ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে, বিএনপিকে সেতুমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে, বিএনপিকে সেতুমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা অচল করে দেবেন। ঢাকায় এলে বিএনপিকে অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকায় এলে তারা নিজেরাই অচল হয়ে যাবে।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জানুয়ারিতে ভোট। নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল, ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে।

খেলা হবে সারা বাংলায়, সারা ঢাকায়, সারা চট্টগ্রাম, বরিশালে, রাজশাহীতে, সিলেটে। ফাউল করলে লাল কার্ড।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন ক্ষমতায় গেলে রূপপুর পারণমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেবে।… যেই লাফাবে তার মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে। কবে হবে সেই তারিখ দেন। লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন।

ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। মঞ্চে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু কবে যাবে কে জানে! নকল ওষুধ আইনেন না। আসল ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো, ছুটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু মানুষ খুব কষ্টে আছে।’

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, যত গর্জে তত বর্ষে না। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন বানচাল করতে কেউ বোমা মারতে এলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সতর্ক আছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিদেশে যাদের দালালি করেন, কোনো লাভ হবে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। আমরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে দেব না। আমরা সন্ত্রাস চাই না, জঙ্গিবাদীদের উত্থান চাই না। আমরা এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে রক্ষা করে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর হয়ে শ্যামলীতে গিয়ে শেষ হয়।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে, বিএনপিকে সেতুমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১০:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা অচল করে দেবেন। ঢাকায় এলে বিএনপিকে অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকায় এলে তারা নিজেরাই অচল হয়ে যাবে।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জানুয়ারিতে ভোট। নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল, ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে।

খেলা হবে সারা বাংলায়, সারা ঢাকায়, সারা চট্টগ্রাম, বরিশালে, রাজশাহীতে, সিলেটে। ফাউল করলে লাল কার্ড।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন ক্ষমতায় গেলে রূপপুর পারণমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেবে।… যেই লাফাবে তার মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠাণ্ডা করে দেব। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে। কবে হবে সেই তারিখ দেন। লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন।

ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। মঞ্চে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু কবে যাবে কে জানে! নকল ওষুধ আইনেন না। আসল ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো, ছুটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু মানুষ খুব কষ্টে আছে।’

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, যত গর্জে তত বর্ষে না। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন বানচাল করতে কেউ বোমা মারতে এলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সতর্ক আছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিদেশে যাদের দালালি করেন, কোনো লাভ হবে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। আমরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে দেব না। আমরা সন্ত্রাস চাই না, জঙ্গিবাদীদের উত্থান চাই না। আমরা এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে রক্ষা করে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর হয়ে শ্যামলীতে গিয়ে শেষ হয়।