ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্যে’র ডাক বিএনপির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪ কর্মসূচিতে না নামায় ভেঙে দেওয়া হলো আ. লীগের ২৭ ইউনিট কমিটি ‘ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ কক্ষ সংস্কারের পর চালু করা হবে শিক্ষা কার্যক্রম’ প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: ওবায়দুল কাদের আন্দোলনে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ও আসিফকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী ভিসা বন্ধ নিয়ে কিছুই জানায়নি আমিরাত: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

সব কর্তাই মন্ত্রী সচিবের আত্মীয়

আজকের প্রত্রিকাগুলো

আজকের পত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

দেশরপান্তর:

সব কর্তাই মন্ত্রী সচিবের আত্মীয়
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, প্রায় প্রতিটি পরিবারেই মুষ্টি তোলার রেওয়াজ ছিল। প্রতি বেলার রান্নার জন্য কৌটা মেপে যখন চাল নেওয়া হতো, তখন তা থেকে এক মুঠো চাল সরিয়ে রাখা হতো। এতে কারও ভাতে কম পড়ত না। কিন্তু একটু একটু করে জমে উঠত আরেকটি বিকল্প চালের ভান্ডার। চাল ফুরিয়ে গেলে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাজারে যাওয়া না হলে পরিস্থিতি সামাল দিত এই মুষ্টিচাল।

একইভাবে রপ্তানি করে যখন আয় হয়, তখন তা থেকে একটা সামান্য অংশ অর্থাৎ কার্যাদেশের মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ জমিয়ে তহবিল করা হয়, যা কেন্দ্রীয় তহবিল নামে পরিচিত।

ব্যবসায়ীদের শ্রমে ঘামে গড়া প্রতিষ্ঠানের মুনাফার টাকায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ তহবিলের গঠন প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। অপ্রয়োজনীয় খরচে কাঁচি চালিয়ে ব্যবসায়ীরা তিল তিল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অথচ তাদের দেওয়া টাকায় গড়া তহবিল ব্যবহার হচ্ছে ক্ষমতাশালীদের আত্মীয়স্বজনদের চাকরি দেওয়ার কাজে। যখন যে মন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এসেছেন, তারা তাদের আত্মীয়স্বজনকে এ তহবিলে চাকরি দিয়েছেন। এমনকি শ্রম মন্ত্রণালয়ের দাপুটে কর্মকর্তারা তাদের অবসর-পরবর্তী চাকরির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি স্বজনদেরও এখানে চাকরি দিয়েছেন। নিজেরা চাকরির বিধি তৈরি করেছেন। সেই নামমাত্র বিধি তৈরির আগেই তারা চাকরিতে ঢুকে গেছেন। তহবিলের ১০ কর্মকর্তার সবাই মন্ত্রী-সচিবদের কোনো না কোনোভাবে আত্মীয়।
সব চাকরি দিতে নিয়মকানুন মানা হয়নি। চাকরি দেওয়ার আগে বিজ্ঞাপন প্রকাশের ন্যূনতম যে বাধ্যবাধকতা তা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের ভেতরে কেন্দ্রীয় তহবিল কার্যালয়ের দেয়ালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দায় সারা হয়েছিল। নিয়ম মেনে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি। একটু একটু করে জমা হয়ে বড় একটি তহবিল হলেও তা ভালো জায়গায় লগ্নি করা হয়নি। এমনকি খুব কম সুদে এ টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। যে যৎসামান্য শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে।

মানবজমিন:

কোন পথে অর্থনীতি
মূল্যস্ফীতির হার পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের সংসারে চাল-তেলের হিসাব মেলাতে প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। ডলারের দর হয়ে উঠেছে পাগলা ঘোড়া। তিন বছরের ব্যবধানে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে ২৪ টাকারও বেশি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ খরচ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

