ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবিধান লঙ্ঘন করে কম্প্রোমাইজ করা যায় না: ওবায়দুল কাদের

সংবিধান লঙ্ঘন করে কম্প্রোমাইজ করা যায় না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি অসাংবিধানিক দাবিগুলো সামনে এনে সমঝোতার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ‘মেক এ কম্প্রোমাইজ’ করা যায় না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা (বিএনপি) নির্বাচনে যাবে না, এসব বিষয়ে কথা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব বিষয় কথায় কথায় এসেছে, তারা বলেনি। আমি বলেছি যে, বিএনপি নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে এসব বিষয় বলেছে। তারা বলেছে, সমঝোতায় সমাধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কম্প্রোমাইজ এবং এডজাস্টমেন্ট, সেটারও স্পেস থাকতে হবে। কম্প্রোমাইজ এবং এডজাস্টমেন্টের স্পেসটা বিএনপি ব্লক করে দিয়েছে। এভাবে তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়। আমরা প্রতিনিধিদলকে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী কেন পদত্যাগ করবে? কী কারণ? সংসদে মেজরিটি হারাইছে? না রাস্তায় উপচেপড়া ঢল নেমেছে? ৭০ ভাগ ভোটার শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কথায় কথায় বলেছে, কম্প্রোমাইজের কথা বলতেই পারে। আমরা বলেছি, এর কোনো পথ তারা খোলা রাখেনি। একটা ক্লোজ চ্যাপ্টার, একটা ডেড ইস্যু—তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সামনে নিয়ে আসছে, সেটা ছাড়া হবে না। তাদের এক দফা তত্ত্বাবধায়ক, এক দফা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, তাদের এক দফা সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশনকেও বাতিল করতে হবে। এসব দাবির মুখে কী করে কম্প্রোমাইজ হবে?’

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক নয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি, এমন বিষয়ে কী কথা হয়েছে? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা এখানে কোনো অবস্থাতেই মধ্যস্থতা করতে আসেনি। আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে, এর কোনো সমাধান খুঁঝে পাওয়া যায়নি। তেমন কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে আমাদের মনে হয়নি। তারা আসলে আমাদের মনোভাবটা জানতে চেয়েছে, পরিবেশটা জানতে চেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের গণতেন্ত্রের ভবিষ্যৎটা কিভাবে দেখছি। এসব ব্যাপারে কথা বলেছেন।’

বিএনপি বলেছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে, এর বাইরে নির্বাচনে যাবে না। এ বিষয়ে প্রতিনিধিদল আপনাদের কিছু বলেছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের কথা-বার্তা আমাদের কাছে খুব পজিটিভ মনে হয়েছে। তারা কোনো পক্ষ বা বায়াস্ট এটিচিউড নিয়ে কথা বলেছেন, এমন নয়। এই প্রতিনিধিদল আমাদের সাথে কোনো পক্ষ নিয়ে কথা বলেনি।

এখানে তারা পরিস্থিতিটা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চান, এটাই আমরা বুঝেছি। বাস্তব অবস্থা, ভায়োলেন্সের কোনো আশঙ্কা আছে কি না, এসব তারা পর্যবেক্ষণ করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তাদের সঙ্গে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে ৮২টি সংস্কার শেখ হাসিনার সরকার করেছে, সে ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি।’

‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে শেখ হাসিনা যে অঙ্গিকার জতির কাছে করেছে, সে বিষয়ে আমরা আইআরআই ও এনডিআর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলেছি। বিএনপি যেসব অভিযোগ তাদের কাছে করেছে, তার জবাব আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা জানি যে, সভা-সমাবেশ যেভাবে তথ্য পরিবেশন করে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা, সে ব্যাপারে আমাদের সঠিকতার বিষয়টি আমরা তাদের বলেছি। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিধিদল অবশ্য বলেছে, তারা কোনো বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে আসেনি। তারা এখানে একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চায়। আমরাও বলেছি, আমরা একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মারিয়া চিন বিনতে আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে অংশ নিয়েছেন ১২ সদস্যের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—মারিও মাইত্রি, জেমি ক্যানডেন্স সাক্স স্পাইকারম্যান, আকাশ সিসাসাই কুলোরি, ডেনিয়েল মাইকেল রেইলি, জিওফ্রে পিটার ম্যাকডোনাল্ট।

প্রতিনিধিদলটি ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআই’র নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে এ যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করবে।

প্রতিনিধিদলটি এক সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থানকালে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, বিদেশি কূটনীতিক, সুশীলসমাজ, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবে। গত শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ঢাকায় পৌছায়। বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব

