ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব Logo কালো মুখোশ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মিছিল Logo হিন্দুস্তান টাইমসে হাসিনার আয়নাঘর ভয়াবহ বর্ণনা Logo নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’পরিণত হয়েছে Logo রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বরিশালে ছাত্র জনতার লাঠি মিছিল Logo গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় নিহত ১১৫ Logo অবসর ভাঙতেও রাজি ওয়ার্নার, শুধু অপেক্ষা এক ফোনকলের Logo বগুড়ায় ভূমিদস্যুর কবল থেকে ভিটে-মাটি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন Logo দাগনভূঞায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক চাই দিবস পালন Logo চুপ্পুর জন্মভুমি পাবনাতেই রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ

শর্তের জ্বালায় ভোক্তা জ্বলছে

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

যুগান্তর:

শর্তের জ্বালায় ভোক্তা জ্বলছে

আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ
শর্ত বাস্তবায়নের ফলে ডলার সরবরাহ বাড়েনি, রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটেনি, বেড়েছে পণ্য ও সেবার মূল্য, বাড়েনি আয়
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার ডলার, ঋণের সুদহার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়িয়েছে। এগুলোর প্রভাবে লাগামহীনভাবে বেড়েছে গণপরিবহণসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম। বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানো হয়েছে। ফলে ওই সব খাতেও পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়েছে। ফলে বাড়েনি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমানো সম্ভবই হয়নি, উলটো এর পালে আরও হাওয়া লেগেছে। মানুষের খরচ বেড়েছে, কিন্তু বাড়েনি আয়। ফলে জীবনযাত্রার মান কমেছে। এসব মিলে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে আইএমএফের শর্তের জ্বালায় জ্বলছে ভোক্তা।

সূত্র জানায়, বৈশ্বিক ও দেশীয় মন্দার প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ঋণের দুটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে আইএমএফ মিশনের সঙ্গে সরকারের দর কষাকষি শেষ হয়েছে। ২৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত আইএমএফ মিশন বাংলাদেশে কাজ করেছে। ওই সময়ে তারা বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রমের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। এ মিশনের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি। তবে ঢাকা ত্যাগের আগে মিশনটি প্রায় নিশ্চিত করেছে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার বাংলাদেশ পাচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে বা আগামী মাসের প্রথম দিকেই এ অর্থ ছাড় করবে আইএমএফ।

মন্দার প্রভাব মোকাবিলার জন্য গত বছরের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের অনুকূলে আইএমএফ ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ওই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তি বাবদ ৪৮ কোটি ডলার ছাড় করে। গত বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৬৮ কোটি ডলার ছাড় করে। আইএমএফের ঋণ নেওয়ার আলোচনা শুরুর আগেই সরকার ২০২২ সালে জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। এর প্রভাবে ওই সময়ে গণপরিবহণের ভাড়া মাঠপর্যায়ে বৃদ্ধি পায় প্রায় শতভাগ। একই সময়ে বাড়ে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। ওই বছরেই সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়।

প্রধম আলো:

ঋণদাতাদের কাছে ২০০ কোটি ডলার চায় বাংলাদেশ
ডলার–সংকট, আর্থিক চাপ
আগামী ১ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি বাজেট–সহায়তা চায় বাংলাদেশ। মূলত রাজস্ব আদায়ের নাজুক পরিস্থিতিতে বাজেটের অর্থের জোগান দিতে সরকার এখন এই ধরনের সহায়তার দিকে মনোযোগী হয়েছে। রিজার্ভ–সংকট, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি—এসব সমস্যার সমাধানে নগদ ডলারের বিকল্প নেই। এ জন্য নতুন করে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭৫ কোটি ডলার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ৬৫ কোটি ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ।

এর বাইরে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), ফ্রান্স সাহায্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা আসতে পারে। এআইআইবি ও ফ্রান্স সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে আসতে পারে ৭০ কোটি ডলারের বেশি। এখন এসব ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে দর-কষাকষি চলছে। এ ছাড়া চীনের কাছ থেকেও বড় ধরনের বাজেট–সহায়তা পাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অন্তত ৫০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বাজেট–সহায়তা ছাড় করতে চায় ইআরডি।

ইত্তেফাক:

