ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা Logo তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৬ বিভাগ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শেহবাজ Logo মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ঢাকায় আটক Logo দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ Logo ঢাকা জেলা জামায়াতের দিনব্যাপী অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত Logo গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় একদিনে নিহত ২৭ Logo চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে যুবলীগ ক্যাড়ারসহ আটক – ৪ Logo সীতাকুণ্ডে জামায়াতের সমাবেশে ছাত্রদলের হামলা: গুলিবৃদ্ধসহ আহত ১০ Logo মধ্যরাতে নিজেদের মাটি পাঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ে উপর ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত!

যে দোয়ায় মিলবে মানসিক শান্তি

আমল।

যিনি সৃষ্টিজগেক অস্তিত্ব দান করেছেন, নবী-রসুলদের মাধ্যমে মানবজাতিকে পথনির্দেশ দিয়েছেন। যিনি উম্মতে মুহাম্মদিকে দান করেছেন কোরআন, যাতে রয়েছে সব দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার আরোগ্য। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। (সুরা তাগাবুন ১১)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আল্লাহ তার অন্তরে বিশ্বাসের পথনির্দেশ দেন। ফলে বুঝতে পারে বিপদের কারণে সে ভুল করেনি। তার ভুলের কারণে বিপদ হয়নি। বরং তা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ছিল। এভাবে মুমিন অনুতাপ, অনুশোচনা ও মানসিক কষ্ট থেকে বেঁচে যায়। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে এক আল্লাহ ও আখেরাতের ওপর ঈমান আনবে, সৎকাজ করবে নি:সন্দেহে তার কোনো ভয় বা মর্ম বেদনার কারণ নেই।

দুনিয়ার প্রশান্তিময় জীবন শেষে পরকালেও প্রশান্তিময় জীবন অপেক্ষা করছে মুমিনদের জন্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, হে প্রশান্ত আত্মা! তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে। প্রবেশ করো আমার জান্নাতে৷ (সুরা ফজর (২৭-৩০)

হযরত জারির রা. বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সা. তাকে বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটা ছিল একটি মূর্তি। মানুষ এর পূজা করত। সেটাকে বলা হতো ‘ইয়েমেনি কাবা।’ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি অশ্ব পৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটা থাবা মারেন এবং বলেন (দোয়া করলেন), ‘হে আল্লাহ, আপনি তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হেদায়েতকারী ও হেদায়েতপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন।’

যখন কেউ মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী হয় তখন সে বিপদে ধৈর্য ও প্রশান্তি খুঁজে পায় এভাবে, সে চিন্তা করে এতে মহান স্রষ্টার প্রজ্ঞা ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তিনি আবশ্যই কোনো কল্যাণ রেখেছেন। ফলে অশান্ত ও অস্থির হৃদয় প্রশান্ত হয়, স্বস্তি খুঁজে পায়। অন্য আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন, আমরা যখন পথনির্দেশক বাণী শুনলাম, তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনে তার কোনো ক্ষতি ও কোনো অন্যায়ের আশঙ্কা থাকবে না। (সুরা জিন ১৩)

اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হা-দিয়াম মাহদিয়্যা। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন এবং আমাকে হেদায়েতপ্রাপ্ত ও হেদায়েতকারী বানিয়ে দিন।

তখন আমি আমার গোত্র আহমাসের ৫০ জন যোদ্ধাসহ বের হলাম। তারপর আমি ওই মূর্তির কাছে গিয়ে সেটা জ্বালিয়ে ফেললাম। এরপর আমি নবী সা.-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রসুল, আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করেন। (বোখারি ৬৩৩৩)

কোরআনে আল্লাহ বলেন, যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। (সুরা তালাক ৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা

যে দোয়ায় মিলবে মানসিক শান্তি

আপডেট সময় ০৬:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

যিনি সৃষ্টিজগেক অস্তিত্ব দান করেছেন, নবী-রসুলদের মাধ্যমে মানবজাতিকে পথনির্দেশ দিয়েছেন। যিনি উম্মতে মুহাম্মদিকে দান করেছেন কোরআন, যাতে রয়েছে সব দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার আরোগ্য। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। (সুরা তাগাবুন ১১)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আল্লাহ তার অন্তরে বিশ্বাসের পথনির্দেশ দেন। ফলে বুঝতে পারে বিপদের কারণে সে ভুল করেনি। তার ভুলের কারণে বিপদ হয়নি। বরং তা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ছিল। এভাবে মুমিন অনুতাপ, অনুশোচনা ও মানসিক কষ্ট থেকে বেঁচে যায়। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে এক আল্লাহ ও আখেরাতের ওপর ঈমান আনবে, সৎকাজ করবে নি:সন্দেহে তার কোনো ভয় বা মর্ম বেদনার কারণ নেই।

দুনিয়ার প্রশান্তিময় জীবন শেষে পরকালেও প্রশান্তিময় জীবন অপেক্ষা করছে মুমিনদের জন্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, হে প্রশান্ত আত্মা! তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে। প্রবেশ করো আমার জান্নাতে৷ (সুরা ফজর (২৭-৩০)

হযরত জারির রা. বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সা. তাকে বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটা ছিল একটি মূর্তি। মানুষ এর পূজা করত। সেটাকে বলা হতো ‘ইয়েমেনি কাবা।’ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি অশ্ব পৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটা থাবা মারেন এবং বলেন (দোয়া করলেন), ‘হে আল্লাহ, আপনি তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হেদায়েতকারী ও হেদায়েতপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন।’

যখন কেউ মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী হয় তখন সে বিপদে ধৈর্য ও প্রশান্তি খুঁজে পায় এভাবে, সে চিন্তা করে এতে মহান স্রষ্টার প্রজ্ঞা ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তিনি আবশ্যই কোনো কল্যাণ রেখেছেন। ফলে অশান্ত ও অস্থির হৃদয় প্রশান্ত হয়, স্বস্তি খুঁজে পায়। অন্য আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন, আমরা যখন পথনির্দেশক বাণী শুনলাম, তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনে তার কোনো ক্ষতি ও কোনো অন্যায়ের আশঙ্কা থাকবে না। (সুরা জিন ১৩)

اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হা-দিয়াম মাহদিয়্যা। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন এবং আমাকে হেদায়েতপ্রাপ্ত ও হেদায়েতকারী বানিয়ে দিন।

তখন আমি আমার গোত্র আহমাসের ৫০ জন যোদ্ধাসহ বের হলাম। তারপর আমি ওই মূর্তির কাছে গিয়ে সেটা জ্বালিয়ে ফেললাম। এরপর আমি নবী সা.-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রসুল, আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করেন। (বোখারি ৬৩৩৩)

কোরআনে আল্লাহ বলেন, যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। (সুরা তালাক ৩)