ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

কোনটা খাবেন চা নাকি কফি

চা নাকি কফি, এই প্রশ্নে অনেকেই চুপ হয়ে যায়। তবে শীতকালে অনেকে চায়ের চেয়ে বেশি পান করেন কফি। কিন্তু গ্রীষ্মকালের পরিস্থিতি একেবারে আলাদা থাকে। যদিও বেশিরভাগ দেশের মানুষ গরমে চা এবং কফির বদলে মিল্কশেক ও ঠান্ডা পানীয় খান। কিন্তু চিরাচরিত গরম চা ও কফির কাপে চুমুক দিতেই ভালোবাসেন বাঙালিরা। কিন্তু এই চা ও কফি খাওয়ার একাধিক সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে।

গরমকালে চা ও কফির মধ্যে কোনটা খাওয়া উচিত? চলুন জেনে নিই-

কফি
এক কাপ কফি শুধুমাত্র আমাদের শরীরের তাপমাত্রার হেরফের ঘটায় না, ক্যাফেইনের দৈনিক চাহিদাও পূরণ করে। তাই ক্যাফেইন যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য অবশ্যই কফি সেরা পানীয়। কিন্তু ঠান্ডা কফিতে ক্যাফেইন কম থাকায় তা অনেকের মন না-ও ভরাতে পারে। কেননা, এক কাপ গরম কফি চাপ কমাতে কাজ করে এবং মন ভালো করে দেয়। তবে এই গরমে ওজন কমাতে চাইলে দুধ ও ফ্লেভারড কফির পরিবর্তে ব্ল্যাক কফি বেছে নেয়াই ভালো হবে।

চা
চায়ের অনেক উপকারিতা রয়েছে। গ্রীষ্মে গরম চা খেলে শরীরের স্বাভাবিক হোমিওস্ট্যাটিক তাপমাত্রা ঠান্ডা হয়। এটি শুধু শরীরকে রিল্যাক্স করে না, হজমের সমস্যাও কমায়। পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে পুষ্টি ও খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি তা শরীরকে হাইড্রেট করার জন্যও উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে গরম চা যেমন ঠিকঠাক, তেমনই আবার ঠান্ডা চা-ও মন্দ নয়। বিশেষত, আইসড গ্রিন টি-তে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে না বলে এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।

কোনটা খাওয়া সঠিক

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তীব্র গরমে কফির চেয়ে চা খাওয়াই ভালো। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে তাপমাত্রা বাড়ায় এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। চায়ে সঠিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকলেও কফিতে চায়ের থেকে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। তাছাড়া এক কাপ চায়ের পুষ্টিগুণ এক কাপ কফির চেয়ে অনেক বেশি। যেমন চায়ের মেটাবলিজম এবং হাইড্রেশনের গুণ কফিতে নেই। পাশাপাশি ফ্লেভারড কফি অত্যন্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও উপযুক্ত নয়। এক্ষেত্রে আইসড টি কোল্ড কফির চেয়ে বেশি উপকারী।

সূত্র: আজতাক বাংলা

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

কোনটা খাবেন চা নাকি কফি

আপডেট সময় ০৬:৪০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

চা নাকি কফি, এই প্রশ্নে অনেকেই চুপ হয়ে যায়। তবে শীতকালে অনেকে চায়ের চেয়ে বেশি পান করেন কফি। কিন্তু গ্রীষ্মকালের পরিস্থিতি একেবারে আলাদা থাকে। যদিও বেশিরভাগ দেশের মানুষ গরমে চা এবং কফির বদলে মিল্কশেক ও ঠান্ডা পানীয় খান। কিন্তু চিরাচরিত গরম চা ও কফির কাপে চুমুক দিতেই ভালোবাসেন বাঙালিরা। কিন্তু এই চা ও কফি খাওয়ার একাধিক সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে।

গরমকালে চা ও কফির মধ্যে কোনটা খাওয়া উচিত? চলুন জেনে নিই-

কফি
এক কাপ কফি শুধুমাত্র আমাদের শরীরের তাপমাত্রার হেরফের ঘটায় না, ক্যাফেইনের দৈনিক চাহিদাও পূরণ করে। তাই ক্যাফেইন যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য অবশ্যই কফি সেরা পানীয়। কিন্তু ঠান্ডা কফিতে ক্যাফেইন কম থাকায় তা অনেকের মন না-ও ভরাতে পারে। কেননা, এক কাপ গরম কফি চাপ কমাতে কাজ করে এবং মন ভালো করে দেয়। তবে এই গরমে ওজন কমাতে চাইলে দুধ ও ফ্লেভারড কফির পরিবর্তে ব্ল্যাক কফি বেছে নেয়াই ভালো হবে।

চা
চায়ের অনেক উপকারিতা রয়েছে। গ্রীষ্মে গরম চা খেলে শরীরের স্বাভাবিক হোমিওস্ট্যাটিক তাপমাত্রা ঠান্ডা হয়। এটি শুধু শরীরকে রিল্যাক্স করে না, হজমের সমস্যাও কমায়। পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে পুষ্টি ও খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি তা শরীরকে হাইড্রেট করার জন্যও উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে গরম চা যেমন ঠিকঠাক, তেমনই আবার ঠান্ডা চা-ও মন্দ নয়। বিশেষত, আইসড গ্রিন টি-তে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে না বলে এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।

কোনটা খাওয়া সঠিক

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তীব্র গরমে কফির চেয়ে চা খাওয়াই ভালো। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে তাপমাত্রা বাড়ায় এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। চায়ে সঠিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকলেও কফিতে চায়ের থেকে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। তাছাড়া এক কাপ চায়ের পুষ্টিগুণ এক কাপ কফির চেয়ে অনেক বেশি। যেমন চায়ের মেটাবলিজম এবং হাইড্রেশনের গুণ কফিতে নেই। পাশাপাশি ফ্লেভারড কফি অত্যন্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও উপযুক্ত নয়। এক্ষেত্রে আইসড টি কোল্ড কফির চেয়ে বেশি উপকারী।

সূত্র: আজতাক বাংলা