যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে কয়েক ডজন টর্নেডোর আঘাতে চার মাস বয়সী এক শিশুসহ অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার শুরু হওয়া পৃথক ঝড়ের কারণে কয়েক হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
টর্নেডোতে মৃত্যুর ঘটনাগুলোর মধ্যে চারটিই ঘটেছে ওকলাহোমায়। সেখানে প্রায় এক ডজন কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আইওয়াতে আরেকটি টর্নেডোর আঘাতে মারা গেছেন পঞ্চম ব্যক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত করা হয়েছে, শনিবারের কিছু টর্নেডোর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৬ মাইল (২১৮ কিলোমিটার)।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, টেক্সাস থেকে মিজৌরি পর্যন্ত প্রবাহিত ঝড়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাত ইঞ্চি (১৮ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। টর্নেডোয় পূর্ব ওকলাহোমার সালফার শহরটি বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওকলাহোমা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, সেখানে প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। সেখানকার অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উল্টো গেছে অনেক গাড়ি।
হোল্ডেনভিল এবং মেরিয়েটা শহরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওকলাহোমা রাজ্যের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার চার্লস ম্যাককল জোর দিয়ে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে। গতকাল রোববার সালফারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা জেগে উঠব, আমরা পরিষ্কার করব, আমরা পুনর্নির্মাণ করব এবং আমরা এগিয়ে যাব।’
ওকলাহোমা রাজ্যের গভর্নর কেভিন স্টিট শহরটি পরিদর্শন করে বলেছেন, তার দায়িত্ব গ্রহণের ছয় বছরে তিনি এ রকম দুর্যোগ দেখেননি। তিনি বলেন, ‘এই ধ্বংসযজ্ঞ আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন না। মনে হচ্ছে প্রতিটি ব্যবসাকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।