ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আ. লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন হলেই ‘শাহবাগ ব্লকেড’ প্রত্যাহার Logo মৌলভীবাজারে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রজনতার পাশে শিবির Logo ১০০০ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Logo কেরানীগঞ্জে আওয়ামী নেতা ইকবাল ও ছাত্রলীগ নেতা ইয়ামিন গ্রেপ্তার Logo পাকিস্তান ৩০০-৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে: ভারত Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে’ Logo গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নোসক শিবিরের সহযোগিতা Logo এআই হ্যাকাথন ২০২৫: রুয়েটের ‘বুরাক’ টিমের চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন Logo আমিরাতে আইপিএলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, পিএসএল পেল অগ্রাধিকার

যে দোয়ায় মিলবে মানসিক শান্তি

আমল।

যিনি সৃষ্টিজগেক অস্তিত্ব দান করেছেন, নবী-রসুলদের মাধ্যমে মানবজাতিকে পথনির্দেশ দিয়েছেন। যিনি উম্মতে মুহাম্মদিকে দান করেছেন কোরআন, যাতে রয়েছে সব দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার আরোগ্য। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। (সুরা তাগাবুন ১১)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আল্লাহ তার অন্তরে বিশ্বাসের পথনির্দেশ দেন। ফলে বুঝতে পারে বিপদের কারণে সে ভুল করেনি। তার ভুলের কারণে বিপদ হয়নি। বরং তা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ছিল। এভাবে মুমিন অনুতাপ, অনুশোচনা ও মানসিক কষ্ট থেকে বেঁচে যায়। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে এক আল্লাহ ও আখেরাতের ওপর ঈমান আনবে, সৎকাজ করবে নি:সন্দেহে তার কোনো ভয় বা মর্ম বেদনার কারণ নেই।

দুনিয়ার প্রশান্তিময় জীবন শেষে পরকালেও প্রশান্তিময় জীবন অপেক্ষা করছে মুমিনদের জন্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, হে প্রশান্ত আত্মা! তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে। প্রবেশ করো আমার জান্নাতে৷ (সুরা ফজর (২৭-৩০)

হযরত জারির রা. বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সা. তাকে বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটা ছিল একটি মূর্তি। মানুষ এর পূজা করত। সেটাকে বলা হতো ‘ইয়েমেনি কাবা।’ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি অশ্ব পৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটা থাবা মারেন এবং বলেন (দোয়া করলেন), ‘হে আল্লাহ, আপনি তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হেদায়েতকারী ও হেদায়েতপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন।’

যখন কেউ মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী হয় তখন সে বিপদে ধৈর্য ও প্রশান্তি খুঁজে পায় এভাবে, সে চিন্তা করে এতে মহান স্রষ্টার প্রজ্ঞা ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তিনি আবশ্যই কোনো কল্যাণ রেখেছেন। ফলে অশান্ত ও অস্থির হৃদয় প্রশান্ত হয়, স্বস্তি খুঁজে পায়। অন্য আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন, আমরা যখন পথনির্দেশক বাণী শুনলাম, তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনে তার কোনো ক্ষতি ও কোনো অন্যায়ের আশঙ্কা থাকবে না। (সুরা জিন ১৩)

اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হা-দিয়াম মাহদিয়্যা। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন এবং আমাকে হেদায়েতপ্রাপ্ত ও হেদায়েতকারী বানিয়ে দিন।

তখন আমি আমার গোত্র আহমাসের ৫০ জন যোদ্ধাসহ বের হলাম। তারপর আমি ওই মূর্তির কাছে গিয়ে সেটা জ্বালিয়ে ফেললাম। এরপর আমি নবী সা.-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রসুল, আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করেন। (বোখারি ৬৩৩৩)

কোরআনে আল্লাহ বলেন, যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। (সুরা তালাক ৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

আ. লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন হলেই ‘শাহবাগ ব্লকেড’ প্রত্যাহার

যে দোয়ায় মিলবে মানসিক শান্তি

আপডেট সময় ০৬:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

যিনি সৃষ্টিজগেক অস্তিত্ব দান করেছেন, নবী-রসুলদের মাধ্যমে মানবজাতিকে পথনির্দেশ দিয়েছেন। যিনি উম্মতে মুহাম্মদিকে দান করেছেন কোরআন, যাতে রয়েছে সব দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার আরোগ্য। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। (সুরা তাগাবুন ১১)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আল্লাহ তার অন্তরে বিশ্বাসের পথনির্দেশ দেন। ফলে বুঝতে পারে বিপদের কারণে সে ভুল করেনি। তার ভুলের কারণে বিপদ হয়নি। বরং তা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ছিল। এভাবে মুমিন অনুতাপ, অনুশোচনা ও মানসিক কষ্ট থেকে বেঁচে যায়। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে এক আল্লাহ ও আখেরাতের ওপর ঈমান আনবে, সৎকাজ করবে নি:সন্দেহে তার কোনো ভয় বা মর্ম বেদনার কারণ নেই।

দুনিয়ার প্রশান্তিময় জীবন শেষে পরকালেও প্রশান্তিময় জীবন অপেক্ষা করছে মুমিনদের জন্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, হে প্রশান্ত আত্মা! তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে। প্রবেশ করো আমার জান্নাতে৷ (সুরা ফজর (২৭-৩০)

হযরত জারির রা. বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সা. তাকে বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটা ছিল একটি মূর্তি। মানুষ এর পূজা করত। সেটাকে বলা হতো ‘ইয়েমেনি কাবা।’ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি অশ্ব পৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটা থাবা মারেন এবং বলেন (দোয়া করলেন), ‘হে আল্লাহ, আপনি তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হেদায়েতকারী ও হেদায়েতপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন।’

যখন কেউ মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী হয় তখন সে বিপদে ধৈর্য ও প্রশান্তি খুঁজে পায় এভাবে, সে চিন্তা করে এতে মহান স্রষ্টার প্রজ্ঞা ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তিনি আবশ্যই কোনো কল্যাণ রেখেছেন। ফলে অশান্ত ও অস্থির হৃদয় প্রশান্ত হয়, স্বস্তি খুঁজে পায়। অন্য আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন, আমরা যখন পথনির্দেশক বাণী শুনলাম, তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনে তার কোনো ক্ষতি ও কোনো অন্যায়ের আশঙ্কা থাকবে না। (সুরা জিন ১৩)

اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হা-দিয়াম মাহদিয়্যা। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন এবং আমাকে হেদায়েতপ্রাপ্ত ও হেদায়েতকারী বানিয়ে দিন।

তখন আমি আমার গোত্র আহমাসের ৫০ জন যোদ্ধাসহ বের হলাম। তারপর আমি ওই মূর্তির কাছে গিয়ে সেটা জ্বালিয়ে ফেললাম। এরপর আমি নবী সা.-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রসুল, আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করেন। (বোখারি ৬৩৩৩)

কোরআনে আল্লাহ বলেন, যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। (সুরা তালাক ৩)