আগের দুই ম্যাচ হারায় তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাঁচা-মরার লড়াই। সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়েও নিগার সুলতানারা ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠতে পারলেন না। শুরুতে ব্যাট হাতে দারুণ সূচনা পেলেও সেই ছন্দ শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে না পারায় ১১৭ রানে থামে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। এই রান অনায়াসে টপকে গেছে ভারত।
বাংলাদেশের বোলাররা কোনো রকম প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। ৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সিরিজও জিতে নিয়েছেন হারমানপ্রিত কৌররা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ভারত এগিয়ে ৩-০-তে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ১১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২ ওভারেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভারমা তোলেন ৯১ রান।
তাতে জয়ের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। মারুফা আক্তার, ফারিহা তৃষ্ণারা বল হাতে এদিনও ছিলেন নিষ্প্রভ। ভারতের ব্যাটারদের সেভাবে পরীক্ষা নিতে পারেননি। ৪২ বলে পাঁচ চার ও একটি ছক্কায় ৪৭ রান করে নাহিদা আক্তারের বলে আউট হয়ে ফেরেন স্মৃতি।
ফিফটি করেন শেফালি। ৩৮ বলে ৮টি চারের মারে করেন ৫১ রান। এরপর রাবেয়া খান দায়ালান হেমালতাকে ফেরালেও ততক্ষণে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ভারত। এরপর অধিনায়ক হারমানপ্রিত ৬ এবং রিচা ঘোষ ৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিপক্ষে শুরুটা দারুণ করেছিলেন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই স্কোরবোর্ডে তোলেন ৪৪ রান। কিন্তু শুরুর ছন্দ আর টেনে নিতে পারেননি স্বাগতিক মেয়েরা। নিয়মিত উইকেট হারানোর সঙ্গে রানার চাকা না এগোনোয় নির্ধারতি ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ১১৭ রানে। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন দিলারা আক্তার। ভারতের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তোলেন এই ব্যাটার। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৩৬ বলে ২৮ রান করেন। বাকিরা কেউই পারেননি ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে। ফলে আরেকটি হারের বিষাদ সঙ্গী হয় বাংলাদেশের মেয়েদের।