ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজনীতি

পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: প্রবীনদের ভীড়ে নবীন প্রার্থী পপি আলোচনার শীর্ষে 

পপি খাতুনের প্রতিক ফ্যান

আগামী ২৯ মে রাজশাহী জেলার পবা-মোহনপুর  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই এবং প্রতিক বরাদ্দ শেষ হয়েছে। এবার দুই উপজেলার মধ্যে পবা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পবা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারমান পদে চারজন প্রবীণ প্রার্থীর মধ্যে একজন নবীন ও তরুণ মুখ পপি খাতুন। তাঁর প্রতিক ফ্যান। এবার পবায় প্রবীণদের ভীড়ে নবীন প্রার্থী পপি খাতুন আলোচনার শীর্ষে আছেন।

পপি পবা উপজেলার দারুশা ধর্মহাটা এলাকার শুকুর আলীর মেয়ে। বর্তমান তিনি সিটি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের রাজনীতি করে বেড়ে উঠা পপি প্রবীনদের চেয়ে শিক্ষিত। ছাত্র রাজনীতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত তিনি। পড়াশোনা পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন পবা উপজেলার সমন্বয়ক ও অপর সেচ্ছাসেবী সংগঠন দু:স্থ মানবসেবা সংস্থার কোষাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যোগ দেন সমাজ সেবা ও সেচ্ছাসেবী কাজে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি এসব সেবাধর্মী কাজ করেন। সেই জায়গা থেকে তিনি এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।  অন্য প্রার্থীদের তুলনায় তিনি যেমন একেবারেই কম বয়সী তরুণ, তেমনি শিক্ষিত একজন প্রার্থী। সেবার মাধ্যমে তিনি এ উপজেলার প্রায় সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে পরিচিত মুখ। জনপ্রিয় এ প্রার্থী এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনসেবা করতে চান।

তরুণ নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পপি খাতুন বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের জীবন মানের উন্নতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে নারীরাও পিছিয়ে নেই। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। সেই জায়গা থেকে তিনি নারীদের মর্যাদা, নারীদের সব ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে আমি সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। জনগণের দৌরগোড়ায় সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে আমি নির্বাচন করছি।

তিনি বলেন, আমি মূলত পড়াশোনার পাশাপাশি পবাসহ আশপাশের এলাকায় সেচ্ছাসেবি কাজ করে থাকি। সেই জায়গা থেকে সাধারণ ভোটাররা যদি আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তাহলে আমি তাদের প্রত্যাশা পুরণ করার চেষ্টা করবো। আমি ছোট থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। সামাজিক কাজ করে যাচ্ছি। সেচ্ছাসেবি সংগঠন তৈরি করে সেবা মানুষের দৌরগোড়ায় পৌছানোর চেষ্টা করছি। এবার যদি পবা বাসী আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন আমি তাদেরই একজন হয়ে কাজ করবো। এবার আমাকে পবা বাসী ফ্যান প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে অবশ্যই আমি এলাকাবাসীর উন্নয়নে সবার চেয়ে বেশি চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

এ উপজেলার ভোটাররা বলেন, পবা উপজেলায় প্রবীনদের ভীড়ে নবীন মুখ পপি খাতুন এবার আলোচনার শীর্ষে আছেন। প্রবীনদের পূর্বের কাজ ও বয়সের ভাড়ে এখন অনেক এলাকাবাসী তাদের চিনেন না বললেই চলে। সে হিসেবে নতুন মুখ সেচ্ছাসেবী পপিকে প্রায় সবাই চিনে। নতুন ও তরুণ হওয়ায় সে সব এলাকায় ছুটে চলেছে। সবার দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিত করতে এমন একজন তরুণ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন পবা উপজেলাবাসী। 
উল্লেখ্য, পবা উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩০ হাজার ৯০১ জন ও মহিলা এক লাখ ২৯ হাজার ৯৩৪ জন এবং হিজড়া ৩ জন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনীতি

পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: প্রবীনদের ভীড়ে নবীন প্রার্থী পপি আলোচনার শীর্ষে 

আপডেট সময় ১২:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

আগামী ২৯ মে রাজশাহী জেলার পবা-মোহনপুর  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই এবং প্রতিক বরাদ্দ শেষ হয়েছে। এবার দুই উপজেলার মধ্যে পবা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পবা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারমান পদে চারজন প্রবীণ প্রার্থীর মধ্যে একজন নবীন ও তরুণ মুখ পপি খাতুন। তাঁর প্রতিক ফ্যান। এবার পবায় প্রবীণদের ভীড়ে নবীন প্রার্থী পপি খাতুন আলোচনার শীর্ষে আছেন।

পপি পবা উপজেলার দারুশা ধর্মহাটা এলাকার শুকুর আলীর মেয়ে। বর্তমান তিনি সিটি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের রাজনীতি করে বেড়ে উঠা পপি প্রবীনদের চেয়ে শিক্ষিত। ছাত্র রাজনীতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত তিনি। পড়াশোনা পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন পবা উপজেলার সমন্বয়ক ও অপর সেচ্ছাসেবী সংগঠন দু:স্থ মানবসেবা সংস্থার কোষাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যোগ দেন সমাজ সেবা ও সেচ্ছাসেবী কাজে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি এসব সেবাধর্মী কাজ করেন। সেই জায়গা থেকে তিনি এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।  অন্য প্রার্থীদের তুলনায় তিনি যেমন একেবারেই কম বয়সী তরুণ, তেমনি শিক্ষিত একজন প্রার্থী। সেবার মাধ্যমে তিনি এ উপজেলার প্রায় সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে পরিচিত মুখ। জনপ্রিয় এ প্রার্থী এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনসেবা করতে চান।

তরুণ নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পপি খাতুন বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের জীবন মানের উন্নতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে নারীরাও পিছিয়ে নেই। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। সেই জায়গা থেকে তিনি নারীদের মর্যাদা, নারীদের সব ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে আমি সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। জনগণের দৌরগোড়ায় সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে আমি নির্বাচন করছি।

তিনি বলেন, আমি মূলত পড়াশোনার পাশাপাশি পবাসহ আশপাশের এলাকায় সেচ্ছাসেবি কাজ করে থাকি। সেই জায়গা থেকে সাধারণ ভোটাররা যদি আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তাহলে আমি তাদের প্রত্যাশা পুরণ করার চেষ্টা করবো। আমি ছোট থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। সামাজিক কাজ করে যাচ্ছি। সেচ্ছাসেবি সংগঠন তৈরি করে সেবা মানুষের দৌরগোড়ায় পৌছানোর চেষ্টা করছি। এবার যদি পবা বাসী আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন আমি তাদেরই একজন হয়ে কাজ করবো। এবার আমাকে পবা বাসী ফ্যান প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে অবশ্যই আমি এলাকাবাসীর উন্নয়নে সবার চেয়ে বেশি চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

এ উপজেলার ভোটাররা বলেন, পবা উপজেলায় প্রবীনদের ভীড়ে নবীন মুখ পপি খাতুন এবার আলোচনার শীর্ষে আছেন। প্রবীনদের পূর্বের কাজ ও বয়সের ভাড়ে এখন অনেক এলাকাবাসী তাদের চিনেন না বললেই চলে। সে হিসেবে নতুন মুখ সেচ্ছাসেবী পপিকে প্রায় সবাই চিনে। নতুন ও তরুণ হওয়ায় সে সব এলাকায় ছুটে চলেছে। সবার দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিত করতে এমন একজন তরুণ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন পবা উপজেলাবাসী। 
উল্লেখ্য, পবা উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩০ হাজার ৯০১ জন ও মহিলা এক লাখ ২৯ হাজার ৯৩৪ জন এবং হিজড়া ৩ জন।