ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল Logo মব নয়, এটি সাংবাদিকতার ব্যর্থতারে ফল প্রেসার গ্রুপ: প্রেস সচিব Logo এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে Logo ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান Logo ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি Logo পিআর ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীরা দেশের আদর্শে বিশ্বাসী নয়: মঈন খান Logo ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫-২৬ অর্থবছরে জবির বাজেট ২৯৭ কোটি ৮২ লক্ষ Logo ফরিদগঞ্জে ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo চট্টগ্রামে বিএনপির দু’পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১৫ Logo জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

প্রবাসীর কাছ থেকে সোনা ছিনতাইকালে পুলিশকে গণধোলাই দিলো জনতা

চট্টগ্রামে সৌদিফেরত এক প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনতাই করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই)।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে নগরের খুলশী থানা এলাকার আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান বলেন, মোহাম্মদ খালেক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সোনার বার ছিনতাইয়ের অভিযোগে খুলশী থানার এক এসআইসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। ওই এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হচ্ছে।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, এসআই আমিনুল দায়িত্বরত (ডিউটিতে) ছিলেন না। এ ফাঁকে দুই সহযোগীকে নিয়ে তিনি বিদেশফেরত এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাদের আটক করার পর পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে আসে। তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে যান।

গ্রেপ্তার এসআই আমিনুলের সহযোগীর নাম শহীদুল ইসলাম জাহেদ (৪৫)। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তার পুলের কেবি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, বেলা তিনটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। সৌদিপ্রবাসী আবদুল খালেক চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলেন। তাকে বহনকারী গাড়ি খুলশী টাইগার পাস এলাকায় পৌঁছালে তার গতি রোধ করেন এসআই আমিনুল ইসলাম। দুই সহযোগীকে নিয়ে তিনি প্রবাসী আবদুল খালেকের কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনিয়ে নেন। এরপর ওই গাড়িসহ প্রবাসীকে নিয়ে নগরের কয়েকটি জায়গায় ঘোরেন।

একপর্যায়ে আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কে নিয়ে প্রবাসীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে চেষ্টা করেন এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময় প্রবাসী আবদুল খালেক পুলিশ কর্মকর্তার কাপড় ধরে রাখেন। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। এরই মধ্যে সেখানে লোকজন ভিড় জমান। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ। তারা খুলশী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুলকে আটক করেন। দ্বিতীয় সহযোগী পালিয়ে যান।

ট্যাগস :

হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল

প্রবাসীর কাছ থেকে সোনা ছিনতাইকালে পুলিশকে গণধোলাই দিলো জনতা

আপডেট সময় ০৭:১৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে সৌদিফেরত এক প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনতাই করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই)।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে নগরের খুলশী থানা এলাকার আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান বলেন, মোহাম্মদ খালেক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সোনার বার ছিনতাইয়ের অভিযোগে খুলশী থানার এক এসআইসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। ওই এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হচ্ছে।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, এসআই আমিনুল দায়িত্বরত (ডিউটিতে) ছিলেন না। এ ফাঁকে দুই সহযোগীকে নিয়ে তিনি বিদেশফেরত এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাদের আটক করার পর পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে আসে। তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে যান।

গ্রেপ্তার এসআই আমিনুলের সহযোগীর নাম শহীদুল ইসলাম জাহেদ (৪৫)। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তার পুলের কেবি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, বেলা তিনটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। সৌদিপ্রবাসী আবদুল খালেক চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলেন। তাকে বহনকারী গাড়ি খুলশী টাইগার পাস এলাকায় পৌঁছালে তার গতি রোধ করেন এসআই আমিনুল ইসলাম। দুই সহযোগীকে নিয়ে তিনি প্রবাসী আবদুল খালেকের কাছ থেকে ১৬ ভরি সোনা ছিনিয়ে নেন। এরপর ওই গাড়িসহ প্রবাসীকে নিয়ে নগরের কয়েকটি জায়গায় ঘোরেন।

একপর্যায়ে আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কে নিয়ে প্রবাসীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে চেষ্টা করেন এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময় প্রবাসী আবদুল খালেক পুলিশ কর্মকর্তার কাপড় ধরে রাখেন। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। এরই মধ্যে সেখানে লোকজন ভিড় জমান। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ। তারা খুলশী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুলকে আটক করেন। দ্বিতীয় সহযোগী পালিয়ে যান।