আবারও বাড়বে তাপমাত্রা, মে মাসের শেষদিকে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়
টানা একমাসের লম্বা সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের পর চলতি মাসের শুরু থেকে বৃষ্টিতে ক্রমশঃ স্বস্তি ফিরেছে সারাদেশে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। কেটেছে গরমের দাপট। বৃষ্টিপাতের প্রভাবে গত কয়েকদিনে দেশের কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। বাতাসে আর্দ্রতা হ্রাস পেয়েছে।

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, আবহাওয়ার এই স্বস্তিকর অবস্থা চলতে পারে আরো অন্তত চার দিন। অতঃপর বৃষ্টিপ্রবণতা শিথিল হয়ে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। তবে তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের চেয়ে খানিকটা কম থাকবে। ইত্যবসরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপের। মাসের শেষভাগে একটি নিম্নচাপ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুযায়ী সেটি ধারণা করছেন তারা। শুক্রবার একই সাথে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ানের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রিমাল’। ওমানের দেয়া এই আরবী নামের অর্থ-বালু। আগামী ২০ থেকে ২৭ মে’র মধ্যে শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তিনি বলেন, দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

অসাধু চক্রে জিম্মি ই-কমার্স
ডিজিটালাইজেশনের সুফল নিয়ে দেশে করোনাকালে ফুলেফেঁপে ওঠে ই-কমার্স খাতটি। লকডাউনে ঘরে বসেই শুরু হয় কেনাকাটা। এরপর থেকে ক্রমেই ই-কমার্সের ব্যাপ্তি বেড়েছে। কর্মব্যস্ত নগরজীবনে অনেকটাই স্বস্তি এনে দিয়েছে কেনাকাটার এ অনলাইন মাধ্যম। রেস্টুরেন্টের খাবার, মুদি বাজার, মাছ, মাংস, কাপড়-চোপড়, ওষুধ, ইলেকট্রনিকস পণ্য, কোরবানির গরু- সবই কেনা যাচ্ছে ঘরে বসে। আর ই-কমার্সের প্রতি মানুষের আস্থা ও নির্ভরশীলতাকে পুঁজি করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে অসাধু চক্র। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ই-কমার্স পেজ খুলে নানাভাবে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আসল পণ্যের ছবি দেখিয়ে গছিয়ে দিচ্ছে নকল পণ্য। ৭০ থেকে ৮০% মূল্যছাড়ের লোভনীয় অফার দিয়ে অগ্রিম টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা মিলছে না। এতে সম্ভাবনাময় ই-কমার্সের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। বিপদে পড়ছেন সৎ উদ্যোক্তারা। প্রতারণার শিকার ভোক্তারা জানান, ফেসবুক স্ক্রল করতে গেলে এখন শত শত বিজ্ঞাপন সামনে আসে। ফ্যাক্টরি থেকে বিক্রির কথা বলে ২৪ হাজার টাকার বাইসাইকেল ৫০০০ টাকায় বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। কিনতে চাইলে অগ্রিম কিছু টাকা পাঠাতে বলে। টাকা পাঠানোর পর ওই পেজ থেকে এবং যে নম্বরে টাকা পাঠানো হয়- সব জায়গা থেকে ব্লক করে দেয়। বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, সফটওয়্যার, জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নামমাত্র মূল্যে দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়ে পরে আর কিছুই দিচ্ছে না। অল্পকিছু টাকার জন্য অধিকাংশ মানুষই এ নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হন না। আবার ৪ হাজার ৫০০ টাকার থ্রিপিস ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রির অফার দিয়ে এমন পণ্য পাঠাচ্ছে যা বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। কিছু পণ্য ডেলিভারি চার্জ গচ্চা দিয়ে তাৎক্ষণিক রিটার্ন করা যায়। কিছু পণ্য রিটার্ন করা যায় না। ব্যক্তিগত ভুয়া প্রোফাইল থেকেও প্রতারণা করা হচ্ছে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব বলছে, যে কোনো উৎসবে অনলাইনে বেচাকেনা বাড়ে। সেই সুযোগটা নেয় প্রতারকরা। গত ঈদে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৮ লাখ পণ্য ডেলিভারি করেন অনলাইন ব্যবসায়ীরা। তখন প্রতারণাও বাড়ে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত ঈদের আগে শুধু মার্চ মাসে অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারিত হয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে প্রায় ৮০০ মানুষ অভিযোগ দেয়। তবে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ফেসবুক পেজগুলোর অস্তিত্ব কিংবা ঠিকানা না পাওয়ায় অধিকাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয় না। শফিক আহমেদ নামে মিরপুরের এক বাসিন্দা বলেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে ফেমাস ওয়ার্ল্ড নামের একটি পেজ থেকে মাত্র ২৯৯ টাকায় হইচই, নেটফ্লিক্স, চরকি, প্রাইম ভিডিও, জিফাইভ, এইচবিওসহ জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন বিক্রির বিজ্ঞাপন আসছে। তাদের টাকা পাঠানোর পর কোনো সাবস্ক্রিপশনই দেয়নি

