ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে তবে জুনের পরে নয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গীতে দাখিল স্তরের ক্লাস ক্যাপ্টেনদের মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় আ. লীগের প্রভাবশালী দুই নেতাসহ তিনজন কারাগারে Logo কুমারখালীতে ১০ দিন ব্যাপি আনসার ভিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষন উদ্বোধন Logo গাইবান্ধায় ‘কুরআনিক অলিম্পিয়াড-২৫ ঐতিহাসিক কুরআন দিবসে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ Logo চলতি মাসের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯৬৪২ কোটি টাকা Logo ছাত্রশিবির সভাপতিকে ঘিরে ভুয়া ফটোকার্ড ছড়িয়ে অপপ্রচার Logo ভারতে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, ১৭ জনের প্রাণহানি Logo স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি ঘোষণা

৮০ যাত্রী নিয়ে মোংলা নদীতে ট্রলারডুবি

বাগেরহাটের মোংলা নদীতে ৮০ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগ যাত্রী তীর উঠতে পারলেও কেউ কেউ নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে এ নদীতে ট্রলারে করে শত শত যাত্রী পার হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই ইপিজেডের ‘ভিআইপি’ নামক একটি কারখানার শ্রমিক। এদিন প্রতিটি ট্রলারে ৭০ থেকে ৮০ জন যাত্রী ছিলেন।

ট্রলার চালকরা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে নদী পার করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন যাত্রীদের স্বজনরা। এ সময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল কাউন্টার ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঝড়ের মধ্যে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয় জানতে চাইলে মোংলা নদী পারাপার ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বাবুল বলেন, ‘যাত্রীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ট্রলারে উঠে পড়লে আমাদের কী করার আছে’- বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা যাত্রীদের অধিকাংশ মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দাবি করেন, ‘৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি হওয়ার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

তাহলে সকালে কেন শ্রমিকরা নদী পার হচ্ছিলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। আপনারা যা লেখার লেখেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, ‘ঝড়ের মধ্যে কারখানায় যাওয়ার জন্য ভিআইপির মিজান স্যার ফোন দিয়েছেন। জোর করে তিনি কারখানায় নিয়েছেন।’

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনার পর খোঁজ-খবর রাখছি। কোনো যাত্রী নিখোঁজ আছে কি না সে বিষয়ে পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে তবে জুনের পরে নয়: প্রধান উপদেষ্টা

৮০ যাত্রী নিয়ে মোংলা নদীতে ট্রলারডুবি

আপডেট সময় ০১:০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

বাগেরহাটের মোংলা নদীতে ৮০ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগ যাত্রী তীর উঠতে পারলেও কেউ কেউ নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে এ নদীতে ট্রলারে করে শত শত যাত্রী পার হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই ইপিজেডের ‘ভিআইপি’ নামক একটি কারখানার শ্রমিক। এদিন প্রতিটি ট্রলারে ৭০ থেকে ৮০ জন যাত্রী ছিলেন।

ট্রলার চালকরা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে নদী পার করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন যাত্রীদের স্বজনরা। এ সময় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা টোল কাউন্টার ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে মোংলা নদীতে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঝড়ের মধ্যে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের বিষয় জানতে চাইলে মোংলা নদী পারাপার ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম বাবুল বলেন, ‘যাত্রীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ট্রলারে উঠে পড়লে আমাদের কী করার আছে’- বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা যাত্রীদের অধিকাংশ মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দাবি করেন, ‘৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি হওয়ার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

তাহলে সকালে কেন শ্রমিকরা নদী পার হচ্ছিলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। আপনারা যা লেখার লেখেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, ‘ঝড়ের মধ্যে কারখানায় যাওয়ার জন্য ভিআইপির মিজান স্যার ফোন দিয়েছেন। জোর করে তিনি কারখানায় নিয়েছেন।’

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনার পর খোঁজ-খবর রাখছি। কোনো যাত্রী নিখোঁজ আছে কি না সে বিষয়ে পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।