সংবিধান লঙ্ঘন করে কম্প্রোমাইজ করা যায় না: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৫:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপি অসাংবিধানিক দাবিগুলো সামনে এনে সমঝোতার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ‘মেক এ কম্প্রোমাইজ’ করা যায় না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা (বিএনপি) নির্বাচনে যাবে না, এসব বিষয়ে কথা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব বিষয় কথায় কথায় এসেছে, তারা বলেনি। আমি বলেছি যে, বিএনপি নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে এসব বিষয় বলেছে। তারা বলেছে, সমঝোতায় সমাধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কম্প্রোমাইজ এবং এডজাস্টমেন্ট, সেটারও স্পেস থাকতে হবে। কম্প্রোমাইজ এবং এডজাস্টমেন্টের স্পেসটা বিএনপি ব্লক করে দিয়েছে। এভাবে তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়। আমরা প্রতিনিধিদলকে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী কেন পদত্যাগ করবে? কী কারণ? সংসদে মেজরিটি হারাইছে? না রাস্তায় উপচেপড়া ঢল নেমেছে? ৭০ ভাগ ভোটার শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কথায় কথায় বলেছে, কম্প্রোমাইজের কথা বলতেই পারে। আমরা বলেছি, এর কোনো পথ তারা খোলা রাখেনি। একটা ক্লোজ চ্যাপ্টার, একটা ডেড ইস্যু—তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সামনে নিয়ে আসছে, সেটা ছাড়া হবে না। তাদের এক দফা তত্ত্বাবধায়ক, এক দফা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, তাদের এক দফা সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশনকেও বাতিল করতে হবে। এসব দাবির মুখে কী করে কম্প্রোমাইজ হবে?’

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক নয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি, এমন বিষয়ে কী কথা হয়েছে? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা এখানে কোনো অবস্থাতেই মধ্যস্থতা করতে আসেনি। আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে, এর কোনো সমাধান খুঁঝে পাওয়া যায়নি। তেমন কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে আমাদের মনে হয়নি। তারা আসলে আমাদের মনোভাবটা জানতে চেয়েছে, পরিবেশটা জানতে চেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের গণতেন্ত্রের ভবিষ্যৎটা কিভাবে দেখছি। এসব ব্যাপারে কথা বলেছেন।’

বিএনপি বলেছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে, এর বাইরে নির্বাচনে যাবে না। এ বিষয়ে প্রতিনিধিদল আপনাদের কিছু বলেছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের কথা-বার্তা আমাদের কাছে খুব পজিটিভ মনে হয়েছে। তারা কোনো পক্ষ বা বায়াস্ট এটিচিউড নিয়ে কথা বলেছেন, এমন নয়। এই প্রতিনিধিদল আমাদের সাথে কোনো পক্ষ নিয়ে কথা বলেনি।

এখানে তারা পরিস্থিতিটা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চান, এটাই আমরা বুঝেছি। বাস্তব অবস্থা, ভায়োলেন্সের কোনো আশঙ্কা আছে কি না, এসব তারা পর্যবেক্ষণ করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তাদের সঙ্গে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে ৮২টি সংস্কার শেখ হাসিনার সরকার করেছে, সে ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি।’

‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে শেখ হাসিনা যে অঙ্গিকার জতির কাছে করেছে, সে বিষয়ে আমরা আইআরআই ও এনডিআর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলেছি। বিএনপি যেসব অভিযোগ তাদের কাছে করেছে, তার জবাব আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা জানি যে, সভা-সমাবেশ যেভাবে তথ্য পরিবেশন করে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা, সে ব্যাপারে আমাদের সঠিকতার বিষয়টি আমরা তাদের বলেছি। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিধিদল অবশ্য বলেছে, তারা কোনো বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে আসেনি। তারা এখানে একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চায়। আমরাও বলেছি, আমরা একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মারিয়া চিন বিনতে আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে অংশ নিয়েছেন ১২ সদস্যের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—মারিও মাইত্রি, জেমি ক্যানডেন্স সাক্স স্পাইকারম্যান, আকাশ সিসাসাই কুলোরি, ডেনিয়েল মাইকেল রেইলি, জিওফ্রে পিটার ম্যাকডোনাল্ট।

প্রতিনিধিদলটি ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআই’র নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে এ যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করবে।

প্রতিনিধিদলটি এক সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থানকালে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, বিদেশি কূটনীতিক, সুশীলসমাজ, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবে। গত শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ঢাকায় পৌছায়। বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি।