ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামায়াত ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ে জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে না Logo আমাদের ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে: তাহের Logo খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি Logo জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দাবি আদায়ে কাউকে রাস্তায় নামতে হবে না -জামায়াত আমির Logo নোবিপ্রবিতে এক ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo ‘রাজনৈতিক দলগুলো সফরে যুক্ত থাকায় বাংলাদেশের ঐক্য প্রকাশ পেয়েছে’ Logo গাজীপুরে কেমিক্যাল গুদামে আগুন, ফায়ার সার্ভিসের আরেক সদস্য নিহত Logo জামায়াতে যোগ দিলেন এবি পার্টি প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী Logo চ্যানেল 24’র ক্যামেরাপার্সনসহ দুই সংবাদিকের ওপর ছাত্রদলের হামলা Logo খাগড়াছড়িতে চলছে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ

অভিজ্ঞতার কারণে লিটনকে দলে রাখা হয়েছে: শান্ত

দল নিয়ে বড় ধরনের কোন বিতর্ক নেই। তবে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। প্রথম প্রশ্ন হলো, ফর্ম ভালো না থাকার পরও ওপেনার হিসেবে কেন লিটন দাস? সৌম্য সরকার আর তানজিদ তামিমের সাথে একজন ডানহাতি ওপেনার থাকাটা ক্রিকেটীয় যুক্তিতে দরকার। শুধু সে কারণেই কি ফর্মহীন লিটন দাসকে বিশ্বকাপের মত বড় আসরে দলে নেওয়া?

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু গতকাল মঙ্গলবার দল ঘোষণার সময় এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রধান নির্বাচক বলেছেন, আমরা জানি লিটন দাস ফর্মে নেই। তারপরও তার ওপর আস্থা আছে আমাদের। তাকে নিয়ে আমরা কাজ করছি। ফর্মে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তার শট সিলেকশনে যে সমস্যা আছে , তা সংশোধনের জন্য কাজও করা হচ্ছে।

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, দলে জাকের আলী অনিকই একমাত্র উইকেটরক্ষক। বিকল্প উইকেটরক্ষকের বিষয়টিও মাথায় রেখেই লিটনকে নিয়েছেন তারা।

কিন্তু লিটনকে দলে রাখা নিয়ে এই ব্যাখ্যাতেই আলোচনা থেমে যায়নি। আজ (বুধবার) টিম বাংলাদেশের অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্সে একই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছেও।

প্রশ্ন ছিল, লিটন দাসকে দলে রাখার সিদ্ধান্তটা কি শুধুই নির্বাচকদের? আপনি অধিনায়ক হিসেবে এ ব্যাপারে কতটা জানতেন? ওপেনার বাছাইয়ে আপনার মতামত নেওয়া হয়েছিল কি? হয়ে থাকলে লিটন ইস্যুতে আপনার অবস্থানইবা কী ছিল?

অধিনায়ক শান্তর জবাব, ‘হ্যাঁ, দল নির্বাচনে ভূমিকা ছিল। আমার একার না, হেড কোচ হাথুরুসিংহেরও মতামত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই লিটনের অভিজ্ঞতাকে মূল্য দিয়েছি।’

শান্ত জানিয়ে দিলেন, লিটন ইস্যু নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট শুধু দল সাজানোর সময় না, আরও আগে থেকেই আলোচনা করেছে। তাই মুখে এ কথা, ‘আমরা অনেক আগে থেকে আলোচনা করেছিলাম। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে না। আগে থেকে আলোচনা চলতো। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠলো, লিটনের কোনো ভাল বিকল্প থাকলে আপনি কী করতেন? অধিনায়ক শান্তর পরিষ্কার কথা, বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে নতুন কাউকে নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি তারা।

শান্ত বলেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বিশ্ব আসরে শেষ মুহূর্তে নতুন কাউকে চাইনি। আমরা আশা করছি সে (লিটন) ভালো করবে।’

ট্যাগস :

জামায়াত ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ে জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে না

অভিজ্ঞতার কারণে লিটনকে দলে রাখা হয়েছে: শান্ত

আপডেট সময় ০৫:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

দল নিয়ে বড় ধরনের কোন বিতর্ক নেই। তবে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। প্রথম প্রশ্ন হলো, ফর্ম ভালো না থাকার পরও ওপেনার হিসেবে কেন লিটন দাস? সৌম্য সরকার আর তানজিদ তামিমের সাথে একজন ডানহাতি ওপেনার থাকাটা ক্রিকেটীয় যুক্তিতে দরকার। শুধু সে কারণেই কি ফর্মহীন লিটন দাসকে বিশ্বকাপের মত বড় আসরে দলে নেওয়া?

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু গতকাল মঙ্গলবার দল ঘোষণার সময় এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রধান নির্বাচক বলেছেন, আমরা জানি লিটন দাস ফর্মে নেই। তারপরও তার ওপর আস্থা আছে আমাদের। তাকে নিয়ে আমরা কাজ করছি। ফর্মে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তার শট সিলেকশনে যে সমস্যা আছে , তা সংশোধনের জন্য কাজও করা হচ্ছে।

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, দলে জাকের আলী অনিকই একমাত্র উইকেটরক্ষক। বিকল্প উইকেটরক্ষকের বিষয়টিও মাথায় রেখেই লিটনকে নিয়েছেন তারা।

কিন্তু লিটনকে দলে রাখা নিয়ে এই ব্যাখ্যাতেই আলোচনা থেমে যায়নি। আজ (বুধবার) টিম বাংলাদেশের অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্সে একই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছেও।

প্রশ্ন ছিল, লিটন দাসকে দলে রাখার সিদ্ধান্তটা কি শুধুই নির্বাচকদের? আপনি অধিনায়ক হিসেবে এ ব্যাপারে কতটা জানতেন? ওপেনার বাছাইয়ে আপনার মতামত নেওয়া হয়েছিল কি? হয়ে থাকলে লিটন ইস্যুতে আপনার অবস্থানইবা কী ছিল?

অধিনায়ক শান্তর জবাব, ‘হ্যাঁ, দল নির্বাচনে ভূমিকা ছিল। আমার একার না, হেড কোচ হাথুরুসিংহেরও মতামত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই লিটনের অভিজ্ঞতাকে মূল্য দিয়েছি।’

শান্ত জানিয়ে দিলেন, লিটন ইস্যু নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট শুধু দল সাজানোর সময় না, আরও আগে থেকেই আলোচনা করেছে। তাই মুখে এ কথা, ‘আমরা অনেক আগে থেকে আলোচনা করেছিলাম। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে না। আগে থেকে আলোচনা চলতো। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠলো, লিটনের কোনো ভাল বিকল্প থাকলে আপনি কী করতেন? অধিনায়ক শান্তর পরিষ্কার কথা, বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে নতুন কাউকে নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি তারা।

শান্ত বলেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বিশ্ব আসরে শেষ মুহূর্তে নতুন কাউকে চাইনি। আমরা আশা করছি সে (লিটন) ভালো করবে।’