নয়াদিগন্ত:

আ’লীগের রিমোট কন্ট্রোল ভারতের হাতে : গয়েশ্বর
প্রতিবেশী দেশের দালালি করে সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নাই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। আমাদের নেতাকর্মীরা যে রকম অত্যাচার-নির্যাতনকে সহ্য করে এখনো বুক টান করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়, সেই স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশীদের নাই, কারো নাই। তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের দালালি করে শেখ হাসিনা বেশি দিন টিকতে পারবে না। কারণ যারা অন্যায়ভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে, তাদের পরিণতিটা কি হয় বিভিন্ন দেশের ইতিহাস থেকেই তা দেখা যাচ্ছে। যত জুলুম, যত লুটপাট, আঘাত করছেন, ক্ষমতাচ্যুতের পর কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার, ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন না।

‘সরকারের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে’ : গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বিএনপি চলে রিমোট কনট্রোলে। হ্যাঁ, বিএনপি রিমোট কনট্রোলে চলে রিমোট কনট্রোল কার হাতে? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে নয়তবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমানের হাতে ভারতের কিন্তু আপনাদের রিমোট কনট্রোলটা কোথায়? আপনাদের সরকারের রিমোট কনট্রোল কার হাতে? মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) হাতে, না অজিত দোভালের (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে, না অমিত শাহের (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হাতে। তাদের রিমোট কনট্রোলে আপনাদের চলতে হয়।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারা বিশ্বের মানুষ যেভাবে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ষড়যন্ত্র করছিল ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন আমরা করতে পারতাম না। তাহলে ভারতই আপনাদের রাখছে, ভারতই আপনাদের রাখবে? তার মানে গণতন্ত্রের অবস্থা কী? বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, অব দ্য পিপল। আর আপনাদের কথা শুনে মনে হয়, ডেমোক্র্যাসি মিনস বাই দ্য ইন্ডিয়া, ফর দ্য ইন্ডিয়া, বাই দ্য ইন্ডিয়া। এর বেশি কিছু? মনে হয় না। সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ টেনে দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে দেশকে রক্ষায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

‘বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট’ : উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৭ জানুয়ারি থেকেও কম উল্লেখ করে সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকেও কম। আর যে যেখানে পারছে সে সেখানে সিল মেরেছে। বাইরে ফিট-ফাট আর ভেতরে সদরঘাট। এই হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনের অবস্থা।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে চলছে তামাশা। চার দিকে চলছে লুটপাটের সংস্কৃতি। এই দুঃশাসন জনগণ বেশি দিন মানবে না। তিনি আরো বলেন, ডামি সরকার বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে না, ভারতের ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে। এক আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ খাত থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। তারা আগে ছিল সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী এখন তারা বৈশ্বিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন।

মানবজমিন:

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ
বয়স নিয়ে কী হচ্ছে?
সরকারি চাকরিতে প্রবেশসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে প্রায় এক যুগ ধরে আন্দোলন করছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। নানাভাবে দাবি জানানোর পাশাপাশি আন্দোলনে হামলার শিকারও হয়েছেন তারা। দীর্ঘ আন্দোলনের পর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটি নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত উঠে এসেছে। সিংহভাগ বলছেন চাকরির প্রবেশসীমা বৃদ্ধি করা উচিত। আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়সের সীমা ৩৫ করা হলে ব্যাপকহারে শিক্ষিত বেকার তৈরি হবে।

বাংলাদেশে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩০। তবে মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, উপজাতি কোটার চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য বয়সের সীমা ৩২। এ ছাড়াও বিসিএসে সরকারি নার্সিংয়ে চাকরির ক্ষেত্রে ৩৫।

আর এ ছাড়াও বেসরকারি স্কুল-কলেজেও ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যায়।
‘চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ চাই’ আন্দোলনের একজন নেতা সজীব মাহমুদ বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় লেখাপড়া শেষ করতে করতেই ৩০-এর কাছাকাছি বয়স হয়ে যায়। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও বেশি ভোগান্তির মুখে পড়ে। এতে করে সরকারি চাকরি পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে যায়।

