ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক Logo পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে জবি শিক্ষার্থীকে খুন Logo ভিক্টোরিয়া কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আগ্নেযাস্ত্র প্রদর্শন Logo “পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণেই হামলা, রক্তাক্ত জামায়াত নেতার পুত্র এখন ঢাকা মেডিকেলে” Logo এবার একসঙ্গে মাঠে নামছে জামায়াতসহ সমমনা ৮ দল

সাংবাদিকতা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের পেশা : মির্জা ফখরুল

সাংবাদিকতা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের পেশা

সাংবাদিকতা আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের একটি পেশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার প্রয়াত হাবিবুর রহমান খানের স্মরণসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, কেবল সাংবাদিক হিসেবে নয়, একজন মানুষ হাবিব ছিলেন অন্যন্য, যাকে না ভালোবাসে পাড়া যায় না। কেবল তাই নয়, পেশাগত জায়গায় তিনি ছিলেন নির্মোহ। সত্য প্রকাশে অদম্য ও অবিচল।

বিএনপি মহাসচিব ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন, হাবিবের স্মৃতিসভায় এসে কথা বলতে হবে- এটি কখনও ভাবিনি। অল্প সময়েই তার বন্ধুসুলভ আচরণ আমাকে বিমোহিত করেছে। তিনি এক সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও সাংবাদিকতার সঙ্গে দলীয় রাজনীতিকে মেলাতেন না। পেশাগত চেতনায় আত্মবিশ্বাসী থেকে সত্য প্রকাশে দ্বিধা করতেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকতা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের একটি পেশা। সেই জায়গায় তিনি আত্মবিশ্বাসের জায়গায় লড়াই করে গেছেন। এত অল্প বয়সে তার চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া কষ্টের। দেশের আজকের প্রেক্ষাপটে তার মতো একজন স্পষ্টবাদী সাংবাদিকদের খুব প্রয়োজন ছিল।

আক্ষেপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব আক্ষেপ হয় আমি তার জানাজায় যেতে পারিনি, বাসায় গিয়ে পরিবারের খোঁজ নিতে পারিনি। তবে আমার বিশ্বাস, অনেক কষ্টের মধ্যেও তার পরিবার উঠে দাঁড়াবে। আমরাও সব সময় তার পরিবারের পাশে আছি। যে সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, পরপারে আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হাবীবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, হাবীব আমাদের আগে চলে যাওয়ার কথা নয়। সে বয়সে আমার ছোট হলেও কর্মে ছিল অনেক বড়। মৃত্যুর দুদিন আগেও হাবীবুর রহমান খানের সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা হয়েছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তখনো বুঝিনি হাবীবের সাথে সেটাই হবে আমার শেষ দেখা। রাজনীতিবিদদের সাথে সাংবাদিকদের ভালো সম্পর্কে থাকে। এ সম্পর্ক বজায় রাখতে হাবীবের কোনো ব্যতয় ঘটেনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১/১১-এর দুঃসময়ে তার নির্ভীক দায়িত্ব অন্য সাংবাদিকদেরও অনুপ্রাণিত করেছে।

সাংবাদিক মঈন উদ্দিন খানের পরিচালনায় শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রয়াত হাবীবুর রহমান খানের স্ত্রী ফারজানা মাহমুদ সনি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, তাবিথ আউয়াল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, রফিক সিকদার, সাংবাদিক মহিউদ্দিন খান মোহন, এনাম আবেদীন, সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ, খুরশিদ আলম, শহিদুল ইসলাম, মুরসালিন নোমানী, ইলিয়াস হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাশেদুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল হাসান পিংকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন চৌধুরী, হাসান শিপলু, মাসুম মোল্লা, শফিক শাফি, নজরুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান মামুন, মনিরুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, গাইছুল আজম বিপু, রুমানা জামান, আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, শাসমুল ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি

সাংবাদিকতা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের পেশা : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৩:৪৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

সাংবাদিকতা আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের একটি পেশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার প্রয়াত হাবিবুর রহমান খানের স্মরণসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, কেবল সাংবাদিক হিসেবে নয়, একজন মানুষ হাবিব ছিলেন অন্যন্য, যাকে না ভালোবাসে পাড়া যায় না। কেবল তাই নয়, পেশাগত জায়গায় তিনি ছিলেন নির্মোহ। সত্য প্রকাশে অদম্য ও অবিচল।

বিএনপি মহাসচিব ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন, হাবিবের স্মৃতিসভায় এসে কথা বলতে হবে- এটি কখনও ভাবিনি। অল্প সময়েই তার বন্ধুসুলভ আচরণ আমাকে বিমোহিত করেছে। তিনি এক সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও সাংবাদিকতার সঙ্গে দলীয় রাজনীতিকে মেলাতেন না। পেশাগত চেতনায় আত্মবিশ্বাসী থেকে সত্য প্রকাশে দ্বিধা করতেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকতা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের একটি পেশা। সেই জায়গায় তিনি আত্মবিশ্বাসের জায়গায় লড়াই করে গেছেন। এত অল্প বয়সে তার চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া কষ্টের। দেশের আজকের প্রেক্ষাপটে তার মতো একজন স্পষ্টবাদী সাংবাদিকদের খুব প্রয়োজন ছিল।

আক্ষেপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব আক্ষেপ হয় আমি তার জানাজায় যেতে পারিনি, বাসায় গিয়ে পরিবারের খোঁজ নিতে পারিনি। তবে আমার বিশ্বাস, অনেক কষ্টের মধ্যেও তার পরিবার উঠে দাঁড়াবে। আমরাও সব সময় তার পরিবারের পাশে আছি। যে সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, পরপারে আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হাবীবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, হাবীব আমাদের আগে চলে যাওয়ার কথা নয়। সে বয়সে আমার ছোট হলেও কর্মে ছিল অনেক বড়। মৃত্যুর দুদিন আগেও হাবীবুর রহমান খানের সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা হয়েছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তখনো বুঝিনি হাবীবের সাথে সেটাই হবে আমার শেষ দেখা। রাজনীতিবিদদের সাথে সাংবাদিকদের ভালো সম্পর্কে থাকে। এ সম্পর্ক বজায় রাখতে হাবীবের কোনো ব্যতয় ঘটেনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১/১১-এর দুঃসময়ে তার নির্ভীক দায়িত্ব অন্য সাংবাদিকদেরও অনুপ্রাণিত করেছে।

সাংবাদিক মঈন উদ্দিন খানের পরিচালনায় শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রয়াত হাবীবুর রহমান খানের স্ত্রী ফারজানা মাহমুদ সনি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, তাবিথ আউয়াল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, রফিক সিকদার, সাংবাদিক মহিউদ্দিন খান মোহন, এনাম আবেদীন, সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ, খুরশিদ আলম, শহিদুল ইসলাম, মুরসালিন নোমানী, ইলিয়াস হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, রফিকুল ইসলাম আজাদ, রাশেদুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল হাসান পিংকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন চৌধুরী, হাসান শিপলু, মাসুম মোল্লা, শফিক শাফি, নজরুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান মামুন, মনিরুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, গাইছুল আজম বিপু, রুমানা জামান, আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, শাসমুল ইসলাম প্রমুখ।