ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত Logo উন্নত চিকিৎসার জন্য কাল সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন নুরুল হক নুর Logo বাংলাদেশর রিজার্ভ চুরি: ফিলিপ‍াইনের আরসিবিসি ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত Logo ফিলিস্তিনকে আজ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য Logo সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিদেশে সম্পদ অর্জনের ২৩ বস্তা নথি জব্দ Logo ‘আফগানিস্তান বাগরাম বিমান ঘাঁটি ফিরিয়ে না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে; হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Logo পাবনায় বাসা থেকে রাশিয়ান নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার Logo মেট্রোরেলে যুক্ত হবে আরও ১০ ট্রেন, চলবে রাত ১০টার পরও Logo মেসির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির রোমাঞ্চকর জয় Logo ঢাবির শেখ মুজিব হলে শুরু হলো ৫০৪টি ফ্যান লাগানোর কার্যক্রম

নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নন ইব্রাহীম রাইসির স্ত্রী

ইব্রাহিম রাইসির ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তার স্ত্রী জামিলে আলামলহোদা তেহরানের শহিদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং তাদের দুটি কন্যাসন্তান আছে। তার শ্বশুর আয়াতুল্লাহ আহমাদ আলামলহোদা। তিনিও একজন ধর্মীয় নেতা এবং মাশহাদ শহরে জুমার নামাজ পরিচালনা করেন।

জামিলে আলামলহোদা ১৯৬৫ সালে ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। একই শহরে জন্মগ্রহণ করেন তার স্বামী রাইসিও। তেহরানের শহিদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জামিলে দর্শনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর সেখানে শিক্ষকতা করছেন। ২০০১ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব ও শিক্ষাগত উন্নয়ন বিভাগের অনুষদের সদস্য হন। জামিলের ১৮ বছর বয়সে রাইসির সঙ্গে বিয়ে হয়। নারী স্বাধীনতা নিয়ে তার কিছু মন্তব্য ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে। গত বছর জুন মাসে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলামলহোদা দাবি করেছিলেন যে, ‘স্বাধীনতার নামে নারীরা আসলে কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমরা চাই নারীরা নারীই থাকুক। কেন আমাদের পুরুষদের মতো হতে হবে?’

গত বছর হিজাববিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি বলেছিলেন, যেসব নারী ইরানের আইন অনুযায়ী হিজাব পরে চলাচল করবে না, তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তার এসব মন্তব্য গত বছর হিজাববিরোধী আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যে নারী হিজাব পরাটা পছন্দ করেন না, তাদের ক্ষেত্রে তিনি কী মনে করেন? তার উত্তর ছিল ‘হিজাব না পরাটা নারীদের জন্য সম্মানের বাইরে।’

অন্যদিকে রাইসি দম্পতির দুই মেয়ে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। তাদের নাম দেশটিতে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় না। পুরো পরিবার সম্পর্কে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তবে দুই মেয়েই সুশিক্ষিত বলে জানা গেছে। বড় মেয়ে ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি মায়ের মতোই নারী স্বাধীনতার বিষয়ে রক্ষণশীল মানসিকতার। তার একটি সন্তানও রয়েছে। আর রাইসির ছোট মেয়ে এখনো ছাত্রী।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত

নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নন ইব্রাহীম রাইসির স্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

ইব্রাহিম রাইসির ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তার স্ত্রী জামিলে আলামলহোদা তেহরানের শহিদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং তাদের দুটি কন্যাসন্তান আছে। তার শ্বশুর আয়াতুল্লাহ আহমাদ আলামলহোদা। তিনিও একজন ধর্মীয় নেতা এবং মাশহাদ শহরে জুমার নামাজ পরিচালনা করেন।

জামিলে আলামলহোদা ১৯৬৫ সালে ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। একই শহরে জন্মগ্রহণ করেন তার স্বামী রাইসিও। তেহরানের শহিদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জামিলে দর্শনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর সেখানে শিক্ষকতা করছেন। ২০০১ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব ও শিক্ষাগত উন্নয়ন বিভাগের অনুষদের সদস্য হন। জামিলের ১৮ বছর বয়সে রাইসির সঙ্গে বিয়ে হয়। নারী স্বাধীনতা নিয়ে তার কিছু মন্তব্য ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে। গত বছর জুন মাসে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলামলহোদা দাবি করেছিলেন যে, ‘স্বাধীনতার নামে নারীরা আসলে কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমরা চাই নারীরা নারীই থাকুক। কেন আমাদের পুরুষদের মতো হতে হবে?’

গত বছর হিজাববিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি বলেছিলেন, যেসব নারী ইরানের আইন অনুযায়ী হিজাব পরে চলাচল করবে না, তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তার এসব মন্তব্য গত বছর হিজাববিরোধী আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যে নারী হিজাব পরাটা পছন্দ করেন না, তাদের ক্ষেত্রে তিনি কী মনে করেন? তার উত্তর ছিল ‘হিজাব না পরাটা নারীদের জন্য সম্মানের বাইরে।’

অন্যদিকে রাইসি দম্পতির দুই মেয়ে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। তাদের নাম দেশটিতে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় না। পুরো পরিবার সম্পর্কে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তবে দুই মেয়েই সুশিক্ষিত বলে জানা গেছে। বড় মেয়ে ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি মায়ের মতোই নারী স্বাধীনতার বিষয়ে রক্ষণশীল মানসিকতার। তার একটি সন্তানও রয়েছে। আর রাইসির ছোট মেয়ে এখনো ছাত্রী।