ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণের নামে সমাবেশের হোতা মোস্তফা আটক Logo প্রথম আলো অফিসের সামনে আবারও আন্দোলনকারীদের অবস্থান Logo যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন Logo শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের ৩ জন নিহত Logo ডেমরা-যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো: আসিফ Logo ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা Logo বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Logo মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার Logo নোয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যানকে ঢাকায় গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

যুক্তরাষ্ট্রকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জবাব চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • 111

যুক্তরাষ্ট্রকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জবাব চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে, কিন্তু তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে দেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে এর জবাব চেয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের আগে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। এখানে আন্দোলন করার সময়ে একজন মহিলা প্রফেসর বলছেন, আমি ভার্সিটির প্রফেসর। পুলিশ যেভাবে তাকে ধরে হাতমোড়া দিয়ে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে তাকে অ্যারেস্ট করেছে! সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের হাতে লাঠিও ছিল না, আগুনও ছিল না। তারা কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মারমুখীও ছিল না। তারপরও আমেরিকার পুলিশ যে আক্রমণ করেছে, এতে সেই দেশে মানবাধিকার যে কতটুকু আছে, সেটি প্রশ্ন? কথা বলার স্বাধীনতা কতটুকু আছে, সেটি প্রশ্ন? অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার কতটুকু আছে, সেটি আমাদের প্রশ্ন?

‘বাংলাদেশের ওপর মানবাধিকারের রিপোর্ট লেখে, কিন্তু নিজেদের চেহারাটা আয়নায় দেখে না। তারা যেভাবে আচরণ করে, আমাদের পুলিশ তো সেভাবে করেনি। ধৈর্যের পরিচয় দিতে গিয়ে উল্টো পুলিশ বিএনপির হাতে মার খেয়েছে। উল্টো তারা পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে, এভাবে আমেরিকায় যদি একটা পুলিশের গায়ে কোনো দলের লোক হাত দিতো, তারা কী করত?’

আমেরিকায় বাঙালি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাঙালি পরপর কতজন মারা গেছে। সেদিনও দুজন বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। তারা সেখানে গেছে জীবিকার জন্য। তাদেরকে এভাবে কেন হত্যা করা হবে? তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। ছোট বাচ্চা ছেলেরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না।

‘ছোট একটা শিশু, সে প্রেসিডেন্টকে কী বলেছে, এজন্য তাকে ঘরে ঢুকে গুলি করে মেরেছে। বাড়ির ভেতর ঢুকে সেই বাচ্চাকে গুলি করে মেরেছে। কী জবাব দেবে? আমাদের যারা মানবাধিকারের গীত গায় এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার খুঁজে বেড়ায়, তারা এর কী জবাব দেবে? আমি জবাব চাই, সেই মানবাধিকার সংস্থা, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং যারা আমাদের ওপর খবরদারি করে, তাদের কাছে। আমি জবাব চাই যে, আমার বাঙালি কেন মারা যাবে?’

তিনি বলেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু মায়ের কোল থেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা, প্রফেসরদের ওপর জুলুম করা, পুলিশ মহিলা প্রফেসরকে যেভাবে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়েছে, এর জবাব আমরা চাই। এটা তো সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণের নামে সমাবেশের হোতা মোস্তফা আটক

যুক্তরাষ্ট্রকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জবাব চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে, কিন্তু তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে দেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে এর জবাব চেয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের আগে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। এখানে আন্দোলন করার সময়ে একজন মহিলা প্রফেসর বলছেন, আমি ভার্সিটির প্রফেসর। পুলিশ যেভাবে তাকে ধরে হাতমোড়া দিয়ে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে তাকে অ্যারেস্ট করেছে! সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের হাতে লাঠিও ছিল না, আগুনও ছিল না। তারা কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মারমুখীও ছিল না। তারপরও আমেরিকার পুলিশ যে আক্রমণ করেছে, এতে সেই দেশে মানবাধিকার যে কতটুকু আছে, সেটি প্রশ্ন? কথা বলার স্বাধীনতা কতটুকু আছে, সেটি প্রশ্ন? অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার কতটুকু আছে, সেটি আমাদের প্রশ্ন?

‘বাংলাদেশের ওপর মানবাধিকারের রিপোর্ট লেখে, কিন্তু নিজেদের চেহারাটা আয়নায় দেখে না। তারা যেভাবে আচরণ করে, আমাদের পুলিশ তো সেভাবে করেনি। ধৈর্যের পরিচয় দিতে গিয়ে উল্টো পুলিশ বিএনপির হাতে মার খেয়েছে। উল্টো তারা পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে, এভাবে আমেরিকায় যদি একটা পুলিশের গায়ে কোনো দলের লোক হাত দিতো, তারা কী করত?’

আমেরিকায় বাঙালি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাঙালি পরপর কতজন মারা গেছে। সেদিনও দুজন বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। তারা সেখানে গেছে জীবিকার জন্য। তাদেরকে এভাবে কেন হত্যা করা হবে? তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। ছোট বাচ্চা ছেলেরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না।

‘ছোট একটা শিশু, সে প্রেসিডেন্টকে কী বলেছে, এজন্য তাকে ঘরে ঢুকে গুলি করে মেরেছে। বাড়ির ভেতর ঢুকে সেই বাচ্চাকে গুলি করে মেরেছে। কী জবাব দেবে? আমাদের যারা মানবাধিকারের গীত গায় এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার খুঁজে বেড়ায়, তারা এর কী জবাব দেবে? আমি জবাব চাই, সেই মানবাধিকার সংস্থা, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং যারা আমাদের ওপর খবরদারি করে, তাদের কাছে। আমি জবাব চাই যে, আমার বাঙালি কেন মারা যাবে?’

তিনি বলেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু মায়ের কোল থেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা, প্রফেসরদের ওপর জুলুম করা, পুলিশ মহিলা প্রফেসরকে যেভাবে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়েছে, এর জবাব আমরা চাই। এটা তো সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন।