ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে খুলনায় ৭৭ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড খুলনার উপকূল। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ মানুষ। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। তলিয়ে গেছে শত শত ফসলের খেত। খুলনা জেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণকক্ষ এতথ্য জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের পর সোমবার (২৭ মে) বিকেল থেকে বাতাসের গতি আরও বেড়েছে। ফলে ভাঙা বাঁধ মেরামত করা যায়নি।

জেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে খুলনা জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে খুলনা মহানগরীতেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। ঝড় চলাকালে বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে লালচাঁদ মোড়ল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গাওঘরা গ্রামের গহর মোড়লের ছেলে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, সোমবার সকালে লালচাঁদ মিয়ার লাশ উদ্ধার হয়। গাছের নিচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। ঝড়ে আর কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে খুলনায় ৭৭ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

আপডেট সময় ১০:০২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড খুলনার উপকূল। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ মানুষ। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। তলিয়ে গেছে শত শত ফসলের খেত। খুলনা জেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণকক্ষ এতথ্য জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের পর সোমবার (২৭ মে) বিকেল থেকে বাতাসের গতি আরও বেড়েছে। ফলে ভাঙা বাঁধ মেরামত করা যায়নি।

জেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে খুলনা জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে খুলনা মহানগরীতেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। ঝড় চলাকালে বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে লালচাঁদ মোড়ল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গাওঘরা গ্রামের গহর মোড়লের ছেলে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, সোমবার সকালে লালচাঁদ মিয়ার লাশ উদ্ধার হয়। গাছের নিচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। ঝড়ে আর কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।