ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুয়েটে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ইতি মিয়াজির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিক্ষিকার প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষার্থীদের।

ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) কতৃক প্রকাশিত স্মারক নং ঢাপ্রপ্রবি/প্রসা/নিয়োগ -২৩৭/০৩/খন্ড(০৫)  ২৬৬১ এ আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আর্কিটেকচার বিভাগে সম্প্রতি ইতু মিয়াজি নামে এক নারী লেকচারার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন।  যিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আর্কিটেকচারে ব্যাচেলর শেষ করেছেন। বুয়েটে অধ্যায়নরত অবস্থায়ই তিনি নানা ধরনের অশ্লিল এবং কুরুচিপূর্ণ ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে অনলাইনে বেশ সমালোচিত। অশ্লিল নৃত্য, অঙ্গভঙ্গি এবং অশালীন ইঙ্গিত পূর্ন সেই নৃত্য এবং ডায়লোগের কারণে তিনি অনলাইন দুনিয়ায় নেটিজেনদের কাছে এক পরিচিত নাম। অনেক আলোচনা সমালোচনার পর ও অশ্লিল কন্টেন্ট বানানো অব্যাহত রেখে তিনি ইতিমধ্যে নিজের বিকৃত মানুষিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

এমন একজন সমালোচিত টিকটকারকে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না ডুয়েট শিক্ষার্থীরা। প্রথমে ডুয়েট কেন্দ্রিক অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইতু মিয়াজি। এরপর আজ সকাল থেকে ডুয়েটের আর্কিটেকচার বিভাগের সামনে এবং ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে এই নিয়োগ আদেশের ব্যাপারে বিক্ষোভ জানাতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ” টিকটকারের ঠিকানা এই ডুয়েটে হবে না” এমন নানা স্লোগান দিতে থাকে আন্দোনকারীরা।  আর্কিটেকচার বিভাগ ত বটেই ডুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এমন একজনকে শিক্ষকের আসনে বসাতে রাজি নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন ” অনেকের সস্তা লজিক দিয়ে তাকে ডিফেন্ড করতে দেখে খুবই আশ্চর্য হলাম। আমি আমার কনসার্নের জায়গা থেকে বলি,
যদিও টিকটকার নামটি এখন অনেকক্ষেত্রে গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমি অবশ্য টিকটককারী মাত্রই খারাপ বলতে পারছিনা। যাস্ট টিকটকার আইডেন্টিটির জন্য কেউ তার সমালোচনা করছে না এখানে। কেউ যদি উনাকে পূর্বে থেকেই চিনে থাকেন বা কষ্ট করে সার্চ দিয়ে উনার কন্টেন্টের অবস্থা দেখেন তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন কি পরিমান মানসিক বিকারগ্রস্থ হলে এমন কনটেন্ট তৈরী করে মানুষ। সুশীল সমাজ তো পরে টিকটকার শ্রেনীতেই তার কন্ট্রোভার্সির অভাব নেই। শিক্ষক বলতে আমাদের সামনে যে  মানুষগুলির মুখ ভেসে উঠে তাদের সারিতে এই চরিত্র কল্পনা করতে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। কেবল ভালো সিজি বা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী থাকলেই তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্কিটেকচার বিভাগের অন্য এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছেন আমাদের প্রতিনিধি।  ঐ শিক্ষার্থী জানান এমন একজন কুরুচিপূর্ণ মহিলাকে কিভাবে আমারা শিক্ষকের আসনে বসাবো। শিক্ষক তো আমাদের অভিভাবক।   এরকম একজন রুচিহীন মানুষকে আমাদের অভিভাবকের আসনের বসাতে পারব না।

অন্য আর একজন শিক্ষার্থীর বলেন ডুয়েট  শিক্ষক বলতে শ্রদ্ধেয় আনোয়ারুল আবেদীন স্যার, গণেশ স্যার, আসাদুজ্জামান স্যার, কিংবা কেমিস্ট্রির নুরুল স্যারদের মতো পার্সোনালিটি, ম্যাচিউরিটির যে প্রতিচ্ছবি মনের আয়নায় ফুটে উঠত তাতে একেবারে জল ঢেলে দিল। এমন নিয়োগ আদেশের তিব্র নিন্দা জানাই।

আর্কিটেকচার বিভাগসহ ডুয়েট অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই নিয়োগ আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব

