ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মেহেরপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ Logo রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের কনফারেন্স সুনির্দিষ্ট পথ নির্দেশিকা হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo জানা গেল ২০২৭সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোন দেশে কয়টি ম্যাচ হবে Logo ডাকসুর নির্বাচনে জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর পদে লড়ছেন কতজন? Logo গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি Logo সুনামগঞ্জের ভুয়া এনএসআই সদস্য আটক Logo কুমিল্লায় চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo বেড়েই চলেছে স্ত্রীর দ্বারা স্বামী নির্যাতন, প্রতিকারে নেই কোনও আইন Logo দুপুরের মধ্যে যে ৭ জেলায় হতে পারে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি Logo মধ্যরাতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের

বাকৃবির আমবাগানে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রী-শিক্ষক আটক

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় বলে জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। আর ওই ছাত্রী কৃষি অনুষদে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।

বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। পরে প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারির উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই ছাত্রী।

স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি।

স্বীকারোক্তি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকে সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই শিক্ষার্থীর। ভর্তির পর ক্লাস শুরু হলে তিনি জানতে পারেন, ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। পরে মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত বিষয়টিও জানতেন শিক্ষার্থী। শিক্ষক শফিকুল ইসলাম নিজের গাড়িতে তাকে নিয়ে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছেন।

সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীসময়ে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিল, আমি তাকে হলগেটে পৌঁছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও সই নিয়েছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

বাকৃবির আমবাগানে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রী-শিক্ষক আটক

আপডেট সময় ০৭:২৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় বলে জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। আর ওই ছাত্রী কৃষি অনুষদে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।

বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। পরে প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারির উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই ছাত্রী।

স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি।

স্বীকারোক্তি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকে সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই শিক্ষার্থীর। ভর্তির পর ক্লাস শুরু হলে তিনি জানতে পারেন, ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। পরে মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত বিষয়টিও জানতেন শিক্ষার্থী। শিক্ষক শফিকুল ইসলাম নিজের গাড়িতে তাকে নিয়ে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছেন।

সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীসময়ে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মেয়েটা আমার গাড়িতেই ছিল, আমি তাকে হলগেটে পৌঁছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও সই নিয়েছে।’