ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তারেক রহমান যেদিন দেশে আসবেন, জনতার ভূমিকম্প হবে: বরকতউল্লাহ বুলু Logo মানসিক ভারসাম্য হারিয়েও ভুলেনি কুরআনের আয়াত Logo কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির অভিযোগ বাক্সে ১০দিনে ৯ অভিযোগ Logo ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার Logo রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ৭ দফা প্রস্তাব ঘোষণা ড. ইউনূসের Logo কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের উদ্যোগে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান Logo মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে হোস্টেল ফি কমানোর দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি Logo টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি ভিসি , দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা Logo চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি Logo টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

ঘুমের ঘাটতি হলে দেখা যায় যে উপসর্গ

রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম আসা ভালো ঘুমের লক্ষণ

রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম আসা ভালো ঘুমের লক্ষণ। একেক দিন একেক সময় ঘুমানো, একেক দিন একেক সময় ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যকর ঘুমের লক্ষণ নয়। আবার দিনের বেলা জেগে থাকার জন্য যদি আপনার চা-কফির প্রয়োজন হয়, সেটাও কিন্তু ঘুমের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। কিন্তু কতটা ঘুম আসলে ‘পর্যাপ্ত’?

ঘুমের ঘাটতি

এমন কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা থেকে আপনি ঘুমের ঘাটতির ধারণা পেতে পারেন:

দিনে ঘুম ঘুম ভাব হওয়া। বিশেষত শান্ত পরিস্থিতিতে বা বসে বসে কোনো কাজ করার সময় ঘুম চলে আসা। যে সময় জাগ্রত থাকার কথা, সে সময় সামান্য সময়ের জন্য হলেও ঘুমিয়ে পড়া।

দিনে অল্প সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়েও দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকা।

শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়া।

নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম না ভাঙা কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম ভাঙার জন্য অ্যালার্মের প্রয়োজন হওয়া।

বিছানা থেকে উঠতে ভীষণ কষ্ট হওয়া।

চোখের নিচে কালি পড়া।

ঘুম থেকে ওঠার পরপরই অস্থির অনুভব করা কিংবা সারা দিনই অস্থিরতা।

মনোযোগ স্থির করতে অসুবিধা হওয়া।

ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কিংবা মনমেজাজের ওপর থেকে চট করে নিয়ন্ত্রণ হারানোও হতে পারে ঘুমের ঘাটতির উপসর্গ।

কাজ-কর্মে উৎসাহ না পাওয়া, ধীর হয়ে পড়া, অল্পতেই রেগে যাওয়া, বিষণ্নতা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, এমনকি প্রায়ই ছোটখাটো অসুস্থতা দেখা দেওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে ঘুমের ঘাটতি হলে।

করণীয়

এমন কোনো উপসর্গ দেখা দিলে ঘুমের প্রতি যত্নবান হোন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমান রোজ। কারও কারও অবশ্য নয় ঘণ্টা পর্যন্তও ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে। ঘুমের ঘাটতির লক্ষণগুলোকে চিনে নিতে পারলে নিজের ঘুমের প্রয়োজনটাও আপনি বুঝতে পারবেন সহজে।

ঘুমের ঘাটতি রয়ে গেলে আপনার শরীরের কাছে কিন্তু আপনার ঋণ রয়ে গেল। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি। একসময় শরীর ‘বিদ্রোহ’ করে বসবে। জবরদস্তিতে শরীর চললেও তা আর ‘ঠিকঠাক’ থাকবে না। তাই ঘুমকে অবহেলা করবেন না।

সূত্র: ওয়েবএমডি

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমান যেদিন দেশে আসবেন, জনতার ভূমিকম্প হবে: বরকতউল্লাহ বুলু

ঘুমের ঘাটতি হলে দেখা যায় যে উপসর্গ

আপডেট সময় ০৪:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম আসা ভালো ঘুমের লক্ষণ। একেক দিন একেক সময় ঘুমানো, একেক দিন একেক সময় ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যকর ঘুমের লক্ষণ নয়। আবার দিনের বেলা জেগে থাকার জন্য যদি আপনার চা-কফির প্রয়োজন হয়, সেটাও কিন্তু ঘুমের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। কিন্তু কতটা ঘুম আসলে ‘পর্যাপ্ত’?

ঘুমের ঘাটতি

এমন কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা থেকে আপনি ঘুমের ঘাটতির ধারণা পেতে পারেন:

দিনে ঘুম ঘুম ভাব হওয়া। বিশেষত শান্ত পরিস্থিতিতে বা বসে বসে কোনো কাজ করার সময় ঘুম চলে আসা। যে সময় জাগ্রত থাকার কথা, সে সময় সামান্য সময়ের জন্য হলেও ঘুমিয়ে পড়া।

দিনে অল্প সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়েও দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকা।

শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়া।

নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম না ভাঙা কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম ভাঙার জন্য অ্যালার্মের প্রয়োজন হওয়া।

বিছানা থেকে উঠতে ভীষণ কষ্ট হওয়া।

চোখের নিচে কালি পড়া।

ঘুম থেকে ওঠার পরপরই অস্থির অনুভব করা কিংবা সারা দিনই অস্থিরতা।

মনোযোগ স্থির করতে অসুবিধা হওয়া।

ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কিংবা মনমেজাজের ওপর থেকে চট করে নিয়ন্ত্রণ হারানোও হতে পারে ঘুমের ঘাটতির উপসর্গ।

কাজ-কর্মে উৎসাহ না পাওয়া, ধীর হয়ে পড়া, অল্পতেই রেগে যাওয়া, বিষণ্নতা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, এমনকি প্রায়ই ছোটখাটো অসুস্থতা দেখা দেওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে ঘুমের ঘাটতি হলে।

করণীয়

এমন কোনো উপসর্গ দেখা দিলে ঘুমের প্রতি যত্নবান হোন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমান রোজ। কারও কারও অবশ্য নয় ঘণ্টা পর্যন্তও ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে। ঘুমের ঘাটতির লক্ষণগুলোকে চিনে নিতে পারলে নিজের ঘুমের প্রয়োজনটাও আপনি বুঝতে পারবেন সহজে।

ঘুমের ঘাটতি রয়ে গেলে আপনার শরীরের কাছে কিন্তু আপনার ঋণ রয়ে গেল। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্যি। একসময় শরীর ‘বিদ্রোহ’ করে বসবে। জবরদস্তিতে শরীর চললেও তা আর ‘ঠিকঠাক’ থাকবে না। তাই ঘুমকে অবহেলা করবেন না।

সূত্র: ওয়েবএমডি