ইয়াসিন মোল্লা নামে আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাটাই উঠিয়ে দেয়া উচিত। তাহলে দেশে শিক্ষিত বেকার তৈরি হবে না। সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীরা কাজের পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতে পারবে। এটা যেহেতু অনেক বড় সিদ্ধান্ত। নানা জটিলতার সম্ভাবনা আছে। তবে এই মুহূর্তে পাঁচ বছর বাড়িয়ে ৩৫ করা হলে আমাদের মধ্য থেকে হতাশা কমে আসবে।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে দেখা যায় ভারতে বিভিন্ন রাজ্যভেদে ও চাকরির ধরন অনুযায়ী আবেদনের বয়সসীমা ৩২-৪২ বছর পর্যন্ত। নেপালে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে পুরুষদের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই সীমা ৪০ বছর। আবার স্বাস্থ্য পরিষেবায় সর্বোচ্চ ৪৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। অফিসার পদগুলোতে সর্বনিম্ন ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের ব্যক্তিরাও আবেদন করতে পারেন। শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। তবে কিছু সরকারি চাকরিতে এই বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয়।

কালবেলা:

এবারও ডেঙ্গুঝড়ের শঙ্কা, প্রস্তুতি কম
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ছড়ানোর কথা। তবে বাংলাদেশে এখন আর এটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমাবদ্ধ থাকছে না। জলবায়ু পরিবর্তন ও মশকনিধনে উদাসীনতার কারণে সারা বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষ। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এর ভয়াবহতা। প্রতি বছরই ভাঙছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। মশা নিধন কার্যক্রম গতানুগতিক পদ্ধতিতে আটকে থাকায় এ বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা আগের চেয়ে বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার দ্বিগুণ। গত বছর প্রথম চার মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১১ জনের। চলতি বছরের চার মাসে এই সংখ্যা ২৪। চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন আরও পাঁচজন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার বৃষ্টি মৌসুম দীর্ঘ হতে পারে। আর সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, বৃষ্টির মৌসুম দীর্ঘ হলে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর ঝুঁকি রয়েছে। লম্বা সময় ধরে সংক্রমণ চলতে থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে ডেঙ্গু মৌসুম দীর্ঘ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ঘটছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, এবারও গতবারের চেয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়ংকর হতে পারে।’

এদিকে মশাবাহিত রোগটি নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে প্রতিবেশী দেশ কলকাতা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। স্থানীয় সরকার বিভাগ, জনসম্পৃক্ততা ও প্রযুক্তির কল্যাণে তিনটি মডেল সফল হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে গত দুই যুগ ধরে রোগটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করলেও প্রতিরোধে কোনো মডেল তৈরি এবং বাস্তবায়ন করা হয়নি। জোর দেওয়া হচ্ছে শুধুই চিকিৎসায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থায় জোর দিয়ে মশাবাহিত ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এজন্য বাহক (মশা) নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে। মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে। মশার বংশবিস্তারের উৎস খুঁজে ধ্বংস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা কিংবা সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ায় সফল মডেলের আদলে একটি কর্মকৌশল তৈরি করে কাজ করতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার কালবেলাকে বলেন, ‘কলকাতা ও আমাদের আবহাওয়া প্রায় একই রকম। সেখানে তারা একটি জনসম্পৃক্ত মডেল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে মশা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপও কমে এসেছে। অথচ আমরা দুই যুগেও মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। উল্টো শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়েছে।’

ডেঙ্গু মোকাবিলায় তিনি নিজেও একটি মডেল (কেবি মডেল) তৈরি করেছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেবি মডেল নামে একটি মডেল তৈরি করেছি। আগামী পাঁচ বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে মডেলটি বাস্তবায়ন করা হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও তার দুই প্রতিষ্ঠান ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।’

মশক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্যর্থ হলে এর দায় এসে পড়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওপর। অতিরিক্ত রোগী সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের। গত বছর অতিরিক্ত ডেঙ্গু রোগীর চাপে শিরায় পুশ করা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছিল। এতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার প্রস্তুতি নিয়েও বিতর্ক ওঠে। এবার ডেঙ্গু রোগী সামলাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

