ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আফগানদের বিদায়, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে লঙ্কানরা Logo ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার Logo বড় সংগ্রহ আফগানদের, বাংলাদেশের সুপার ফোরের আশা ভাঙার পথে Logo কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল Logo নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬ Logo চাকসু নির্বাচনে “সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট” নামে ছাত্রশিবিরের পূর্নাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা Logo দুই দিনে ভারতে ৫৬.২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি Logo ন্যাটোর হুমকির পর সামরিক পোশাকে যুদ্ধের ময়দানে পুতিন! Logo ফরিদপুরের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিশোর-তরুণদের নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল Logo বিজিবিতে চাকরি পেলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ভাই

৮০ যাত্রী নিয়ে মোংলা নদীতে ট্রলারডুবি

বাগেরহাটের মোংলা নদীতে ৮০ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগ যাত্রী তীর উঠতে পারলেও কেউ কেউ নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে এ নদীতে ট্রলারে করে শত শত যাত্রী পার হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই ইপিজেডের ‘ভিআইপি’ নামক একটি কারখানার শ্রমিক। এদিন প্রতিটি ট্রলারে ৭০ থেকে ৮০ জন যাত্রী ছিলেন।

ট্রলার চালকরা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে নদী পার করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন যাত্রীদের স্বজনরা। এ সময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল কাউন্টার ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঝড়ের মধ্যে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয় জানতে চাইলে মোংলা নদী পারাপার ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বাবুল বলেন, ‘যাত্রীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ট্রলারে উঠে পড়লে আমাদের কী করার আছে’- বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা যাত্রীদের অধিকাংশ মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দাবি করেন, ‘৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি হওয়ার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

তাহলে সকালে কেন শ্রমিকরা নদী পার হচ্ছিলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। আপনারা যা লেখার লেখেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, ‘ঝড়ের মধ্যে কারখানায় যাওয়ার জন্য ভিআইপির মিজান স্যার ফোন দিয়েছেন। জোর করে তিনি কারখানায় নিয়েছেন।’

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনার পর খোঁজ-খবর রাখছি। কোনো যাত্রী নিখোঁজ আছে কি না সে বিষয়ে পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আফগানদের বিদায়, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে লঙ্কানরা

৮০ যাত্রী নিয়ে মোংলা নদীতে ট্রলারডুবি

আপডেট সময় ০১:০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

বাগেরহাটের মোংলা নদীতে ৮০ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগ যাত্রী তীর উঠতে পারলেও কেউ কেউ নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে এ নদীতে ট্রলারে করে শত শত যাত্রী পার হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই ইপিজেডের ‘ভিআইপি’ নামক একটি কারখানার শ্রমিক। এদিন প্রতিটি ট্রলারে ৭০ থেকে ৮০ জন যাত্রী ছিলেন।

ট্রলার চালকরা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে নদী পার করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন যাত্রীদের স্বজনরা। এ সময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল কাউন্টার ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঝড়ের মধ্যে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয় জানতে চাইলে মোংলা নদী পারাপার ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বাবুল বলেন, ‘যাত্রীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ট্রলারে উঠে পড়লে আমাদের কী করার আছে’- বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা যাত্রীদের অধিকাংশ মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দাবি করেন, ‘৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি হওয়ার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

তাহলে সকালে কেন শ্রমিকরা নদী পার হচ্ছিলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। আপনারা যা লেখার লেখেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, ‘ঝড়ের মধ্যে কারখানায় যাওয়ার জন্য ভিআইপির মিজান স্যার ফোন দিয়েছেন। জোর করে তিনি কারখানায় নিয়েছেন।’

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনার পর খোঁজ-খবর রাখছি। কোনো যাত্রী নিখোঁজ আছে কি না সে বিষয়ে পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।