ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ক্যাম্পাস

আমি কখনো নিয়োগ বাণিজ্য করি নাই

সাংবাদিকতা একটি মহৎ কাজ। এরা হলো দেশের দর্পনস্বরূপ। তাই দায়িত্বটাও একটু বেশি। সেলক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’। এসময় নোবিপ্রবি ভিসি ড. মো. দিদার উল আলম সততা নিয়ে বলতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়োগ বাণিজ্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তবে নিয়োগ বাণিজ্যে সাথে তিনি কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না বলেও দাবি করেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার উপর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (নোবিপ্রবিসাস) এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উদীয়মান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নোবিপ্রবিসাস এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. মো. দিদার উল আলম।

তিনি বলেন, ‘সব ভিসি কি ভালো? আমিও তো বলি না। সব ভিসি কি ঠিকমতো কাজ করে? সে কি নিয়োগ বাণিজ্য করে না? খুব সুক্ষ্মভাবে করে। আমার কাছে সোজা, আমার কাছে এগুলা নাই। আমার পাঁচ বছরে আমার এলাকার কেউ বলতে পারবে না নারায়ণগঞ্জের কাউকে নিয়োগ দিয়েছি। আমি চেষ্টা করি ঐভাবে চলার।’

অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি উপাচার্য আরো বলেন, ‘সংবাদপত্র হচ্ছে শক্তিশালী একটা মিডিয়া। কিছু সাংবাদিক সৎ থাকলেও বেশিরভাগ হলুদে বিশ্বাস করে। আমার চাওয়া সবাই যেন নিয়মমাফিক সাংবাদিকতা করে। সংবাদে অন্ততপক্ষে যেন ৫০ ভাগ সত্যতা থাকে। এর চেয়ে কম হলে সে আমার কাছে ভালো সাংবাদিক না। এটা বলার আমার সাহস আছে কারণ আমি কোন অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত নয় এটুকু বিশ্বাস আমার আছে।’

নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কবীর ফারহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত আহমেদ ফাহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।

এসময় তিনি বলেন, ‘নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাসিক সাধারণ সভা, শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের ট্রেনিং, নির্বাচনসহ সকল কাজ নিয়মতান্ত্রিকভাবে উপায়ে নিয়মিত পরিচালনা করে আসছে। তারা তাদের পেশাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। সাংবাদিকরা ক্যাম্পাসকে সারা দেশের সামনে তুলে ধরছে পাশাপাশি তারা ক্যাম্পাসের সমস্যাগুলোকেও গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তুলে ধরে সমাধানের চেষ্টা করছে।

দিনব্যাপি এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ডেইলি সানের অনলাইন প্রধান মওদুদ আহম্মেদ সুজন, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ এবং এডুকেশন রাইটার অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রফেশনাল সাইফ সুজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর ভিডিও কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটিতে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে নতুন করে গঠনে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান: ফরহাদ মজহার

ক্যাম্পাস

আমি কখনো নিয়োগ বাণিজ্য করি নাই

আপডেট সময় ০৯:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

সাংবাদিকতা একটি মহৎ কাজ। এরা হলো দেশের দর্পনস্বরূপ। তাই দায়িত্বটাও একটু বেশি। সেলক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’। এসময় নোবিপ্রবি ভিসি ড. মো. দিদার উল আলম সততা নিয়ে বলতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়োগ বাণিজ্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তবে নিয়োগ বাণিজ্যে সাথে তিনি কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না বলেও দাবি করেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার উপর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (নোবিপ্রবিসাস) এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উদীয়মান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নোবিপ্রবিসাস এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. মো. দিদার উল আলম।

তিনি বলেন, ‘সব ভিসি কি ভালো? আমিও তো বলি না। সব ভিসি কি ঠিকমতো কাজ করে? সে কি নিয়োগ বাণিজ্য করে না? খুব সুক্ষ্মভাবে করে। আমার কাছে সোজা, আমার কাছে এগুলা নাই। আমার পাঁচ বছরে আমার এলাকার কেউ বলতে পারবে না নারায়ণগঞ্জের কাউকে নিয়োগ দিয়েছি। আমি চেষ্টা করি ঐভাবে চলার।’

অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি উপাচার্য আরো বলেন, ‘সংবাদপত্র হচ্ছে শক্তিশালী একটা মিডিয়া। কিছু সাংবাদিক সৎ থাকলেও বেশিরভাগ হলুদে বিশ্বাস করে। আমার চাওয়া সবাই যেন নিয়মমাফিক সাংবাদিকতা করে। সংবাদে অন্ততপক্ষে যেন ৫০ ভাগ সত্যতা থাকে। এর চেয়ে কম হলে সে আমার কাছে ভালো সাংবাদিক না। এটা বলার আমার সাহস আছে কারণ আমি কোন অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত নয় এটুকু বিশ্বাস আমার আছে।’

নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কবীর ফারহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত আহমেদ ফাহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।

এসময় তিনি বলেন, ‘নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাসিক সাধারণ সভা, শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের ট্রেনিং, নির্বাচনসহ সকল কাজ নিয়মতান্ত্রিকভাবে উপায়ে নিয়মিত পরিচালনা করে আসছে। তারা তাদের পেশাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। সাংবাদিকরা ক্যাম্পাসকে সারা দেশের সামনে তুলে ধরছে পাশাপাশি তারা ক্যাম্পাসের সমস্যাগুলোকেও গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তুলে ধরে সমাধানের চেষ্টা করছে।

দিনব্যাপি এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ডেইলি সানের অনলাইন প্রধান মওদুদ আহম্মেদ সুজন, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ এবং এডুকেশন রাইটার অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রফেশনাল সাইফ সুজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর ভিডিও কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটিতে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।