ডুয়েটে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ইতি মিয়াজির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০২:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) কতৃক প্রকাশিত স্মারক নং ঢাপ্রপ্রবি/প্রসা/নিয়োগ -২৩৭/০৩/খন্ড(০৫)  ২৬৬১ এ আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আর্কিটেকচার বিভাগে সম্প্রতি ইতু মিয়াজি নামে এক নারী লেকচারার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন।  যিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আর্কিটেকচারে ব্যাচেলর শেষ করেছেন। বুয়েটে অধ্যায়নরত অবস্থায়ই তিনি নানা ধরনের অশ্লিল এবং কুরুচিপূর্ণ ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে অনলাইনে বেশ সমালোচিত। অশ্লিল নৃত্য, অঙ্গভঙ্গি এবং অশালীন ইঙ্গিত পূর্ন সেই নৃত্য এবং ডায়লোগের কারণে তিনি অনলাইন দুনিয়ায় নেটিজেনদের কাছে এক পরিচিত নাম। অনেক আলোচনা সমালোচনার পর ও অশ্লিল কন্টেন্ট বানানো অব্যাহত রেখে তিনি ইতিমধ্যে নিজের বিকৃত মানুষিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

এমন একজন সমালোচিত টিকটকারকে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না ডুয়েট শিক্ষার্থীরা। প্রথমে ডুয়েট কেন্দ্রিক অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইতু মিয়াজি। এরপর আজ সকাল থেকে ডুয়েটের আর্কিটেকচার বিভাগের সামনে এবং ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে এই নিয়োগ আদেশের ব্যাপারে বিক্ষোভ জানাতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ” টিকটকারের ঠিকানা এই ডুয়েটে হবে না” এমন নানা স্লোগান দিতে থাকে আন্দোনকারীরা।  আর্কিটেকচার বিভাগ ত বটেই ডুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এমন একজনকে শিক্ষকের আসনে বসাতে রাজি নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন ” অনেকের সস্তা লজিক দিয়ে তাকে ডিফেন্ড করতে দেখে খুবই আশ্চর্য হলাম। আমি আমার কনসার্নের জায়গা থেকে বলি,
যদিও টিকটকার নামটি এখন অনেকক্ষেত্রে গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমি অবশ্য টিকটককারী মাত্রই খারাপ বলতে পারছিনা। যাস্ট টিকটকার আইডেন্টিটির জন্য কেউ তার সমালোচনা করছে না এখানে। কেউ যদি উনাকে পূর্বে থেকেই চিনে থাকেন বা কষ্ট করে সার্চ দিয়ে উনার কন্টেন্টের অবস্থা দেখেন তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন কি পরিমান মানসিক বিকারগ্রস্থ হলে এমন কনটেন্ট তৈরী করে মানুষ। সুশীল সমাজ তো পরে টিকটকার শ্রেনীতেই তার কন্ট্রোভার্সির অভাব নেই। শিক্ষক বলতে আমাদের সামনে যে  মানুষগুলির মুখ ভেসে উঠে তাদের সারিতে এই চরিত্র কল্পনা করতে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। কেবল ভালো সিজি বা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী থাকলেই তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্কিটেকচার বিভাগের অন্য এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছেন আমাদের প্রতিনিধি।  ঐ শিক্ষার্থী জানান এমন একজন কুরুচিপূর্ণ মহিলাকে কিভাবে আমারা শিক্ষকের আসনে বসাবো। শিক্ষক তো আমাদের অভিভাবক।   এরকম একজন রুচিহীন মানুষকে আমাদের অভিভাবকের আসনের বসাতে পারব না।

অন্য আর একজন শিক্ষার্থীর বলেন ডুয়েট  শিক্ষক বলতে শ্রদ্ধেয় আনোয়ারুল আবেদীন স্যার, গণেশ স্যার, আসাদুজ্জামান স্যার, কিংবা কেমিস্ট্রির নুরুল স্যারদের মতো পার্সোনালিটি, ম্যাচিউরিটির যে প্রতিচ্ছবি মনের আয়নায় ফুটে উঠত তাতে একেবারে জল ঢেলে দিল। এমন নিয়োগ আদেশের তিব্র নিন্দা জানাই।

আর্কিটেকচার বিভাগসহ ডুয়েট অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই নিয়োগ আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।