এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তসহ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধিত করলো বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখা।
শনিবার (১৮ মে) শহরস্থ একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি শাহীন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী, ছাত্রশিবির শাবিপ্রবির শাখার সভাপতি জহির উদ্দিন শিপন, সিলেট জেলা পূর্বের সভাপতি নাজমুল হাসান শিকদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্য কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বড় যে সমস্যাসমূহ তার মধ্যে একটি হলো মাদকাসক্ত। মাদকে আজ আমাদের সমাজ সয়লাব হয়ে গেছে। ইসলামী ছাত্রশিবির এমন সংবর্ধনার আয়োজন করে তোদের কাছে সত্যের বাণী পৌঁছে দিতে চায়। তোমাদের এ কৃতিত্বের সম্পূর্ণ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত মহান রব আল্লাহর কাছে। এই সফলতার কৃতিত্ব তোমার বাবা-মায়ের, তোমাদের উচিত তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা।
তিনি আরো বলেন, আজকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা এ অপূর্ণতাকে পূর্ণ করে দেয়। সূরা লুকমানে আল্লাহ তা’লা জানান, আমরা আমাদের পিতা মাতাকে সম্মান করবো, আল্লাহর সাথে শিরক করবো না, খারাপ কাজ করলে এর জবাবদিহিতা নেওয়া হবে। আখেরাতমুখী একটি জাতি তৈরি করাই আমাদের এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। তোমাদের অর্জনের যাত্রা এখন শুরু হলো মাত্র, সামনে তোমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ধাপে ধাপে পরিশ্রমের মাত্রা বাড়বে, প্রতিযোগীতা বাড়বে। তাই তোমাদের কষ্টসহিষ্ণু হতে হবে।
দপ্তর সম্পাদক আরো বলেন, ব্যর্থ মানুষকে কখনোই ইতিহাস স্মরণে রাখে না। ছাত্রশিবির ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে তোমাদের নিয়ে আসতে চায়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক ভাইয়েরা যে বা যারা যে পজিশনে দায়িত্বপালন করেছেন, তারা দূর্নীতি মুক্ত ছিলেন। আমরা দূর্নীতি মুক্ত একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। এই শিক্ষা ব্যবস্থা মোরালিটি কেড়ে নিতে চায়। এই পৃথিবী থেকে আমাদের বিদায় নিতে হবে, তাই আমরা যেনো জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি।
কেদ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ সভাপতিত্বের বক্তব্যে বলেন, ‘প্রথমে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সম্মানিত কৃতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও মেহমানবৃন্দকে ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরের সুন্দর আয়োজনে উপস্থিত হয়ে আমাদের আয়োজন কে সফল করেছেন। প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজকের এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সংকট হচ্ছে মানবতার, ও মনুষ্যত্ববোধের । আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাবো, আমরা যেন মনুষ্যত্ববোধ ও মানবতা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি এবং সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারি। আমরা যদি সঠিক জীবন গড়তে পারি তাহলে আজকের এই সংবর্ধনা আমাদের জন্য শেষ নয়, কেয়ামতের দিন আমাদের জন্য আরেকটা সংবর্ধনা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, উক্ত কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনায় প্রায় চারশত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট, বই, ডায়রি, কলম এবং ফুলের স্টিকসহ উপহার বক্স প্রদান করা হয়।