ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যুবদল ও বিএনপি নেতার মধ্যে কথা-কাটাকাটি, মারধর Logo যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন কাল, পার হতে লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট Logo মেসিকে ছাড়াই ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা Logo উত্তর কোরিয়া ও চীনকে লক্ষ্য করে জাপানের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন Logo বিয়ে করলেন সমন্বয়ক রাফি Logo বরগুনার নির্যাতিত পরিবারের ব্যয় বহনের দায়িত্ব নিয়েছে জামায়াত ইসলামী Logo মৌলিক উপকরন ছাড়াই গাজায় বেঁচে থাকার লড়াই ১০ লাখ শিশুর Logo ‘এক-এগারোর মতো বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের সম্মুখীন করা হচ্ছে’ Logo রাশিয়া থেকে ৫০ টন ক্ষমতার ক্রেন আসছে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে Logo ট্রাম্পের ‘শুল্কাআঘাত’ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির পরিকল্পনা

পূর্ব তিমুরের মতো এখানে খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে: শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে কোন দেশ এই প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের এক বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার যুদ্ধ ঘরে-বাইরে সব জায়গায়। ওই অবস্থায় আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে ছেড়ে দিলাম। চক্রান্ত এখনও আছে। পূর্ব তিমুরের মতো বাংলাদেশের একটি অংশ নিয়ে… তারপরে চট্টগ্রাম, মিয়ানমার এখানে একটা খ্রিষ্টান দেশ বানাবে, বঙ্গোপসাগরে একটা ঘাঁটি করবে। তার কারণ বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। এ জায়গাটার ওপর অনেকেরই নজর। সেটা আমি হতে দিচ্ছি না। এটাও আমার একটা অপরাধ।

বিএনপি দেশে নির্বাচন হতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে দেবে (নির্বাচন হতে দেবে), আমার ক্ষমতায় আসতেও অসুবিধা হবে না। যদি আমি বাংলাদেশে কারও এয়ার বেজ করতে দেই, ঘাঁটি করতে দেই, তাহলে আমার কোনও অসুবিধা নাই। কোনও এক সাদা চামড়ারই প্রস্তাব। আমি একই জবাব দিয়েছি। আমি স্পষ্ট বলেছি, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি, দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা কারও হাতে তুলে দিয়ে আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না, ক্ষমতার দরকার নেই। যদি জনগণ চায় ক্ষমতায় আসবো, না হলে আসবো না। এই কথাগুলো বললাম, কারণ সবার জানা উচিত।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখানে এয়ার বেজ করে কার ওপর হামলা করবে? যদি একটা দেশকে দেখানো হয়, সেটা তো না। আমি জানি আরও কোথায় যাবে। যে কারণে আমাদের সবসময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, আরও হবে। কিন্তু এটা পাত্তা দেই না, সোজা কথা। দেশের মানুষ আমাদের শক্তি, মানুষ যদি ঠিক থাকে আমরা আছি।

মুদ্রাস্ফীতি এখন সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশ না, আমেরিকার অর্থনৈতিক রিপোর্ট দেখলাম, সেখানেও মুদ্রাস্ফীতি বিরাট সমস্যা। অনেক দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, আমাদেরও। কারণ করোনার সময় ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, আমদানি-রফতানি সব বন্ধ ছিল। তখন বাইরে থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেনি, তাই টাকাটা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে, তাই আমাদের রিজার্ভ বেড়ে গিয়েছিল। তারপর যখন সবকিছু চালু হলো তখন খরচ, খরচ হবেই।

তিনি বলেন, আপদকালীন সময়ের খাদ্য মজুত থাকলে রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কোনও বিষয় নেই। রিজার্ভ বলতে বলতে মানুষকে এত সচেতন করে দিয়েছি, সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে, জিডিপি নিয়ে কথা বলে, এটা ভালো লক্ষণ। এখন মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পারলে মানুষের স্বস্তি হতো। উৎপাদন যথেষ্ট হচ্ছে। কোনও অভাব নেই।

পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে অনেক খেলা হয়। আজ দেখলাম যেখানে আলু রাখে সেখানে ডিম রাখছে। আলুর কোল্ডস্টোরেজে ডিম রাখার কথা না। এ রকম ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে।

দেশের অর্জন ধরে রেখে সামনের দিকে এগোতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না নিলে দেশটাকে আগাতে পারবো না। এখানে যে বাধাগুলো আসে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের বিরোধী ছিল, এখনও তারা একটুও বদলায়নি। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা, এটা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুবদল ও বিএনপি নেতার মধ্যে কথা-কাটাকাটি, মারধর

পূর্ব তিমুরের মতো এখানে খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে: শেখ হাসিনা

আপডেট সময় ০৩:৩১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে কোন দেশ এই প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের এক বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার যুদ্ধ ঘরে-বাইরে সব জায়গায়। ওই অবস্থায় আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে ছেড়ে দিলাম। চক্রান্ত এখনও আছে। পূর্ব তিমুরের মতো বাংলাদেশের একটি অংশ নিয়ে… তারপরে চট্টগ্রাম, মিয়ানমার এখানে একটা খ্রিষ্টান দেশ বানাবে, বঙ্গোপসাগরে একটা ঘাঁটি করবে। তার কারণ বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। এ জায়গাটার ওপর অনেকেরই নজর। সেটা আমি হতে দিচ্ছি না। এটাও আমার একটা অপরাধ।

বিএনপি দেশে নির্বাচন হতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে দেবে (নির্বাচন হতে দেবে), আমার ক্ষমতায় আসতেও অসুবিধা হবে না। যদি আমি বাংলাদেশে কারও এয়ার বেজ করতে দেই, ঘাঁটি করতে দেই, তাহলে আমার কোনও অসুবিধা নাই। কোনও এক সাদা চামড়ারই প্রস্তাব। আমি একই জবাব দিয়েছি। আমি স্পষ্ট বলেছি, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি, দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা কারও হাতে তুলে দিয়ে আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না, ক্ষমতার দরকার নেই। যদি জনগণ চায় ক্ষমতায় আসবো, না হলে আসবো না। এই কথাগুলো বললাম, কারণ সবার জানা উচিত।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখানে এয়ার বেজ করে কার ওপর হামলা করবে? যদি একটা দেশকে দেখানো হয়, সেটা তো না। আমি জানি আরও কোথায় যাবে। যে কারণে আমাদের সবসময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, আরও হবে। কিন্তু এটা পাত্তা দেই না, সোজা কথা। দেশের মানুষ আমাদের শক্তি, মানুষ যদি ঠিক থাকে আমরা আছি।

মুদ্রাস্ফীতি এখন সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশ না, আমেরিকার অর্থনৈতিক রিপোর্ট দেখলাম, সেখানেও মুদ্রাস্ফীতি বিরাট সমস্যা। অনেক দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, আমাদেরও। কারণ করোনার সময় ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, আমদানি-রফতানি সব বন্ধ ছিল। তখন বাইরে থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেনি, তাই টাকাটা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে, তাই আমাদের রিজার্ভ বেড়ে গিয়েছিল। তারপর যখন সবকিছু চালু হলো তখন খরচ, খরচ হবেই।

তিনি বলেন, আপদকালীন সময়ের খাদ্য মজুত থাকলে রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কোনও বিষয় নেই। রিজার্ভ বলতে বলতে মানুষকে এত সচেতন করে দিয়েছি, সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে, জিডিপি নিয়ে কথা বলে, এটা ভালো লক্ষণ। এখন মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পারলে মানুষের স্বস্তি হতো। উৎপাদন যথেষ্ট হচ্ছে। কোনও অভাব নেই।

পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে অনেক খেলা হয়। আজ দেখলাম যেখানে আলু রাখে সেখানে ডিম রাখছে। আলুর কোল্ডস্টোরেজে ডিম রাখার কথা না। এ রকম ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে।

দেশের অর্জন ধরে রেখে সামনের দিকে এগোতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না নিলে দেশটাকে আগাতে পারবো না। এখানে যে বাধাগুলো আসে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের বিরোধী ছিল, এখনও তারা একটুও বদলায়নি। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা, এটা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।