প্রবাসী আয় কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। ডলার আসার অন্যতম প্রধান দুটি উৎস নিয়ে স্বস্তি আসেনি। প্রধান কয়েকটি খাতের রপ্তানি কমেছে। ব্যাংক খাতে অস্থিরতা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোনদিকে যাবে? এমন প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি বহুমুখী চাপের মধ্যে রয়েছে। অর্থনৈতিক সূচকগুলো নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে: চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে শিল্প খাতে, ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ শতাংশ। এদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংকও। সংস্থাটি বলছে, এ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও গত এপ্রিলে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। নানাবিধ চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ করে প্রবৃদ্ধি হ্রাসের এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার কথা বলছে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দুই সংস্থার পূর্বাভাসের ব্যবধান দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট। সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরেও সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা একই ছিল। তবে সরকারের উচ্চাভিলাষী এই লক্ষ্য অর্জন হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কালের কন্ঠ:

বিস্তীর্ণ উপকূলে ঢুকে পড়েছে লবণাক্ততা
দীর্ঘমেয়াদি খরার প্রভাব

– সার্বিক উৎপাদন কমছে
– অসুস্থতা বাড়ছে
– জমি উর্বরতা হারাচ্ছে
– সবুজায়ন কমছে

দীর্ঘমেয়াদি খরার প্রভাবে উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে লবণ পানি। শুষ্ক মৌসুমে পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ অনেক বেশি বাড়ে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা অঞ্চলের নদীতে শুষ্ক মৌসুমে এখন লবণাক্ত পানির পরিমাণ অনেক বেশি। এই অঞ্চলের জেলে, মাঝি অথবা কৃষকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তারা বলছেন, তারা নদীর পানিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি লবণ অনুভব করছেন। লবণাক্ততা নদীর চার পাশে মাটিতে ঢুকে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে সার্বিক কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, সবুজায়ন বিলিন হয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে লবণ পানি মিঠা পানির সাথে মিশে যাওয়ায় মানুষ বাধ্য হচ্ছে, লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে। ফলে এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বেড়ে চলেছে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়ার পরামর্শ দিলেও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০০ গুণ বেশি লবণ খেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে আইসিডিডিআরবি, লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
উজান থেকে মিঠা পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীতে জোয়ারের সাথে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে পলি পড়া। ধীরে ধীরে নদীগুলোতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে এক সময় যেখানে বড় লঞ্চ, ট্রলার চলাচল করত এখন সেখানে চর পড়ে গেছে। তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক কৃষি উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। কারণ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সার্বিক তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে পরাগায়ণে বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহে খুলনা বিভাগীয় তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যাচ্ছে বলে ঠিকমতো পরাগায়ণ হচ্ছে না। ফলে এই অঞ্চলে বিশেষ করে ধানের ফলনে প্রভাব পড়ছে।