আগের মতো এবার শিরায় পুশ করা স্যালাইন সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে জরুরি রোগী ছাড়া অন্য রোগী ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত বছরের মতো এবার স্যালাইন সংকট হবে না। দেশের ওষুধ উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন, মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াই সরকারকে প্রয়োজনীয় স্যালাইন সরবরাহ করবেন। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় চিকিৎসাসেবার চেয়ে মশকনিধনে বেশি জোর দিতে হবে।’

 

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ

শর্তের জ্বালায় ভোক্তা জ্বলছে

আপডেট সময় ০৮:৪৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

যুগান্তর:

শর্তের জ্বালায় ভোক্তা জ্বলছে

আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ
শর্ত বাস্তবায়নের ফলে ডলার সরবরাহ বাড়েনি, রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটেনি, বেড়েছে পণ্য ও সেবার মূল্য, বাড়েনি আয়
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার ডলার, ঋণের সুদহার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়িয়েছে। এগুলোর প্রভাবে লাগামহীনভাবে বেড়েছে গণপরিবহণসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম। বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানো হয়েছে। ফলে ওই সব খাতেও পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়েছে। ফলে বাড়েনি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমানো সম্ভবই হয়নি, উলটো এর পালে আরও হাওয়া লেগেছে। মানুষের খরচ বেড়েছে, কিন্তু বাড়েনি আয়। ফলে জীবনযাত্রার মান কমেছে। এসব মিলে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে আইএমএফের শর্তের জ্বালায় জ্বলছে ভোক্তা।

সূত্র জানায়, বৈশ্বিক ও দেশীয় মন্দার প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ঋণের দুটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে আইএমএফ মিশনের সঙ্গে সরকারের দর কষাকষি শেষ হয়েছে। ২৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত আইএমএফ মিশন বাংলাদেশে কাজ করেছে। ওই সময়ে তারা বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রমের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। এ মিশনের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি। তবে ঢাকা ত্যাগের আগে মিশনটি প্রায় নিশ্চিত করেছে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার বাংলাদেশ পাচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে বা আগামী মাসের প্রথম দিকেই এ অর্থ ছাড় করবে আইএমএফ।

মন্দার প্রভাব মোকাবিলার জন্য গত বছরের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের অনুকূলে আইএমএফ ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ওই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তি বাবদ ৪৮ কোটি ডলার ছাড় করে। গত বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৬৮ কোটি ডলার ছাড় করে। আইএমএফের ঋণ নেওয়ার আলোচনা শুরুর আগেই সরকার ২০২২ সালে জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। এর প্রভাবে ওই সময়ে গণপরিবহণের ভাড়া মাঠপর্যায়ে বৃদ্ধি পায় প্রায় শতভাগ। একই সময়ে বাড়ে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। ওই বছরেই সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়।

প্রধম আলো:

ঋণদাতাদের কাছে ২০০ কোটি ডলার চায় বাংলাদেশ
ডলার–সংকট, আর্থিক চাপ
আগামী ১ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি বাজেট–সহায়তা চায় বাংলাদেশ। মূলত রাজস্ব আদায়ের নাজুক পরিস্থিতিতে বাজেটের অর্থের জোগান দিতে সরকার এখন এই ধরনের সহায়তার দিকে মনোযোগী হয়েছে। রিজার্ভ–সংকট, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি—এসব সমস্যার সমাধানে নগদ ডলারের বিকল্প নেই। এ জন্য নতুন করে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭৫ কোটি ডলার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ৬৫ কোটি ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ।

এর বাইরে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), ফ্রান্স সাহায্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা আসতে পারে। এআইআইবি ও ফ্রান্স সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে আসতে পারে ৭০ কোটি ডলারের বেশি। এখন এসব ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে দর-কষাকষি চলছে। এ ছাড়া চীনের কাছ থেকেও বড় ধরনের বাজেট–সহায়তা পাওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অন্তত ৫০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বাজেট–সহায়তা ছাড় করতে চায় ইআরডি।

ইত্তেফাক:

আবারও বাড়বে তাপমাত্রা, মে মাসের শেষদিকে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়
টানা একমাসের লম্বা সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের পর চলতি মাসের শুরু থেকে বৃষ্টিতে ক্রমশঃ স্বস্তি ফিরেছে সারাদেশে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। কেটেছে গরমের দাপট। বৃষ্টিপাতের প্রভাবে গত কয়েকদিনে দেশের কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। বাতাসে আর্দ্রতা হ্রাস পেয়েছে।

