ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফজলুর রহমানের দলীয় পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করলো বিএনপি Logo শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান Logo পরীক্ষার সময় ছাত্রদলের উচ্চস্বরে স্লোগান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা Logo ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের পোস্টার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ ব্যত্যয় না করার আহবান Logo শপথ নিয়েছেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি Logo বিমানবন্দরে বিদেশি নারীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার মাদক জব্দ Logo ডাকসু নির্বাচনে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী Logo জুলাই গণহত্যা:আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি চলছে

৮০ টুকরো করা হয়েছে এমপি আজীমের দেহ

কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের হাড়হিম করা নতুন বেশকিছু তথ্য সামনে এসেছে। কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যার পর মরদেহের চামড়া ছাড়ানো হয়। এরপর ৮০ টুকরো করা হয় তার দেহ। যাতে করে পরিচয় শনাক্ত না করা যায়।

খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। গ্রেপ্তার জিহাদ আরও জানায়, আনোয়ারুলের দেহ ৮০ টুকরো করে নিউটাউন, ভাঙড় এলাকার নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে ৫০০০ টাকা পেয়েছে সে।

খুনের তদন্তকারীরা মনে করছেন, দেহের খণ্ডাংশ জলাশয়ে ফেলে দেওয়ায় তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে গেল। ইতোমধ্যেই টুকরোগুলো পানিতে থাকা কোনও না কোনও প্রাণীর পেটে চলে গিয়ে থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৪ মে) ‘কসাই’ জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অভিযুক্ত জানায়, খুনের পর আনোয়ারুলের দেহ ৮০ টুকরো করে মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ মিশিয়ে দেওয়া হয়। হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে একেকটি টুকরো একেক জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও কোথায় কী ফেলা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখে কুলূপ এঁটেছে গ্রেপ্তাররা। তবে পুলিশের ধারণা, দেহাংশ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

তদন্তে জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্পর্কে কিছু বিষয়ে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের ওপর ক্ষোভ ছিল তার বন্ধু ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের। ২০০ কোটি টাকার ভাগাভাগি নিয়ে আনোয়ারুলকে খুন করা হয়। আগেও একাধিকবার এমপি আনারকে খুনের হুমকি দিয়েছিল শাহিন।

সবশেষ গুলশান এবং কলকাতার নিউমার্কেটে দুদফায় তৈরি করা হয় হত্যার ব্লুপ্রিন্ট। এরপর গত ১২ মে এমপি আনার কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাংয়ের সদস্য শিলাস্তির মাধ্যমে তাকে ‘হানিট্র্যাপে’ ফেলা হয়। এরপর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এনে ১৩ তারিখ রাতে আনারকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়াসহ তিনজনকে। তাদের তিনজনকে ৮ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে জিহাদ হাওলাদার নামের এক অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। জিহাদের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে জলাশয়ে লাগাতার তল্লাশি চালিয়েও মরদেহের একটি টুকরোও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফজলুর রহমানের দলীয় পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করলো বিএনপি

৮০ টুকরো করা হয়েছে এমপি আজীমের দেহ

আপডেট সময় ০২:২৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের হাড়হিম করা নতুন বেশকিছু তথ্য সামনে এসেছে। কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যার পর মরদেহের চামড়া ছাড়ানো হয়। এরপর ৮০ টুকরো করা হয় তার দেহ। যাতে করে পরিচয় শনাক্ত না করা যায়।

খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। গ্রেপ্তার জিহাদ আরও জানায়, আনোয়ারুলের দেহ ৮০ টুকরো করে নিউটাউন, ভাঙড় এলাকার নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে ৫০০০ টাকা পেয়েছে সে।

খুনের তদন্তকারীরা মনে করছেন, দেহের খণ্ডাংশ জলাশয়ে ফেলে দেওয়ায় তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে গেল। ইতোমধ্যেই টুকরোগুলো পানিতে থাকা কোনও না কোনও প্রাণীর পেটে চলে গিয়ে থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৪ মে) ‘কসাই’ জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অভিযুক্ত জানায়, খুনের পর আনোয়ারুলের দেহ ৮০ টুকরো করে মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ মিশিয়ে দেওয়া হয়। হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে একেকটি টুকরো একেক জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও কোথায় কী ফেলা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখে কুলূপ এঁটেছে গ্রেপ্তাররা। তবে পুলিশের ধারণা, দেহাংশ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

তদন্তে জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্পর্কে কিছু বিষয়ে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের ওপর ক্ষোভ ছিল তার বন্ধু ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের। ২০০ কোটি টাকার ভাগাভাগি নিয়ে আনোয়ারুলকে খুন করা হয়। আগেও একাধিকবার এমপি আনারকে খুনের হুমকি দিয়েছিল শাহিন।

সবশেষ গুলশান এবং কলকাতার নিউমার্কেটে দুদফায় তৈরি করা হয় হত্যার ব্লুপ্রিন্ট। এরপর গত ১২ মে এমপি আনার কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাংয়ের সদস্য শিলাস্তির মাধ্যমে তাকে ‘হানিট্র্যাপে’ ফেলা হয়। এরপর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এনে ১৩ তারিখ রাতে আনারকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়াসহ তিনজনকে। তাদের তিনজনকে ৮ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে জিহাদ হাওলাদার নামের এক অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। জিহাদের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে জলাশয়ে লাগাতার তল্লাশি চালিয়েও মরদেহের একটি টুকরোও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।