ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড খুলনার উপকূল। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ মানুষ। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। তলিয়ে গেছে শত শত ফসলের খেত। খুলনা জেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণকক্ষ এতথ্য জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের পর সোমবার (২৭ মে) বিকেল থেকে বাতাসের গতি আরও বেড়েছে। ফলে ভাঙা বাঁধ মেরামত করা যায়নি।
জেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে খুলনা জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে খুলনা মহানগরীতেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। ঝড় চলাকালে বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে লালচাঁদ মোড়ল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গাওঘরা গ্রামের গহর মোড়লের ছেলে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, সোমবার সকালে লালচাঁদ মিয়ার লাশ উদ্ধার হয়। গাছের নিচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। ঝড়ে আর কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।