ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ Logo ‘আমরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছি’ গাজার হাজারো মানুষের আর্তনাদ Logo জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত, ৫ আগস্ট উপস্থাপন করবে সরকার: প্রেস উইং Logo জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: নাহিদ ইসলাম Logo ৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র Logo মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত Logo আমিরে জামায়াত দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রাখায় কৃতজ্ঞ চিকিৎসকরা Logo জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন Logo গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট Logo ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত হলো বেসিক মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালা

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য নতুন উৎস থেকে আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য আইওএম’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থ্যার (আইওএম) মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যামি পোপ শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, যেহেতু (বাংলাদেশে) মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য তহবিল কমে গেছে, আইওএম’র উচিত এই উদ্দেশ্যে আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য নতুন অংশীদারদের খুঁজে বের করা।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে আইওএমকে সহায়তা করার জন্যও বলেছেন। কারণ, এখানে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা এবং কর্মসংস্থানসহ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। ভাষানচরে এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। সরকারপ্রধান বলেন, তার সরকার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের নিরাপদ অবস্থান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করেছে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন দল ও উপগোষ্ঠীতে বিভক্ত এবং তারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় স্থানীয় লোকজন এখন তাদের এলাকায় সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। অ্যামি পোপ স্বাগতিক দেশের চাহিদা অনুযায়ী তাদের দক্ষতা বাড়াতে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর অভিবাসীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর জোর দেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার অন্য দেশের কাউকে বোঝার জন্য পেশা ও ভাষার ওপর যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষ জনসংখ্যা তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সারা দেশে ১১২টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হযেছে। অভিবাসন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। দারিদ্র্য কমলে অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অভিবাসীদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। যার মধ্যে কোনো জামানত ছাড়াই ঋণ দেওয়া রয়েছে। আয়োজক ও উৎসদেশ উভয়েরই অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে, যেহেতু তারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য কাজ করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ০৮:৪১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য নতুন উৎস থেকে আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য আইওএম’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থ্যার (আইওএম) মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যামি পোপ শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, যেহেতু (বাংলাদেশে) মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য তহবিল কমে গেছে, আইওএম’র উচিত এই উদ্দেশ্যে আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য নতুন অংশীদারদের খুঁজে বের করা।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে আইওএমকে সহায়তা করার জন্যও বলেছেন। কারণ, এখানে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা এবং কর্মসংস্থানসহ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। ভাষানচরে এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। সরকারপ্রধান বলেন, তার সরকার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের নিরাপদ অবস্থান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করেছে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন দল ও উপগোষ্ঠীতে বিভক্ত এবং তারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় স্থানীয় লোকজন এখন তাদের এলাকায় সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। অ্যামি পোপ স্বাগতিক দেশের চাহিদা অনুযায়ী তাদের দক্ষতা বাড়াতে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর অভিবাসীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর জোর দেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার অন্য দেশের কাউকে বোঝার জন্য পেশা ও ভাষার ওপর যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষ জনসংখ্যা তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সারা দেশে ১১২টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হযেছে। অভিবাসন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। দারিদ্র্য কমলে অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অভিবাসীদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। যার মধ্যে কোনো জামানত ছাড়াই ঋণ দেওয়া রয়েছে। আয়োজক ও উৎসদেশ উভয়েরই অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে, যেহেতু তারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য কাজ করছেন।