ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আফগানদের বিদায়, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে লঙ্কানরা Logo ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার Logo বড় সংগ্রহ আফগানদের, বাংলাদেশের সুপার ফোরের আশা ভাঙার পথে Logo কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল Logo নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬ Logo চাকসু নির্বাচনে “সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট” নামে ছাত্রশিবিরের পূর্নাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা Logo দুই দিনে ভারতে ৫৬.২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি Logo ন্যাটোর হুমকির পর সামরিক পোশাকে যুদ্ধের ময়দানে পুতিন! Logo ফরিদপুরের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিশোর-তরুণদের নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল Logo বিজিবিতে চাকরি পেলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ভাই

মোহনপুরে দীর্ঘদিন দখলে থাকা তিনটি খাসপুকুর উন্মুক্ত করলেন ইউএনও

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের তিনটি খাস পুকুর দখলমুক্ত করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর পুকুর তিনটি দখলমুক্ত হওয়াতে খুশি হয়েছেন গ্রামবাসী।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে সীমানায় নিশানা পুতে দখলমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা। পরে মাছের পোনা ছেড়ে পুকুর তিনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, একসময় গ্রামের মসজিদের উন্নয়নকল্পে পুকুর তিনটি চাষ করতেন গ্রামবাসী। পরবর্তীতে লীজের নামে পুকুর তিনটি দখলে নেয় একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন। এ নিয়ে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়। কিন্তু দখলবাজ তোফাজ্জল এতটাই শক্তিশালী যে, কোনক্রমেই পুকুর তিনটি ফেরত পায়নি গ্রামবাসী। নিয়ম অনুসারে, খাস খতিয়ানের পুকুর সমিতির মাধ্যমে লীজ প্রদান করা হয়। কিন্তু এই তিনটি পুকুর মামলার বেড়াজালে আটকে যায়। দীর্ঘ ১৬ বছর একই ব্যক্তির দখলে রয়ে যায়। এমনকি লীজ প্রদান থেকে বিরত থাকতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে পুকুর তিনটি লীজ দেয়া থেকে বিরত থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দখলমুক্ত করে তা গ্রামবাসীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা জানান, পুকুর তিনটি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত এবং মামলা শেষে না হওয়া পর্যন্ত লীজ প্রদান থেকে বিরত থাকতে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা মেনে পুকুর তিনটি লীজ প্রদান করা হননি। কিন্তু যেহেতু পুকুর তিনটি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত সেহেতু কোন ব্যক্তির দখলে থাকতে পারেনা। এ কারণে পুকুরগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাছের পোনা ছেড়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, কেশরহাট ভূমি অফিসের নায়েব ইকবাল কাসেম সুমনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও গ্রামবাসী প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আফগানদের বিদায়, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে লঙ্কানরা

মোহনপুরে দীর্ঘদিন দখলে থাকা তিনটি খাসপুকুর উন্মুক্ত করলেন ইউএনও

আপডেট সময় ০৭:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের তিনটি খাস পুকুর দখলমুক্ত করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর পুকুর তিনটি দখলমুক্ত হওয়াতে খুশি হয়েছেন গ্রামবাসী।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে সীমানায় নিশানা পুতে দখলমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা। পরে মাছের পোনা ছেড়ে পুকুর তিনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, একসময় গ্রামের মসজিদের উন্নয়নকল্পে পুকুর তিনটি চাষ করতেন গ্রামবাসী। পরবর্তীতে লীজের নামে পুকুর তিনটি দখলে নেয় একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন। এ নিয়ে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়। কিন্তু দখলবাজ তোফাজ্জল এতটাই শক্তিশালী যে, কোনক্রমেই পুকুর তিনটি ফেরত পায়নি গ্রামবাসী। নিয়ম অনুসারে, খাস খতিয়ানের পুকুর সমিতির মাধ্যমে লীজ প্রদান করা হয়। কিন্তু এই তিনটি পুকুর মামলার বেড়াজালে আটকে যায়। দীর্ঘ ১৬ বছর একই ব্যক্তির দখলে রয়ে যায়। এমনকি লীজ প্রদান থেকে বিরত থাকতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে পুকুর তিনটি লীজ দেয়া থেকে বিরত থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দখলমুক্ত করে তা গ্রামবাসীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা জানান, পুকুর তিনটি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত এবং মামলা শেষে না হওয়া পর্যন্ত লীজ প্রদান থেকে বিরত থাকতে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা মেনে পুকুর তিনটি লীজ প্রদান করা হননি। কিন্তু যেহেতু পুকুর তিনটি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত সেহেতু কোন ব্যক্তির দখলে থাকতে পারেনা। এ কারণে পুকুরগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাছের পোনা ছেড়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, কেশরহাট ভূমি অফিসের নায়েব ইকবাল কাসেম সুমনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও গ্রামবাসী প্রমুখ।