ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চশমা ব্যবহার জরুরি যে কারণে

  • এম এ
  • আপডেট সময় ০১:২২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • 346

৬০০ বছর আগে সানগ্লাসের উৎপত্তি ঘটে।

১. ক্ষতিকর উপাদান থেকে চোখের সুরক্ষা
সূর্যই একমাত্র জিনিস নয়, যা আপনার চোখের ক্ষতি করতে পারে। বাইরে থাকাকালীন বালি, ধুলা, বাতাসসহ বিভিন্ন ছোট পোকা, চুল বা ময়লা চোখে যেতে পারে। চোখে বালির কণা প্রবেশ করলে জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি ও পানি পড়তে পারে। সেইসঙ্গে চোখ হয়ে যায় লালচে। বালির ক্ষুদ্র দানা চোখে ঘষা লাগায় স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এসব থেকে রক্ষা পেতে তাই সানগ্লাস ব্যবহার করা জরুরি।

২. চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচায়
ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে চোখ ওঠা, ছানি এবং গ্লুকোমাসহ চোখের নানা ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করে রোদচশমা। চোখের চারপাশের ত্বক ও চোখের পাতা খুবই সংবেদনশীল। যা সূর্যের আলোয় আরও ক্ষতিড়গ্রস্ত হতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ত্বকের ক্যান্সার চোখের আশেপাশের অঞ্চল থেকে সৃষ্টি হয়। বড় আকারের সানগ্লাস চোখের পাশাপাশি এর পাতা ও নিচের অংশকেও সুরক্ষিত রাখে।

এ ছাড়াও চোখকে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে রোদচশমা। গ্লুকোমা রিসার্চ ফাউন্ডেশন অনুসারে, সূর্যের ইউভি রশ্মির দীর্ঘায়িত ও দীর্ঘমেয়াদী এক্সপোজার ছানি ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। ইউভি এক্সপোজার গ্লুকোমার লক্ষণগুলো আরও প্রকট করে দেয়। ফলে অন্ধত্বও হতে পারে। এজন্য সম্পূর্ণ ইউভি সুরক্ষাযুক্ত সানগ্লাস আপনার গ্লুকোমা বা ছানিসহ বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি কমাবে। এমনকি সিজনাল চোখ ওঠা রোগে চোখকে নিরাপদ রাখবে সানগ্লাস।

৩. স্টাইলে সানগ্লাস
বর্তমানে সানগ্লাস স্টাইলের এক অনুষঙ্গ। নারী-পুরুষ বিভেদে সবাই এখন সানগ্লাস ব্যবহার করে থাকেন। এর রং, আকার এবং শৈলীও ভিন্ন হয়ে থাকে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়েও এখন অনেকেই সানগ্লাস ব্যবহার করে থাকেন। এতে পুরো লুকটাই বদলে যায়। সৌন্দর্যের অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত সানগ্লাস এখন বিভিন্ন ডিজাইনে পাওয়া যায়।

৪. সার্জারির পর চোখের সুরক্ষায়
চোখের বিভিন্ন সমস্যায় সার্জারি করার পর অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এটি খুবই জরুরি। বিশেষ করে ল্যাসিক বা পিআরকে সার্জারির পর চোখের সুরক্ষায় সানগ্লাস পরা বাধ্যতামূলক।

৫. মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়
উজ্জ্বল সূর্যের আলো মাইগ্রেন এবং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। নিয়মিত বাইরে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস পরলে এই সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। সানগ্লাস পরলে চোখ আরাম পায়। ফলে মাথাব্যথার সম্ভাবনা কমে। অনেকেই রোদে ঠিকমতো চোখ মেলে তাকাতে পারেন না কিংবা রোদে বের হলেই মাথাব্যথা করে। এমন ব্যক্তিদের উচিত রোদে বের হলেই সানগ্লাস পরা।

৬. নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে
রোদ, বৃষ্টি কিংবা বাতাসের মধ্যে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সানগ্লাস পরা জরুরি। বিশেষ করে যারা বাইক চালান; তাদের জন্য সানগ্লাস অতীব জরুরি। এর ফলে আরামদায়কভাবে আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন। তবে রাতে গাড়ি চালানোর সময় সানগ্লাস পরবেন না।

৭. বয়স ধরে রাখবে
অনেকেরই চোখের নিচের চামড়া কুচকে যায়। ফলে আরও বেশি বয়ষ্ক দেখায়। এর কারণ হলো সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি আপনার চোখে প্রভাব ফেলে। যারা নিয়মিত সানগ্লাস পড়েন, তাদের তুলনায় অন্যদের চোখের চামড়া দ্রুত কুচকে যায়। তাই নিয়মিত সানগ্লাস পরলে আপনার বয়স বাড়বে না!

