ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগের সরকার সীমান্তে ছাড় দিলেও, এখন ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo শপথের আগে ওয়াশিংটনে হাজার হাজার মানুষের ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ Logo সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি Logo ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার,রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চায় না ইসি Logo স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন হাসিনা Logo জাবিতে মহিলা হলে বহিরাগত যুবক আটক Logo শীতে কাপছে পঞ্চগড়, একদিনে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে ৭.৯ ডিগ্রিতে নামল Logo একইস্থানে বিএনপির দু‘পক্ষের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫ Logo থানার ভেতরে পুলিশের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল Logo যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ব্যর্থ হলে আবার যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
দেশে নারীর চেয়ে পুরুষ বেকার বেশি

দেশে পুরুষ বেকার বেড়েছে নারী বেকার কমেছে

বর্তমানে দেশে পুরুষ বেকার ১৭ লাখ ৪০ হাজার আর নারী বেকার ৮ লাখ ৫০ হাজার

বর্তমানে দেশে পুরুষ বেকার ১৭ লাখ ৪০ হাজার আর নারী বেকার ৮ লাখ ৫০ হাজার। মোট বেকার সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার।  ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। এর মানে গত বছরের চেয়ে দেশে এখণ পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা ২০ হাজার বেড়েছে। 

গেলো সাপ্তাহে (৬ মে সোমবার) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুসারে, যারা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তাঁরা বেকার হিসেবে গণ্য হবেন। বিবিএস এই নিয়ম অনুসারেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক ও ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকারেরে সংখ্যা প্রায় সমান ছিল। এই দু-বছরের প্রথম প্রান্তিকে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। তবে গড় কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এদিকে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে। বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।

এ বিষয়ে বিবিএসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রান্তিক ভিত্তিতে বেকারের সংখ্যা হেরফের হতে পারে। সাধারণ শীতের সময় কাজের সুযোগ কম থাকে।

বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তারা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।

জনপ্রিয় সংবাদ

আগের সরকার সীমান্তে ছাড় দিলেও, এখন ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশে নারীর চেয়ে পুরুষ বেকার বেশি

দেশে পুরুষ বেকার বেড়েছে নারী বেকার কমেছে

আপডেট সময় ০১:৩১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

বর্তমানে দেশে পুরুষ বেকার ১৭ লাখ ৪০ হাজার আর নারী বেকার ৮ লাখ ৫০ হাজার। মোট বেকার সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার।  ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। এর মানে গত বছরের চেয়ে দেশে এখণ পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা ২০ হাজার বেড়েছে। 

গেলো সাপ্তাহে (৬ মে সোমবার) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুসারে, যারা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তাঁরা বেকার হিসেবে গণ্য হবেন। বিবিএস এই নিয়ম অনুসারেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক ও ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকারেরে সংখ্যা প্রায় সমান ছিল। এই দু-বছরের প্রথম প্রান্তিকে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। তবে গড় কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এদিকে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে। বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।

এ বিষয়ে বিবিএসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রান্তিক ভিত্তিতে বেকারের সংখ্যা হেরফের হতে পারে। সাধারণ শীতের সময় কাজের সুযোগ কম থাকে।

বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তারা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।