্বার্থে এখন আর কিছু বলতে পারছি না।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম। নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।