জেনে রাখা ভালো, সানগ্লাসের ইতিহাস চতুর্দশ শতাব্দীর। অতীতে বিচারকরা মুখোশ হিসেবে কোয়ার্টজ দিয়ে তৈরি চশমা ব্যবহার করেছিলেন। ৬০০ বছর আগে সানগ্লাসের উৎপত্তি ঘটে। তবে এখনকার মতো আধুনিক ঘরানার রোদচশমা ছিল না তখন। আধুনিক সানগ্লাস আটলান্টিক সিটি বোর্ডওয়াকের উদ্যোক্তা স্যাম ফস্টার প্রথম বাজারজাত করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের ধাওয়া সেনাবাহিনীর

চশমা ব্যবহার জরুরি যে কারণে

আপডেট সময় ০১:২২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

১. ক্ষতিকর উপাদান থেকে চোখের সুরক্ষা
সূর্যই একমাত্র জিনিস নয়, যা আপনার চোখের ক্ষতি করতে পারে। বাইরে থাকাকালীন বালি, ধুলা, বাতাসসহ বিভিন্ন ছোট পোকা, চুল বা ময়লা চোখে যেতে পারে। চোখে বালির কণা প্রবেশ করলে জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি ও পানি পড়তে পারে। সেইসঙ্গে চোখ হয়ে যায় লালচে। বালির ক্ষুদ্র দানা চোখে ঘষা লাগায় স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এসব থেকে রক্ষা পেতে তাই সানগ্লাস ব্যবহার করা জরুরি।

২. চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচায়
ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে চোখ ওঠা, ছানি এবং গ্লুকোমাসহ চোখের নানা ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করে রোদচশমা। চোখের চারপাশের ত্বক ও চোখের পাতা খুবই সংবেদনশীল। যা সূর্যের আলোয় আরও ক্ষতিড়গ্রস্ত হতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ত্বকের ক্যান্সার চোখের আশেপাশের অঞ্চল থেকে সৃষ্টি হয়। বড় আকারের সানগ্লাস চোখের পাশাপাশি এর পাতা ও নিচের অংশকেও সুরক্ষিত রাখে।

এ ছাড়াও চোখকে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে রোদচশমা। গ্লুকোমা রিসার্চ ফাউন্ডেশন অনুসারে, সূর্যের ইউভি রশ্মির দীর্ঘায়িত ও দীর্ঘমেয়াদী এক্সপোজার ছানি ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। ইউভি এক্সপোজার গ্লুকোমার লক্ষণগুলো আরও প্রকট করে দেয়। ফলে অন্ধত্বও হতে পারে। এজন্য সম্পূর্ণ ইউভি সুরক্ষাযুক্ত সানগ্লাস আপনার গ্লুকোমা বা ছানিসহ বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি কমাবে। এমনকি সিজনাল চোখ ওঠা রোগে চোখকে নিরাপদ রাখবে সানগ্লাস।

৩. স্টাইলে সানগ্লাস
বর্তমানে সানগ্লাস স্টাইলের এক অনুষঙ্গ। নারী-পুরুষ বিভেদে সবাই এখন সানগ্লাস ব্যবহার করে থাকেন। এর রং, আকার এবং শৈলীও ভিন্ন হয়ে থাকে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়েও এখন অনেকেই সানগ্লাস ব্যবহার করে থাকেন। এতে পুরো লুকটাই বদলে যায়। সৌন্দর্যের অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত সানগ্লাস এখন বিভিন্ন ডিজাইনে পাওয়া যায়।

৪. সার্জারির পর চোখের সুরক্ষায়
চোখের বিভিন্ন সমস্যায় সার্জারি করার পর অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এটি খুবই জরুরি। বিশেষ করে ল্যাসিক বা পিআরকে সার্জারির পর চোখের সুরক্ষায় সানগ্লাস পরা বাধ্যতামূলক।

৫. মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়
উজ্জ্বল সূর্যের আলো মাইগ্রেন এবং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। নিয়মিত বাইরে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস পরলে এই সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। সানগ্লাস পরলে চোখ আরাম পায়। ফলে মাথাব্যথার সম্ভাবনা কমে। অনেকেই রোদে ঠিকমতো চোখ মেলে তাকাতে পারেন না কিংবা রোদে বের হলেই মাথাব্যথা করে। এমন ব্যক্তিদের উচিত রোদে বের হলেই সানগ্লাস পরা।

৬. নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে
রোদ, বৃষ্টি কিংবা বাতাসের মধ্যে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সানগ্লাস পরা জরুরি। বিশেষ করে যারা বাইক চালান; তাদের জন্য সানগ্লাস অতীব জরুরি। এর ফলে আরামদায়কভাবে আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন। তবে রাতে গাড়ি চালানোর সময় সানগ্লাস পরবেন না।

৭. বয়স ধরে রাখবে
অনেকেরই চোখের নিচের চামড়া কুচকে যায়। ফলে আরও বেশি বয়ষ্ক দেখায়। এর কারণ হলো সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি আপনার চোখে প্রভাব ফেলে। যারা নিয়মিত সানগ্লাস পড়েন, তাদের তুলনায় অন্যদের চোখের চামড়া দ্রুত কুচকে যায়। তাই নিয়মিত সানগ্লাস পরলে আপনার বয়স বাড়বে না!

জেনে রাখা ভালো, সানগ্লাসের ইতিহাস চতুর্দশ শতাব্দীর। অতীতে বিচারকরা মুখোশ হিসেবে কোয়ার্টজ দিয়ে তৈরি চশমা ব্যবহার করেছিলেন। ৬০০ বছর আগে সানগ্লাসের উৎপত্তি ঘটে। তবে এখনকার মতো আধুনিক ঘরানার রোদচশমা ছিল না তখন। আধুনিক সানগ্লাস আটলান্টিক সিটি বোর্ডওয়াকের উদ্যোক্তা স্যাম ফস্টার প্রথম বাজারজাত করেন।