ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

ইসরায়েলি সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে : যুক্তরাষ্ট্র

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • 151

ইসরায়েলি সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে : যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৫ ইউনিটকে পৃথক ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করলেও ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন প্রশাসন সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। এসংক্রান্ত সব ঘটনা বর্তমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছিল। ইসরায়েল অভিযুক্ত চারটি ইউনিটের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অর্থ হলো- সব ইউনিট মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য যোগ্য থাকবে। ওয়াশিংটন ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সমর্থক। যারা প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন মূল্যের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে।

কোনো ইসরায়েলি ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এ ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, পাঁচটি নিরাপত্তা বাহিনীর ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, ‘এই ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এই লঙ্ঘনের সংশোধন করেছে, যা আমরা অংশীদাররা আশা করি।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘বাকি একটি ইউনিটের জন্য, আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

তারা অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে, কারণ এটি সেই ইউনিটের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিযুক্ত পঞ্চম ইউনিট মার্কিন সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা হারাবে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ইউনিটটির নাম ‘নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন’। ১৯৯৯ সালে শুধু আল্ট্রা–অর্থোডক্স ইহুদি পুরুষ সেনাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল এটি।

১৯৯৭ সালে সাবেক মার্কিন সিনেটর প্যাট্রিক লেহির নেতৃত্বে ‘লেহি ল’ আইন করা হয়েছিল। এই আইনের অধীনে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং ধর্ষণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মার্কিন সহায়তা পাওয়া কোনো ভিনদেশি সেনা ইউনিট ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকলে ওই ইউনিট সামরিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ হারাবে এই আইনের অধীনে।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

ইসরায়েলি সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে : যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০৭:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৫ ইউনিটকে পৃথক ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করলেও ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন প্রশাসন সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। এসংক্রান্ত সব ঘটনা বর্তমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে সংঘটিত হয়েছিল। ইসরায়েল অভিযুক্ত চারটি ইউনিটের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অর্থ হলো- সব ইউনিট মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য যোগ্য থাকবে। ওয়াশিংটন ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সমর্থক। যারা প্রতিবছর ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন মূল্যের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে।

কোনো ইসরায়েলি ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এ ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, পাঁচটি নিরাপত্তা বাহিনীর ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, ‘এই ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এই লঙ্ঘনের সংশোধন করেছে, যা আমরা অংশীদাররা আশা করি।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘বাকি একটি ইউনিটের জন্য, আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

তারা অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে, কারণ এটি সেই ইউনিটের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিযুক্ত পঞ্চম ইউনিট মার্কিন সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা হারাবে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ইউনিটটির নাম ‘নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন’। ১৯৯৯ সালে শুধু আল্ট্রা–অর্থোডক্স ইহুদি পুরুষ সেনাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল এটি।

১৯৯৭ সালে সাবেক মার্কিন সিনেটর প্যাট্রিক লেহির নেতৃত্বে ‘লেহি ল’ আইন করা হয়েছিল। এই আইনের অধীনে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং ধর্ষণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মার্কিন সহায়তা পাওয়া কোনো ভিনদেশি সেনা ইউনিট ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকলে ওই ইউনিট সামরিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ হারাবে এই আইনের অধীনে।