ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে মন্দিরে আগুনে শ্রমিকদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

রোববার (১২ মে) জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তদন্তে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শ্রমিকদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মন্দিরে কে আগুন দিয়েছে, সেটি খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। তবে পিটিয়ে দুই সহোদরকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জনপ্রতিনিধিসহ শতাধিক মানুষের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসক জানান, তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী গত ৭ মে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনাকালে শতাধিক ব্যক্তির বক্তব্য নিয়েছে। প্রতিবেদনে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। তবে যেহেতু এটি একটি আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই আমরা বেশি কিছু বলতে পারছি না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিসহ শতাধিক মানুষের সম্পৃক্ততা ছিল। এটি ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে। তবে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে দুই সহোদর জড়িত ছিল কিনা, সে বিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্দিরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, সেটি খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। দুই সহোদর কিংবা অন্য কোনো শ্রমিক আগুন লাগিয়েছে কিনা, সে বিষয়েও প্রত্যক্ষদর্শী কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কামরুল আহসান বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অনেক সুপারিশ করেছে। এসব স্থানে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার বিষয়টি বলা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ এ ধরনের কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়। তবে এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে কারও থেকে প্রমাণস্বরূপ বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত ১৮ এপ্রিল রাতে পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে সহোদর দুই কিশোর নির্মাণ শ্রমিক আরশাদুল খান (১৯) ও আশরাফুল খানকে (১৫) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি মন্দিরের প্রতিমার কাপড়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করে তোলে জড়িতরা। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন শ্রমিক ও পুলিশ আহত হন।

মধুখালী থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় তিনটি মামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

ফরিদপুরে মন্দিরে আগুনে শ্রমিকদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি

আপডেট সময় ০১:৩৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

রোববার (১২ মে) জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তদন্তে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শ্রমিকদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মন্দিরে কে আগুন দিয়েছে, সেটি খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। তবে পিটিয়ে দুই সহোদরকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জনপ্রতিনিধিসহ শতাধিক মানুষের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসক জানান, তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী গত ৭ মে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনাকালে শতাধিক ব্যক্তির বক্তব্য নিয়েছে। প্রতিবেদনে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। তবে যেহেতু এটি একটি আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই আমরা বেশি কিছু বলতে পারছি না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিসহ শতাধিক মানুষের সম্পৃক্ততা ছিল। এটি ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে। তবে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে দুই সহোদর জড়িত ছিল কিনা, সে বিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্দিরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, সেটি খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। দুই সহোদর কিংবা অন্য কোনো শ্রমিক আগুন লাগিয়েছে কিনা, সে বিষয়েও প্রত্যক্ষদর্শী কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কামরুল আহসান বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অনেক সুপারিশ করেছে। এসব স্থানে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার বিষয়টি বলা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ এ ধরনের কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়। তবে এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে কারও থেকে প্রমাণস্বরূপ বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত ১৮ এপ্রিল রাতে পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে সহোদর দুই কিশোর নির্মাণ শ্রমিক আরশাদুল খান (১৯) ও আশরাফুল খানকে (১৫) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি মন্দিরের প্রতিমার কাপড়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করে তোলে জড়িতরা। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন শ্রমিক ও পুলিশ আহত হন।

মধুখালী থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় তিনটি মামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।