নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকুলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার কাষ্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
গত ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইন্দুরকানী উপজেলায় চার প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭০ হাজার ৮০৮। ৩৫টি কেন্দ্রে ২২ হাজার ৪২৮ জন ভোটার ভোট দেন। ভোটের হার ছিল ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান ২ হাজার ৭০৫ ভোট, বহিষ্কৃত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল কবির তালুকদার ৭ হাজার ৭৪৩, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ৭০৮ ভোট পেয়েছেন।
ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্ধারিত ভোট না পেয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম মতিউর রহমান জামানত হারাচ্ছেন। অন্য দু জন হলেন- বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ইমরান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা কামাল হোসেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মোট ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেলে প্রার্থী তাঁর জামানত ফেরত পাবেন। এ হিসাবে তিন প্রার্থী কাঙ্খিত ভোট না পাওয়ায় জামানত ফেরত পাবেন না।