ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাকসুতে হেরে যাওয়া ছাত্রদল প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শিবিরের সঙ্গীতকে কটাক্ষ করে নাচ Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo দ্য নিউজের সাংবাদিক ইমরানকে প্রাণনাশের হুমকি Logo দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল Logo চট্রগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন কাচামাল নিয়ে জাহাজডুবি Logo রিশাদের রেকর্ড বোলিংয়ে মিরপুরে বাংলাদেশের বড় জয় Logo মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু Logo একাত্তরের শহিদ আবদুর রবের কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি-জিএসরা Logo ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে সালাহউদ্দিনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালেন জামায়াত আমির Logo ‘শহীদ মুগ্ধের বাবা ও আতিকুলকে চেনেন না, তিনি শুধু চিনেন এস আলমের গাড়ি

আমি চলে গেলে দেশের জন্য কাজ করবে কে? প্রধানমন্ত্রী

  • এম এ
  • আপডেট সময় ০৪:২১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • 215

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে উৎখাত করলে পরবর্তীতে কে আসবে। কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়। কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়। সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর সেটা স্পষ্ট নয় বলে তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দেশের রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে। তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। আমার একটা প্রশ্ন, বিশেষ করে যারা অতি বাম, সব সময় মনে করি তারা প্রোগ্রেসিভ দল, তারা খুবই গণমুখী দল ইত্যাদি। সেখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক আছে তারা আমাকে উৎখাত করবে। পরবর্তীতে কে আসবে তাহলে, সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই তো আমার প্রশ্ন।

এর আগে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, অতি ডান অতি বাম এক হয়ে সরকার উৎখাত করতে চায়। তার সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়। কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়। সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর সেটা স্পষ্ট নয় বলে তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না। আন্দোলন করে যাচ্ছে বিদেশে বসে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। প্রতিদিন অনলাইনে আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করছে করুক, তাদের তো বাধা দিচ্ছি না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, আমার শক্তি জনগণ। জনগণ যত দিন চাইবে ক্ষমতায় থাকব। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য যত চক্রান্ত আর বাধা আসুক আমরা বিজয় নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে।

উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচন অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছি নির্বাচন যাতে প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, এ জন্য বলেছি। তার মানে এই নয় যে এক জায়গায় ছেলেকে, আরেক জায়গায় স্ত্রীকে- এটা তো হয় না। কর্মীদেরও সুযোগ দিতে হবে। এটাই বলতে চেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কারণ, আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। সেই ২৮ অক্টোবরের কথা মনে আছে, ২০২৩ সালে। আমি তো বলেছিলাম পুলিশকে ধৈর্য ধরতে। ধৈর্য ধরতে গিয়ে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। কাজেই আমার মনে হয়, এখন আমাদের পুলিশ আমেরিকার স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা নিতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাকসুতে হেরে যাওয়া ছাত্রদল প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শিবিরের সঙ্গীতকে কটাক্ষ করে নাচ

আমি চলে গেলে দেশের জন্য কাজ করবে কে? প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:২১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে উৎখাত করলে পরবর্তীতে কে আসবে। কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়। কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়। সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর সেটা স্পষ্ট নয় বলে তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দেশের রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে। তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। আমার একটা প্রশ্ন, বিশেষ করে যারা অতি বাম, সব সময় মনে করি তারা প্রোগ্রেসিভ দল, তারা খুবই গণমুখী দল ইত্যাদি। সেখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক আছে তারা আমাকে উৎখাত করবে। পরবর্তীতে কে আসবে তাহলে, সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই তো আমার প্রশ্ন।

এর আগে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, অতি ডান অতি বাম এক হয়ে সরকার উৎখাত করতে চায়। তার সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়। কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়। সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর সেটা স্পষ্ট নয় বলে তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না। আন্দোলন করে যাচ্ছে বিদেশে বসে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। প্রতিদিন অনলাইনে আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করছে করুক, তাদের তো বাধা দিচ্ছি না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, আমার শক্তি জনগণ। জনগণ যত দিন চাইবে ক্ষমতায় থাকব। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য যত চক্রান্ত আর বাধা আসুক আমরা বিজয় নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে।

উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচন অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছি নির্বাচন যাতে প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, এ জন্য বলেছি। তার মানে এই নয় যে এক জায়গায় ছেলেকে, আরেক জায়গায় স্ত্রীকে- এটা তো হয় না। কর্মীদেরও সুযোগ দিতে হবে। এটাই বলতে চেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কারণ, আমরা তো ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। সেই ২৮ অক্টোবরের কথা মনে আছে, ২০২৩ সালে। আমি তো বলেছিলাম পুলিশকে ধৈর্য ধরতে। ধৈর্য ধরতে গিয়ে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। কাজেই আমার মনে হয়, এখন আমাদের পুলিশ আমেরিকার স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা নিতে পারে।