ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামায়াতের অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘সৎ-যোগ্য’ লোককে ভোট দিতে বললেন ডিএমপি কর্মকর্তা Logo পাবনায় জামায়াত মনোনীত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র হচ্ছে না?-প্রশ্ন ছাত্রশিবির সভাপতির Logo এখন থেকে পাগলা মসজিদে দান করা যাবে অনলাইনে Logo ছাত্রদল নেতার নির্দেশ: ফেক আইডি খুলে দৈনিক ১০টি করে পোস্ট দিতে হবে Logo সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি Logo নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন: জামায়াত আমির Logo লক্ষ্মীপুরে রোগীকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ডা.শিপলু সরকারের বিরুদ্ধে Logo ঠাকুরগাঁওয়ে এনসিপির গাড়ি বহরে হামলা Logo তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া

ছাত্রলীগ নেতা পড়েন জবিতে, ইন্টারনেট ব্যবসা করেন ঢাবির হলে থেকে

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসম্পাদক সাব্বির আহমেদ সিফাত পড়ালেখা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)। কিন্তু আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে। শুধু থাকাই নয়, ঢাবির হলে থেকে করেন অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাব্বির আহমেদ সিফাত জবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি চাঁদপুর। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। শয়নের শেল্টারে তিনি হলে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

মাস্টারদা সূর্যসেন হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সাব্বির আহমেদ সিফাত হলের ৩৪৩ নং কক্ষে থাকেন। হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ আগে গ্রিন অনলাইন জোন নামক একটি কোম্পানি থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নেন সাব্বির এবং কেন্দ্রীয় উপ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।

অনুসন্ধানে জানা যায়—সরাসরি কোনো কোম্পানি থেকে নয়, থার্ড পার্টির কাছ থেকে ইন্টারনেটের কানেকশন নিয়েছেন সাব্বির।

জবির ছাত্র হয়েও সূর্যসেন হলে থাকা এবং ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে সাব্বির বলেন, হলে যখন নেট কানেকশন দুর্বল ছিল তখন আমরা মিলেমিশে নতুন কানেকশন নিয়ে আসছিলাম। পরে এখন কেন দিচ্ছে না, সে বিষয়ে অবগত নই এবং কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত নই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও ঢাবিতে থাকা প্রসঙ্গে সাব্বির বলেন, ইন্টারনেট কানেকশন আনার বিষয়ে আমি জড়িত নই। হলে থাকার বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি তিনি। এ নিয়ে জানতে মাজহারুল কবির শয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

জবির হয়েও সূর্যসেন হলে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘গণমাধ্যমের সংবাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। আমাদের একটি টিম কাজ করছে, আবাসিক শিক্ষকদের সমন্বয়ে। খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘সৎ-যোগ্য’ লোককে ভোট দিতে বললেন ডিএমপি কর্মকর্তা

ছাত্রলীগ নেতা পড়েন জবিতে, ইন্টারনেট ব্যবসা করেন ঢাবির হলে থেকে

আপডেট সময় ০২:১৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসম্পাদক সাব্বির আহমেদ সিফাত পড়ালেখা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)। কিন্তু আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে। শুধু থাকাই নয়, ঢাবির হলে থেকে করেন অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাব্বির আহমেদ সিফাত জবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি চাঁদপুর। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। শয়নের শেল্টারে তিনি হলে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

মাস্টারদা সূর্যসেন হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সাব্বির আহমেদ সিফাত হলের ৩৪৩ নং কক্ষে থাকেন। হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ আগে গ্রিন অনলাইন জোন নামক একটি কোম্পানি থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নেন সাব্বির এবং কেন্দ্রীয় উপ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।

অনুসন্ধানে জানা যায়—সরাসরি কোনো কোম্পানি থেকে নয়, থার্ড পার্টির কাছ থেকে ইন্টারনেটের কানেকশন নিয়েছেন সাব্বির।

জবির ছাত্র হয়েও সূর্যসেন হলে থাকা এবং ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে সাব্বির বলেন, হলে যখন নেট কানেকশন দুর্বল ছিল তখন আমরা মিলেমিশে নতুন কানেকশন নিয়ে আসছিলাম। পরে এখন কেন দিচ্ছে না, সে বিষয়ে অবগত নই এবং কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত নই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও ঢাবিতে থাকা প্রসঙ্গে সাব্বির বলেন, ইন্টারনেট কানেকশন আনার বিষয়ে আমি জড়িত নই। হলে থাকার বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি তিনি। এ নিয়ে জানতে মাজহারুল কবির শয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

জবির হয়েও সূর্যসেন হলে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘গণমাধ্যমের সংবাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। আমাদের একটি টিম কাজ করছে, আবাসিক শিক্ষকদের সমন্বয়ে। খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’