ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামি স্বাধীন Logo আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জুলাই মঞ্চ লক্ষ্মীপুরের আলোচনা সভা Logo আগামীর সংবিধানে ইসলামী শ্রমনীতি অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই Logo চাঁদা না পেয়ে গাজীপুরের পোশাক শ্রমিককে পেটাল ছাত্রদল নেতা Logo সীমাবদ্ধতার মাঝেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি Logo আসন্ন নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে একটি দৃষ্টান্ত রূপ দেবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যায় ইউনাইটেড মিডিয়া ফোরামের শোক ও নিন্দা Logo গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা, এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৭ Logo ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করবে’-আলী নেওয়াজ

রাতে ঘুমের সঠিক টাইম কখন

  • এম এ
  • আপডেট সময় ০৬:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
  • 272

চিকিৎসকরা বলছেন, ঘুমের পরিমাণ কমলে একগুচ্ছ অসুস্থতা আসে। যেমন, স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে অমনযোগী হওয়া, বিলম্বিত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়া, মানসিক অসুস্থতা যেমন মাদক সেবন, হতাশা, উদ্বেগে থাকা, এমনকী গর্ভাবস্থাতেও একাধিক সমস্যার আশঙ্কা তৈরি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজের চাপ বা সময়ের অভাবে বহু মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে বাধ্য হন। কেউ কেউ আবার জেগে থাকেন স্বেচ্ছায়। কিন্তু দেরি করে ঘুমাতে গেলে ঘুমের অভাব হয়, যা ডেকে আনতে পারে বড় বড় অসুখ।

চিকিৎসকরা ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ৮ ঘণ্টা নিজের সুবিধা মতো করে ঘুমিয়ে নিলেই হবে না। কারণ ঘণ্টা হিসাবে ঘুম হলেও, ঘুমের কোনো উপকারিতাই পাবেন না। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ ১৮ বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক ও মানসিক চাপ দূর করে। কার্ডিওভাসকুলার জটিলতাসহ বিভিন্ন কঠিন রোগের ঝুঁকি কমায়।

ঘুম নিয়ে একটি বিশেষ গবেষণা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। সেই গবেষণায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত ১০টায় ঘুমাতে যাওয়া আদর্শ সময়। এমনকী রাত ১১টায় ঘুমানো হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী।

ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে প্রকাশ হয়েছে ওই গবেষণার প্রতিবেদন, যেখানে ৪৩ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৮৮ হাজার মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অ্যাক্সিলোমিটার ব্যবহার করে সেসব মানুষের ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, যারা রাত ১০টার আগে ঘুমাতে যান কাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কম। তবে রাত ১১টায় ঘুমাতে যাওয়াও উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন, মাঝ রাতের পর ঘুমাতে যাওয়া সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এতে একাধিক শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। আর দেরি করে ঘুমালে কেউ সকালে উঠতে পারেন না। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যেতে।

‘তবে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমানো সঠিক সময় হলেও এই নিয়ম সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আর আদৌ সবার এই সময়ই ঘুমানো উচিত কি না তা পরিষ্কার করে জানার জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন ও আরও সমীক্ষা প্রয়োজন’, যোগ করেন তিনি।

এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওরোসায়েন্সের লেকচারার এবং এই সমীক্ষার লেখক ড. ডেভিড প্ল্যানস বলেন, আমাদের সমীক্ষার প্রধান বিষয় একজন মানুষের ২৪ ঘণ্টার সাইকেলের মধ্যে ঘুমানোর সময় এবং নির্দিষ্ট সময়। সব চেয়ে ঝুঁকির সময় হলো মাঝ রাতের পর ঘুমানো। কারণ এতে সকালে উঠতে দেরি হয় এবং দিনের আলো শরীরে পৌঁছায় না। ফলে দেহঘড়ি ঠিক হতে সমস্যা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

রাতে ঘুমের সঠিক টাইম কখন

আপডেট সময় ০৬:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

চিকিৎসকরা বলছেন, ঘুমের পরিমাণ কমলে একগুচ্ছ অসুস্থতা আসে। যেমন, স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে অমনযোগী হওয়া, বিলম্বিত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়া, মানসিক অসুস্থতা যেমন মাদক সেবন, হতাশা, উদ্বেগে থাকা, এমনকী গর্ভাবস্থাতেও একাধিক সমস্যার আশঙ্কা তৈরি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজের চাপ বা সময়ের অভাবে বহু মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে বাধ্য হন। কেউ কেউ আবার জেগে থাকেন স্বেচ্ছায়। কিন্তু দেরি করে ঘুমাতে গেলে ঘুমের অভাব হয়, যা ডেকে আনতে পারে বড় বড় অসুখ।

চিকিৎসকরা ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ৮ ঘণ্টা নিজের সুবিধা মতো করে ঘুমিয়ে নিলেই হবে না। কারণ ঘণ্টা হিসাবে ঘুম হলেও, ঘুমের কোনো উপকারিতাই পাবেন না। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ ১৮ বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক ও মানসিক চাপ দূর করে। কার্ডিওভাসকুলার জটিলতাসহ বিভিন্ন কঠিন রোগের ঝুঁকি কমায়।

ঘুম নিয়ে একটি বিশেষ গবেষণা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। সেই গবেষণায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত ১০টায় ঘুমাতে যাওয়া আদর্শ সময়। এমনকী রাত ১১টায় ঘুমানো হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী।

ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে প্রকাশ হয়েছে ওই গবেষণার প্রতিবেদন, যেখানে ৪৩ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৮৮ হাজার মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অ্যাক্সিলোমিটার ব্যবহার করে সেসব মানুষের ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, যারা রাত ১০টার আগে ঘুমাতে যান কাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কম। তবে রাত ১১টায় ঘুমাতে যাওয়াও উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন, মাঝ রাতের পর ঘুমাতে যাওয়া সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এতে একাধিক শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। আর দেরি করে ঘুমালে কেউ সকালে উঠতে পারেন না। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যেতে।

‘তবে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমানো সঠিক সময় হলেও এই নিয়ম সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আর আদৌ সবার এই সময়ই ঘুমানো উচিত কি না তা পরিষ্কার করে জানার জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন ও আরও সমীক্ষা প্রয়োজন’, যোগ করেন তিনি।

এক্সিটার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওরোসায়েন্সের লেকচারার এবং এই সমীক্ষার লেখক ড. ডেভিড প্ল্যানস বলেন, আমাদের সমীক্ষার প্রধান বিষয় একজন মানুষের ২৪ ঘণ্টার সাইকেলের মধ্যে ঘুমানোর সময় এবং নির্দিষ্ট সময়। সব চেয়ে ঝুঁকির সময় হলো মাঝ রাতের পর ঘুমানো। কারণ এতে সকালে উঠতে দেরি হয় এবং দিনের আলো শরীরে পৌঁছায় না। ফলে দেহঘড়ি ঠিক হতে সমস্যা হয়।