ঢাকা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার Logo ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সংসদ নির্বাচনের তফসিল: ইসি Logo ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা Logo ধর্ষকদের শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা Logo ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ Logo ‘জুলাই-আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান Logo ভারতকে হারালে ১ কোটি রুপি পুরস্কার পাবেন রিজওয়ানরা, প্রতিশ্রুতি গভর্নরের Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

সাকিবকে ছোট করা মানে দেশ এবং জাতিকে ছোট করা

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল থেকে তামিম ইকবাল বাদ পড়ার পর মাঠে নামলেই সাকিবকে ভুয়া ভুয়া দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছে। সবশেষ বিপিএলে মিরপুর, সিলেট এবং চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামেও দেখা গেছে একই চিত্র। তবে সাকিবকে নিয়ে দর্শকদের এমন মনোভাব কোনোভাবেই মানতে পারেননি ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।

কায়েসের মতে সাকিবকে ছোট করা মানে দেশকে ছোট করা। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা করা প্রসঙ্গে কায়েস বলেন, এখন যেটা হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থকরা একজন ক্রিকেটারকে আক্রমণ করছে। এই জিনিসগুলো করা মানে নিজেদের ক্ষতি করা। জাতীয় দলে একটা ছেলে অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আসে। এক রাতেই সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যায় না।

সাকিবকে নিয়ে ট্রল করা নিয়ে তিনি বলেন, আপনি সাকিবের মতো ক্রিকেটারকে নিয়ে যখন ট্রল করছেন, তখন এখানে আমার মতো কিংবা তরুণ ক্রিকেটারদের অস্তিত্বটা কোথায় থাকে? সাকিবকে ছোট করা মানে দেশকে ছোট করা, জাতিকে ছোট করা।

‘জাতীয় দলের ক্রিকেটার সব সময়ই দেশের সম্পদ। আমি সম্পদকে নষ্ট করার জন্যই ট্রল করছি! এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত। এই ট্রলের কারণেই আমাদের ক্রিকেটাররা ধারাবাহিক খেলতে পারছেন না।’

সাকিব আল হাসান ছাড়াও বিশ্বের সব থেকে বড় বড় তারকাদের ক্যারিয়ার ছিল উত্থান-পতন দিয়ে গড়া। এটাই ক্রিকেটের আসল চরিত্র। কখনও ফর্ম খুব ভালো থাকবে, কখনও খারাপ যাবে এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনে নিতেই হবে।

কিন্তু বাংলাদেশ সমর্থকরা এটা মানতে নারাজ। তারা সাকিব-তামিমের মতো তারকা ক্রিকেটারদের কাছে প্রতিদিন সেরা পারফরম্যান্স আশা করেন।

আর যখন তাদের আশাতীত পারফরম্যান্স না হয় তখন ওই ক্রিকেটার সাকিব নাকি তাসকিন, এটা বিবেচনা না করেই সমালোচনায় মাতেন।

সেই সমালোচনা মাঝে মধ্যে এতটা তিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন ক্রিকেটাররা আর মানসিকভাবে নিতে পারেন না। এ ছাড়াও যা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বাইরেও। ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার

সাকিবকে ছোট করা মানে দেশ এবং জাতিকে ছোট করা

আপডেট সময় ০৭:১৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল থেকে তামিম ইকবাল বাদ পড়ার পর মাঠে নামলেই সাকিবকে ভুয়া ভুয়া দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছে। সবশেষ বিপিএলে মিরপুর, সিলেট এবং চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামেও দেখা গেছে একই চিত্র। তবে সাকিবকে নিয়ে দর্শকদের এমন মনোভাব কোনোভাবেই মানতে পারেননি ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।

কায়েসের মতে সাকিবকে ছোট করা মানে দেশকে ছোট করা। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা করা প্রসঙ্গে কায়েস বলেন, এখন যেটা হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থকরা একজন ক্রিকেটারকে আক্রমণ করছে। এই জিনিসগুলো করা মানে নিজেদের ক্ষতি করা। জাতীয় দলে একটা ছেলে অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আসে। এক রাতেই সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যায় না।

সাকিবকে নিয়ে ট্রল করা নিয়ে তিনি বলেন, আপনি সাকিবের মতো ক্রিকেটারকে নিয়ে যখন ট্রল করছেন, তখন এখানে আমার মতো কিংবা তরুণ ক্রিকেটারদের অস্তিত্বটা কোথায় থাকে? সাকিবকে ছোট করা মানে দেশকে ছোট করা, জাতিকে ছোট করা।

‘জাতীয় দলের ক্রিকেটার সব সময়ই দেশের সম্পদ। আমি সম্পদকে নষ্ট করার জন্যই ট্রল করছি! এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত। এই ট্রলের কারণেই আমাদের ক্রিকেটাররা ধারাবাহিক খেলতে পারছেন না।’

সাকিব আল হাসান ছাড়াও বিশ্বের সব থেকে বড় বড় তারকাদের ক্যারিয়ার ছিল উত্থান-পতন দিয়ে গড়া। এটাই ক্রিকেটের আসল চরিত্র। কখনও ফর্ম খুব ভালো থাকবে, কখনও খারাপ যাবে এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনে নিতেই হবে।

কিন্তু বাংলাদেশ সমর্থকরা এটা মানতে নারাজ। তারা সাকিব-তামিমের মতো তারকা ক্রিকেটারদের কাছে প্রতিদিন সেরা পারফরম্যান্স আশা করেন।

আর যখন তাদের আশাতীত পারফরম্যান্স না হয় তখন ওই ক্রিকেটার সাকিব নাকি তাসকিন, এটা বিবেচনা না করেই সমালোচনায় মাতেন।

সেই সমালোচনা মাঝে মধ্যে এতটা তিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন ক্রিকেটাররা আর মানসিকভাবে নিতে পারেন না। এ ছাড়াও যা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বাইরেও। ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়।