ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্যে’র ডাক বিএনপির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪ কর্মসূচিতে না নামায় ভেঙে দেওয়া হলো আ. লীগের ২৭ ইউনিট কমিটি ‘ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ কক্ষ সংস্কারের পর চালু করা হবে শিক্ষা কার্যক্রম’ প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: ওবায়দুল কাদের আন্দোলনে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ও আসিফকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী ভিসা বন্ধ নিয়ে কিছুই জানায়নি আমিরাত: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে, বিএনপিকে সেতুমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে, বিএনপিকে সেতুমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা অচল করে দেবেন। ঢাকায় এলে বিএনপিকে অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকায় এলে তারা নিজেরাই অচল হয়ে যাবে।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জানুয়ারিতে ভোট। নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল, ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে।

খেলা হবে সারা বাংলায়, সারা ঢাকায়, সারা চট্টগ্রাম, বরিশালে, রাজশাহীতে, সিলেটে। ফাউল করলে লাল কার্ড।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন ক্ষমতায় গেলে রূপপুর পারণমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেবে।… যেই লাফাবে তার মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে। কবে হবে সেই তারিখ দেন। লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন।

ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। মঞ্চে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু কবে যাবে কে জানে! নকল ওষুধ আইনেন না। আসল ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো, ছুটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু মানুষ খুব কষ্টে আছে।’

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, যত গর্জে তত বর্ষে না। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন বানচাল করতে কেউ বোমা মারতে এলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সতর্ক আছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিদেশে যাদের দালালি করেন, কোনো লাভ হবে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। আমরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে দেব না। আমরা সন্ত্রাস চাই না, জঙ্গিবাদীদের উত্থান চাই না। আমরা এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে রক্ষা করে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর হয়ে শ্যামলীতে গিয়ে শেষ হয়।

 

সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে, বিএনপিকে সেতুমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১০:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা অচল করে দেবেন। ঢাকায় এলে বিএনপিকে অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকায় এলে তারা নিজেরাই অচল হয়ে যাবে।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জানুয়ারিতে ভোট। নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল, ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে।

খেলা হবে সারা বাংলায়, সারা ঢাকায়, সারা চট্টগ্রাম, বরিশালে, রাজশাহীতে, সিলেটে। ফাউল করলে লাল কার্ড।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন ক্ষমতায় গেলে রূপপুর পারণমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেবে।… যেই লাফাবে তার মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে। কবে হবে সেই তারিখ দেন। লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন।

ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। মঞ্চে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু কবে যাবে কে জানে! নকল ওষুধ আইনেন না। আসল ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো, ছুটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু মানুষ খুব কষ্টে আছে।’

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, যত গর্জে তত বর্ষে না। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন বানচাল করতে কেউ বোমা মারতে এলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সতর্ক আছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিদেশে যাদের দালালি করেন, কোনো লাভ হবে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। আমরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে দেব না। আমরা সন্ত্রাস চাই না, জঙ্গিবাদীদের উত্থান চাই না। আমরা এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে রক্ষা করে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর হয়ে শ্যামলীতে গিয়ে শেষ হয়।