ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের আগে প্রতিদিন বিভিন্ন দূতাবাসে ধরনা দিতো বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন দূতাবাসে ধরনা দিতো। দেন-দরবার করতো, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

তিনি বলেন, নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা না থাকতো বেশি মানুষ ভোট দিতো। গত দু’তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিও বা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনো হুমকি ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন চমৎকার না হলে বিশ্বের ৮০ দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এজন্য বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানীং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন।

মঈন খানের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করছেন। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্যসচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাওয়ার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল। এভাবে দেশে খাদ্য সংকট তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা কমানোর চেষ্টা করেছিল। সেটির পুরস্কারস্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করবো। ওনার সন্তান মঈন খান।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে ও দেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরের মতো হয়ে গেছে। গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

নির্বাচনের আগে প্রতিদিন বিভিন্ন দূতাবাসে ধরনা দিতো বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন দূতাবাসে ধরনা দিতো। দেন-দরবার করতো, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

তিনি বলেন, নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা না থাকতো বেশি মানুষ ভোট দিতো। গত দু’তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিও বা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনো হুমকি ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন চমৎকার না হলে বিশ্বের ৮০ দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এজন্য বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানীং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন।

মঈন খানের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করছেন। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্যসচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাওয়ার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল। এভাবে দেশে খাদ্য সংকট তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা কমানোর চেষ্টা করেছিল। সেটির পুরস্কারস্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করবো। ওনার সন্তান মঈন খান।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে ও দেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরের মতো হয়ে গেছে। গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।