ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় মধ্যরাতে আসিফ মাহমুদের স্ট্যাটাস Logo থানায় অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত বিধান করতে যাচ্ছে সরকার Logo মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেফতার Logo কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৩, ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল অভিযুক্ত Logo দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড় Logo ভারতের‘অপারেশন সিঁদু’র নেতৃত্ব দেওয়া সেই পরাগ হলেন ‘র’ প্রধান Logo গভীর রাতে তরুণীসহ আটক জবি ছাত্রদল নেতা রিফাত, ভিডিও ভাইরাল Logo বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ায় থানা ঘেরাও Logo পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিকে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি Logo শিক্ষক পরিষদ গঠন করে নোবিপ্রবিতে চলছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের পুনর্বাসন

কেএনএফ নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

কেএনএফ নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

বান্দরবানে লাইমি পাড়া থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’র (কেএনএফ) নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব)। শুক্রবার (১৭ মে) সাড়ে ৬টার দিকে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে র‍্যাব-১৫’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আকিম বম বান্দরবান সদর উপজেলার লাইমিপাড়ার সিয়াম খং বমের মেয়ে।

র‍্যাব-১৫’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, র‍্যাব-১৫ বান্দরবান ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৬টার দিকে বান্দরবান জেলার সদর লাইমিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আকিম বমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

আকিম বম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে যে, বিগত ২০২৩ সালে সে কাল্লা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে অধ্যয়নকালে মাইকেল নামে একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মাইকেলের মাধ্যমে সে কেএনএ’র (কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি) ট্রেনিং-এ যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। সেই সুবাদে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আকিম ও মাইকেল সন্ধ্যা বেলায় পায়ে হেঁটে কেএনএ’র ট্রেনিং সেন্টারের উদ্দেশে যায়। পরবর্তী দিন ভোর পাঁচটার দিকে তারা রোয়াংছড়ির গহীন পাহাড়ি ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছানোর পর ভান খার ময় বম নামে কেএনএ’র একজন নারী কমান্ডারের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়।

তার ভাষ্যমতে, সেখানে আরও অনেক মেয়ে ছিল; তাদের বেশিরভাগই মুখে কালি মাখতো। তাদের ট্রেনিং সেন্টারের নাম ছিল কেডিওন (ঈশ্বরের দিকে)। আকিম বমসহ তাদের ব্যাচে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতো ৪-৫ জন।

এ পর্যন্ত ২৩ জন নারীসহ ৮৬ জনকে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় ৯টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাই করা হয়।

মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় মধ্যরাতে আসিফ মাহমুদের স্ট্যাটাস

কেএনএফ নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বান্দরবানে লাইমি পাড়া থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’র (কেএনএফ) নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব)। শুক্রবার (১৭ মে) সাড়ে ৬টার দিকে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে র‍্যাব-১৫’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত আকিম বম বান্দরবান সদর উপজেলার লাইমিপাড়ার সিয়াম খং বমের মেয়ে।

র‍্যাব-১৫’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, র‍্যাব-১৫ বান্দরবান ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৬টার দিকে বান্দরবান জেলার সদর লাইমিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আকিম বমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

আকিম বম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে যে, বিগত ২০২৩ সালে সে কাল্লা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে অধ্যয়নকালে মাইকেল নামে একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মাইকেলের মাধ্যমে সে কেএনএ’র (কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি) ট্রেনিং-এ যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। সেই সুবাদে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আকিম ও মাইকেল সন্ধ্যা বেলায় পায়ে হেঁটে কেএনএ’র ট্রেনিং সেন্টারের উদ্দেশে যায়। পরবর্তী দিন ভোর পাঁচটার দিকে তারা রোয়াংছড়ির গহীন পাহাড়ি ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছানোর পর ভান খার ময় বম নামে কেএনএ’র একজন নারী কমান্ডারের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়।

তার ভাষ্যমতে, সেখানে আরও অনেক মেয়ে ছিল; তাদের বেশিরভাগই মুখে কালি মাখতো। তাদের ট্রেনিং সেন্টারের নাম ছিল কেডিওন (ঈশ্বরের দিকে)। আকিম বমসহ তাদের ব্যাচে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতো ৪-৫ জন।

এ পর্যন্ত ২৩ জন নারীসহ ৮৬ জনকে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় ৯টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাই করা হয়।