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, আবহাওয়ার এই স্বস্তিকর অবস্থা চলতে পারে আরো অন্তত চার দিন। অতঃপর বৃষ্টিপ্রবণতা শিথিল হয়ে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। তবে তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের চেয়ে খানিকটা কম থাকবে। ইত্যবসরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপের। মাসের শেষভাগে একটি নিম্নচাপ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুযায়ী সেটি ধারণা করছেন তারা। শুক্রবার একই সাথে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ানের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রিমাল’। ওমানের দেয়া এই আরবী নামের অর্থ-বালু। আগামী ২০ থেকে ২৭ মে’র মধ্যে শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তিনি বলেন, দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

অসাধু চক্রে জিম্মি ই-কমার্স
ডিজিটালাইজেশনের সুফল নিয়ে দেশে করোনাকালে ফুলেফেঁপে ওঠে ই-কমার্স খাতটি। লকডাউনে ঘরে বসেই শুরু হয় কেনাকাটা। এরপর থেকে ক্রমেই ই-কমার্সের ব্যাপ্তি বেড়েছে। কর্মব্যস্ত নগরজীবনে অনেকটাই স্বস্তি এনে দিয়েছে কেনাকাটার এ অনলাইন মাধ্যম। রেস্টুরেন্টের খাবার, মুদি বাজার, মাছ, মাংস, কাপড়-চোপড়, ওষুধ, ইলেকট্রনিকস পণ্য, কোরবানির গরু- সবই কেনা যাচ্ছে ঘরে বসে। আর ই-কমার্সের প্রতি মানুষের আস্থা ও নির্ভরশীলতাকে পুঁজি করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে অসাধু চক্র। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ই-কমার্স পেজ খুলে নানাভাবে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আসল পণ্যের ছবি দেখিয়ে গছিয়ে দিচ্ছে নকল পণ্য। ৭০ থেকে ৮০% মূল্যছাড়ের লোভনীয় অফার দিয়ে অগ্রিম টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা মিলছে না। এতে সম্ভাবনাময় ই-কমার্সের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। বিপদে পড়ছেন সৎ উদ্যোক্তারা। প্রতারণার শিকার ভোক্তারা জানান, ফেসবুক স্ক্রল করতে গেলে এখন শত শত বিজ্ঞাপন সামনে আসে। ফ্যাক্টরি থেকে বিক্রির কথা বলে ২৪ হাজার টাকার বাইসাইকেল ৫০০০ টাকায় বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। কিনতে চাইলে অগ্রিম কিছু টাকা পাঠাতে বলে। টাকা পাঠানোর পর ওই পেজ থেকে এবং যে নম্বরে টাকা পাঠানো হয়- সব জায়গা থেকে ব্লক করে দেয়। বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, সফটওয়্যার, জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নামমাত্র মূল্যে দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়ে পরে আর কিছুই দিচ্ছে না। অল্পকিছু টাকার জন্য অধিকাংশ মানুষই এ নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হন না। আবার ৪ হাজার ৫০০ টাকার থ্রিপিস ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রির অফার দিয়ে এমন পণ্য পাঠাচ্ছে যা বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। কিছু পণ্য ডেলিভারি চার্জ গচ্চা দিয়ে তাৎক্ষণিক রিটার্ন করা যায়। কিছু পণ্য রিটার্ন করা যায় না। ব্যক্তিগত ভুয়া প্রোফাইল থেকেও প্রতারণা করা হচ্ছে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব বলছে, যে কোনো উৎসবে অনলাইনে বেচাকেনা বাড়ে। সেই সুযোগটা নেয় প্রতারকরা। গত ঈদে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৮ লাখ পণ্য ডেলিভারি করেন অনলাইন ব্যবসায়ীরা। তখন প্রতারণাও বাড়ে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত ঈদের আগে শুধু মার্চ মাসে অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারিত হয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে প্রায় ৮০০ মানুষ অভিযোগ দেয়। তবে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ফেসবুক পেজগুলোর অস্তিত্ব কিংবা ঠিকানা না পাওয়ায় অধিকাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয় না। শফিক আহমেদ নামে মিরপুরের এক বাসিন্দা বলেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে ফেমাস ওয়ার্ল্ড নামের একটি পেজ থেকে মাত্র ২৯৯ টাকায় হইচই, নেটফ্লিক্স, চরকি, প্রাইম ভিডিও, জিফাইভ, এইচবিওসহ জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন বিক্রির বিজ্ঞাপন আসছে। তাদের টাকা পাঠানোর পর কোনো সাবস্ক্রিপশনই দেয়নি

