ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা Logo ধর্ষকদের শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা Logo ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ Logo ‘জুলাই-আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান Logo ভারতকে হারালে ১ কোটি রুপি পুরস্কার পাবেন রিজওয়ানরা, প্রতিশ্রুতি গভর্নরের Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের

শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান

সিরিজ ১-১ সমতায় থাকায় ডাবলিনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। অঘোষিত এই ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। আইরিশদের দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্য ১৮ বল হাতে রেখেই টপকে ফেলেছে পাকিস্তান।

ডাবলিনে ক্যাসল অ্যাভিনিউতে আইরিশদের ১৭৮ রানের জবাব দিতে নেমে ফিফটি হাঁকান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ৪২ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন বাবর। ৬ বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৫ ছক্কা। আর রিজওয়ান ৩৮ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য ইনিংস। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে চড়েই জয়ের বন্দরে চলে যায় পাকিস্তান।

সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে ওপেনার সাইম আইয়ুবের অবদান ১৪ রান। শেষ দিকে ৬ বলে ১৮ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আজম খান। ৫ রানে আউট হন ইফতেখার আহমেদ।

এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। শুরুতেই আইরিশ শিবিরে বড় ধাক্কা দেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৮ বলে ৭ করা রস অ্যাডায়ারকে বোল্ড করেন তিনি।

তবে দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অ্যান্ডি বালবির্নি আর অধিনায়ক লরকান টাকারের ব্যাটে। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

বালবির্নিকে (২৬ বলে ৩৫) ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন আব্বাস আফ্রিদি। তবে লরকান টাকার চালিয়ে খেলতে থাকেন। ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হওয়ার আগে ৪১ বলে ১৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস উপহার দেন আইরিশ দলপতি।

২ উইকেটে ১৩২ রান ছিল আয়ারল্যান্ডের। সেখান থেকে ১৫৩ তুলতে তারা হারায় ৬ উইকেট। অর্থাৎ ২১ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট তুলে নেন শাহিন-আব্বাসরা। ফলে আইরিশদের পুঁজিটা প্রত্যাশামতো বড় হয়নি।

হ্যারি টেক্টর একটা প্রান্ত ধরে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ২০ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নয় নম্বরে নেমে ৬ বলে অপরাজিত ১০ করেন গ্রাহাম হুমে।

পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আব্বাস আফ্রিদি ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৩ রান। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার মোহাম্মদ আামির আর ইমাদ ওয়াসিমের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা

শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান

আপডেট সময় ১২:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

সিরিজ ১-১ সমতায় থাকায় ডাবলিনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। অঘোষিত এই ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। আইরিশদের দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্য ১৮ বল হাতে রেখেই টপকে ফেলেছে পাকিস্তান।

ডাবলিনে ক্যাসল অ্যাভিনিউতে আইরিশদের ১৭৮ রানের জবাব দিতে নেমে ফিফটি হাঁকান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ৪২ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন বাবর। ৬ বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৫ ছক্কা। আর রিজওয়ান ৩৮ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য ইনিংস। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে চড়েই জয়ের বন্দরে চলে যায় পাকিস্তান।

সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে ওপেনার সাইম আইয়ুবের অবদান ১৪ রান। শেষ দিকে ৬ বলে ১৮ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আজম খান। ৫ রানে আউট হন ইফতেখার আহমেদ।

এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। শুরুতেই আইরিশ শিবিরে বড় ধাক্কা দেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৮ বলে ৭ করা রস অ্যাডায়ারকে বোল্ড করেন তিনি।

তবে দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অ্যান্ডি বালবির্নি আর অধিনায়ক লরকান টাকারের ব্যাটে। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

বালবির্নিকে (২৬ বলে ৩৫) ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন আব্বাস আফ্রিদি। তবে লরকান টাকার চালিয়ে খেলতে থাকেন। ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হওয়ার আগে ৪১ বলে ১৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস উপহার দেন আইরিশ দলপতি।

২ উইকেটে ১৩২ রান ছিল আয়ারল্যান্ডের। সেখান থেকে ১৫৩ তুলতে তারা হারায় ৬ উইকেট। অর্থাৎ ২১ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট তুলে নেন শাহিন-আব্বাসরা। ফলে আইরিশদের পুঁজিটা প্রত্যাশামতো বড় হয়নি।

হ্যারি টেক্টর একটা প্রান্ত ধরে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ২০ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নয় নম্বরে নেমে ৬ বলে অপরাজিত ১০ করেন গ্রাহাম হুমে।

পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আব্বাস আফ্রিদি ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৩ রান। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার মোহাম্মদ আামির আর ইমাদ ওয়াসিমের।