নয়াদিগন্ত:

আ’লীগের রিমোট কন্ট্রোল ভারতের হাতে : গয়েশ্বর
প্রতিবেশী দেশের দালালি করে সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নাই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। আমাদের নেতাকর্মীরা যে রকম অত্যাচার-নির্যাতনকে সহ্য করে এখনো বুক টান করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়, সেই স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশীদের নাই, কারো নাই। তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের দালালি করে শেখ হাসিনা বেশি দিন টিকতে পারবে না। কারণ যারা অন্যায়ভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে, তাদের পরিণতিটা কি হয় বিভিন্ন দেশের ইতিহাস থেকেই তা দেখা যাচ্ছে। যত জুলুম, যত লুটপাট, আঘাত করছেন, ক্ষমতাচ্যুতের পর কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার, ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন না।

‘সরকারের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে’ : গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বিএনপি চলে রিমোট কনট্রোলে। হ্যাঁ, বিএনপি রিমোট কনট্রোলে চলে রিমোট কনট্রোল কার হাতে? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে নয়তবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমানের হাতে ভারতের কিন্তু আপনাদের রিমোট কনট্রোলটা কোথায়? আপনাদের সরকারের রিমোট কনট্রোল কার হাতে? মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) হাতে, না অজিত দোভালের (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে, না অমিত শাহের (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হাতে। তাদের রিমোট কনট্রোলে আপনাদের চলতে হয়।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারা বিশ্বের মানুষ যেভাবে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ষড়যন্ত্র করছিল ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন আমরা করতে পারতাম না। তাহলে ভারতই আপনাদের রাখছে, ভারতই আপনাদের রাখবে? তার মানে গণতন্ত্রের অবস্থা কী? বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, অব দ্য পিপল। আর আপনাদের কথা শুনে মনে হয়, ডেমোক্র্যাসি মিনস বাই দ্য ইন্ডিয়া, ফর দ্য ইন্ডিয়া, বাই দ্য ইন্ডিয়া। এর বেশি কিছু? মনে হয় না। সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ টেনে দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে দেশকে রক্ষায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

‘বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট’ : উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৭ জানুয়ারি থেকেও কম উল্লেখ করে সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকেও কম। আর যে যেখানে পারছে সে সেখানে সিল মেরেছে। বাইরে ফিট-ফাট আর ভেতরে সদরঘাট। এই হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনের অবস্থা।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে চলছে তামাশা। চার দিকে চলছে লুটপাটের সংস্কৃতি। এই দুঃশাসন জনগণ বেশি দিন মানবে না। তিনি আরো বলেন, ডামি সরকার বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে না, ভারতের ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে। এক আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ খাত থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। তারা আগে ছিল সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী এখন তারা বৈশ্বিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন।

মানবজমিন:

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ
বয়স নিয়ে কী হচ্ছে?
সরকারি চাকরিতে প্রবেশসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে প্রায় এক যুগ ধরে আন্দোলন করছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। নানাভাবে দাবি জানানোর পাশাপাশি আন্দোলনে হামলার শিকারও হয়েছেন তারা। দীর্ঘ আন্দোলনের পর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটি নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত উঠে এসেছে। সিংহভাগ বলছেন চাকরির প্রবেশসীমা বৃদ্ধি করা উচিত। আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়সের সীমা ৩৫ করা হলে ব্যাপকহারে শিক্ষিত বেকার তৈরি হবে।

বাংলাদেশে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩০। তবে মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, উপজাতি কোটার চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য বয়সের সীমা ৩২। এ ছাড়াও বিসিএসে সরকারি নার্সিংয়ে চাকরির ক্ষেত্রে ৩৫।

আর এ ছাড়াও বেসরকারি স্কুল-কলেজেও ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যায়।
‘চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ চাই’ আন্দোলনের একজন নেতা সজীব মাহমুদ বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় লেখাপড়া শেষ করতে করতেই ৩০-এর কাছাকাছি বয়স হয়ে যায়। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও বেশি ভোগান্তির মুখে পড়ে। এতে করে সরকারি চাকরি পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে যায়।

ইয়াসিন মোল্লা নামে আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাটাই উঠিয়ে দেয়া উচিত। তাহলে দেশে শিক্ষিত বেকার তৈরি হবে না। সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীরা কাজের পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতে পারবে। এটা যেহেতু অনেক বড় সিদ্ধান্ত। নানা জটিলতার সম্ভাবনা আছে। তবে এই মুহূর্তে পাঁচ বছর বাড়িয়ে ৩৫ করা হলে আমাদের মধ্য থেকে হতাশা কমে আসবে।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে দেখা যায় ভারতে বিভিন্ন রাজ্যভেদে ও চাকরির ধরন অনুযায়ী আবেদনের বয়সসীমা ৩২-৪২ বছর পর্যন্ত। নেপালে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে পুরুষদের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই সীমা ৪০ বছর। আবার স্বাস্থ্য পরিষেবায় সর্বোচ্চ ৪৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। অফিসার পদগুলোতে সর্বনিম্ন ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের ব্যক্তিরাও আবেদন করতে পারেন। শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। তবে কিছু সরকারি চাকরিতে এই বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয়।

কালবেলা:

এবারও ডেঙ্গুঝড়ের শঙ্কা, প্রস্তুতি কম
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ছড়ানোর কথা। তবে বাংলাদেশে এখন আর এটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমাবদ্ধ থাকছে না। জলবায়ু পরিবর্তন ও মশকনিধনে উদাসীনতার কারণে সারা বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষ। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এর ভয়াবহতা। প্রতি বছরই ভাঙছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। মশা নিধন কার্যক্রম গতানুগতিক পদ্ধতিতে আটকে থাকায় এ বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা আগের চেয়ে বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার দ্বিগুণ। গত বছর প্রথম চার মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১১ জনের। চলতি বছরের চার মাসে এই সংখ্যা ২৪। চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন আরও পাঁচজন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার বৃষ্টি মৌসুম দীর্ঘ হতে পারে। আর সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, বৃষ্টির মৌসুম দীর্ঘ হলে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর ঝুঁকি রয়েছে। লম্বা সময় ধরে সংক্রমণ চলতে থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে ডেঙ্গু মৌসুম দীর্ঘ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ঘটছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, এবারও গতবারের চেয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়ংকর হতে পারে।’

এদিকে মশাবাহিত রোগটি নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে প্রতিবেশী দেশ কলকাতা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। স্থানীয় সরকার বিভাগ, জনসম্পৃক্ততা ও প্রযুক্তির কল্যাণে তিনটি মডেল সফল হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে গত দুই যুগ ধরে রোগটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করলেও প্রতিরোধে কোনো মডেল তৈরি এবং বাস্তবায়ন করা হয়নি। জোর দেওয়া হচ্ছে শুধুই চিকিৎসায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থায় জোর দিয়ে মশাবাহিত ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এজন্য বাহক (মশা) নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে। মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে। মশার বংশবিস্তারের উৎস খুঁজে ধ্বংস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা কিংবা সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ায় সফল মডেলের আদলে একটি কর্মকৌশল তৈরি করে কাজ করতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার কালবেলাকে বলেন, ‘কলকাতা ও আমাদের আবহাওয়া প্রায় একই রকম। সেখানে তারা একটি জনসম্পৃক্ত মডেল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে মশা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপও কমে এসেছে। অথচ আমরা দুই যুগেও মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। উল্টো শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়েছে।’

ডেঙ্গু মোকাবিলায় তিনি নিজেও একটি মডেল (কেবি মডেল) তৈরি করেছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেবি মডেল নামে একটি মডেল তৈরি করেছি। আগামী পাঁচ বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে মডেলটি বাস্তবায়ন করা হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও তার দুই প্রতিষ্ঠান ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।’

মশক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্যর্থ হলে এর দায় এসে পড়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওপর। অতিরিক্ত রোগী সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের। গত বছর অতিরিক্ত ডেঙ্গু রোগীর চাপে শিরায় পুশ করা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছিল। এতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার প্রস্তুতি নিয়েও বিতর্ক ওঠে। এবার ডেঙ্গু রোগী সামলাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

আগের মতো এবার শিরায় পুশ করা স্যালাইন সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে জরুরি রোগী ছাড়া অন্য রোগী ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত বছরের মতো এবার স্যালাইন সংকট হবে না। দেশের ওষুধ উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন, মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াই সরকারকে প্রয়োজনীয় স্যালাইন সরবরাহ করবেন। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় চিকিৎসাসেবার চেয়ে মশকনিধনে বেশি জোর দিতে হবে।’