নয়া দিগন্তের খুলনা প্রতিনিধি মো: শাসুদ্দোহা খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, তীব্র তাপদাহ ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে গত ১০ বছরে খুলনা অঞ্চলে ১২১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জমির ফসলসহ অন্যান্য মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে অর্ধ শতাধিক কোটি টাকা। খুলনা অঞ্চলে এক হাজার ১৮৭টি খাল ছিল, ৬১৫টি খাল ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। আরো অনেক খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষিজমিতে এবং কমে যাচ্ছে উৎপাদন। অন্য দিকে খালগুলোতে কম-বেশি পানির প্রবাহ রয়েছে, সেগুলোতে স্লুইস গেট না থাকায় জমিতে লবণাক্ত পানি উঠে আসে। লবণাক্ত পানির কারণে খেতের ফসল মরে যায়। জানা গেছে, বর্তমানে খুলনা অঞ্চলে ৬৪৯টি স্লুইস গেট অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর গ্রামের কৃষক সাদেক আলী বলেন, ‘ধানে পানি দিতে পারছি না বলে ধানগাছ মরে যাচ্ছে। ডুমুরিয়া উপজেলার প্রায় সর্বত্রই পানির স্তর অন্তত ৪০ ফুট নিচে নেমে গেছে। টিউবওয়েলেও পানি ওঠে না, মেশিনেও পানি ওঠে না। খাল অথবা নালায় কোথাও পানি নেই। কৃষকরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলায় কপোতাক্ষ, তেতনা, ইছামতি, খুলপেতুয়া, কালিন্দী, কাকশিয়ালী, মরিচপ নদীর পানিতে জোয়ারের সময় অনেক দূর পর্যন্ত লবণাক্ত পানি চলে আসে। জোয়ারের সময় লবণাক্ত পানি নদীর একটি জায়গায় গিয়ে আটকে থাকে উজানের মিঠা পানির চাপে। জোয়ার চলে গেলে সেখানে দেখা যায় নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে উঠেছে অর্থাৎ সেখানে কয়েক ইঞ্চি পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে চর জেগে যায়। তিনি বলেন, হিরণ পয়েন্টে এক সময় বনবিভাগ, কোস্ট গার্ডের জেটিতে বড় লঞ্চ ও ট্রলার নোঙর করত। কিন্তু ইদানীং দেখা গেছে, হিরণ পয়েন্টের জেটি থেকে এক থেকে দুই কিলোমিটার চর পড়ে গেছে।
নয়া দিগন্তের বরগুনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বরগুনায় পায়না, বিষখালী ও বলেশ্বরের মতো নদীতে আগের তুলনায় এখন অনেক এলাকাজুড়ে লবণাক্ত পানি উঠে আসছে। জেলেদের উদ্ধৃত করে তিনি জানান, জেলেরা এখন আগের চেয়ে আরো উজানের পানিতে লবণ পাচ্ছেন।
আইসিডিডিআরবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষকরা খুলনা জেলার দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১৮ মাস পর্যন্ত খাবার পানির লবণাক্ততা ও ওই অঞ্চলের মানুষের রক্তচাপ পরিমাপ করেছেন। দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা এক হাজার ২০৮ গর্ভবতী মায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা বলেছেন, এই অঞ্চলের বৃষ্টি, ফিল্টার, পুকুরের পানির চেয়ে নলকূপের পানিতে বেশি লবণ পাওয়া গেছে। এই পানির কারণে গর্ভবতী মায়েরা বেশি মাত্রায় উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।
মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (এসআরডিআই) হিসাব অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝারি থেকে খুবই তীব্র মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ৮ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর (স্বল্পমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত জমিকে বাদ দিয়ে)। এসব জমিতে প্রতি বছর লবণাক্ততার কারণে শস্য উৎপাদন কম হচ্ছে হেক্টরপ্রতি গড়ে ৩.৪৮ টন। সব মিলিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের জমিগুলো শুধু লবণাক্ততার কারণে ফলন হারাচ্ছে বছরে ৩০ লাখ ২৭ হাজার টনেরও বেশি। প্রতি কেজি শস্যের গড় মূল্য ৭৭ সেন্ট হিসাবে বছরে এ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৭ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় চার হাজার ৪২০ কোটি টাকা।

কালবেলা:

তাপপ্রবাহেই খুলল স্কুল, অসুস্থ অর্ধশত শিক্ষার্থী
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই গতকাল রোববার খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু স্কুল-কলেজ খোলা হলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ছিল অনেক কম। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নাকাল রাজধানী ও বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা। স্কুল খোলার প্রথম দিনই প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন দুই শিক্ষক। সারা দেশে অর্ধশত শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাই তাপপ্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায় স্কুল-কলেজ বন্ধ বা অনলাইন ক্লাস চালুর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এদিকে, তাপপ্রবাহ বিবেচনায় ঢাকাসহ পাঁচ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বাকি জেলাগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী।

জানা যায়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকা রহমান ক্লাসেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সহপাঠীরা জানায়, সকাল ৭টায় তার ক্লাস শুরু হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ হয়েছে। ছুটি হওয়ার পরপরই ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বমি করতে শুরু করে। অন্য কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ না হলেও স্কুল ছুটির পর এই বিদ্যালয়ের অনেক শিশু শিক্ষার্থীকেই ক্লান্ত চেহারা নিয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হতে দেখা গেছে।

শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে দেশের অন্য জেলা-উপজেলা থেকেও। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। একপর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন, অষ্টম শ্রেণির দুজন, নবম শ্রেণির দুজন ও দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। ১০টার দিকে আফিফা রিজওয়ানা হঠাৎ গরম সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টিউবওয়েলের পানি পান করে তিন শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ পড়েছে। অসুস্থদের মধ্যে এক শিশু শিক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, পানি পান করে নয়, গরমে ও ভয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার নাম পাওয়া গেছে। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

যুগান্তর:

শিক্ষকসহ ১২ জনের মৃত্যু
ঢাকাসহ ৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ বন্ধ, খোলা থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয় * সপ্তাহের শেষদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
শিক্ষকসহ ১২ জনের মৃত্যু
টানা তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ দেশবাসী। রোববার প্রচণ্ড গরমে রাজধানী ঢাকাসহ আট জেলায় হিট স্ট্রোকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একজন শিক্ষকও আছেন। গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালগুলোয় গরমজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা বেশি থাকায় মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে। অল্পতেই মানুষ প্রচণ্ড ঘেমে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এরকম তীব্র গরমের সময় সতর্ক না থাকলে শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

 

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ পাঁচ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকাসহ অন্য জেলাগুলো হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এসব এলাকার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীততাপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার এক বিবৃতিতে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু প্রাথমিকের সব ক্লাস মর্নিং শিফটে হয়, তাই সারা দেশে প্রাথমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার যশোর ও রাজশাহী জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.২ এবং রাজশাহীতে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ খুলনা অঞ্চলের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি তাপমাত্রা বয়ে যায়। বাকি জেলাগুলোয় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ ছিল। আরও তিনদিন দেশে তীব্র গরম থাকবে জানিয়ে রোববার আবারও ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ নিয়ে পঞ্চমবার হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো। ১৬ এপ্রিল থেকে টানা তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। তবে তাপমাত্রা নিয়ে কিছুটা স্বস্তির তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। ২ মে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোয় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ৩ মে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৮ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ১-৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। আবহাওয়াবিদ একে নাজমুল হক যুগান্তরকে বলেন, একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এ কারণে মানুষের শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ঘাম সহজেই শুকাচ্ছে না।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে রাস্তায় মানুষের যাতায়াত কমে গেছে। গরমে অল্পতেই মানুষ হাঁপিয়ে উঠছেন। রাস্তার পাশে ফুটপাতে আখের রস, শরবত, লেবুপানি খাওয়ার হিড়িক পড়েছে। রোববার গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া এলাকায় অতিরিক্ত গরমে বজলুর রহমান (৫০) নামের একজন মারা গেছেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে ইমাদ কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বজলুর কমিউনিটি পুলিশ সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশের ধারণা, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে। মৃত বজলুর সদরঘাট এলাকায় পরিবারসহ থাকতেন।

ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী কমিউনিটি পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন বলেন, বিকালে ডিউটি করার সময় অতিরিক্ত গরমে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে অচেতন হয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বজলুর রহমান ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতিতে কমিউনিটি পুলিশ সদস্য হিসাবে কাজ করতেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ জালাল বলেন, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

কালের কন্ঠ:

চাপে ব্যবসা, মূল্যস্ফীতিতে উসকানি
কয়েক মাস ধরে স্মার্ট সুদহার চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়টি বেসরকারি খাতকে আরো দুর্বল করে দিচ্ছে। ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসার ব্যয়কে আরো বাড়িয়ে তুলেছে, যার প্রভাব মূল্যস্ফীতি আরো উসকে দিচ্ছে।

সার্বিক অবস্থা অপরিবর্তিত রেখে যদি চাহিদা ও সরবরাহ সমান হয়, তখন তা স্থিতিস্থাপক।

অর্থনীতির সূত্রের ক্ষেত্রে এই কথাটি প্রযোজ্য। তবে বাস্তবে এখন দেশের অর্থনীতির সব সূচকে পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিরাজমান। এই অবস্থায় সব কিছু অপরিবর্তিত বিবেচনা করে অর্থনীতির সূত্র বাস্তবায়ন করতে গেলে তাতে হিতে বিপরীত হবে—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকদীর্ঘদিন বেঁধে রাখা ঋণ ও আমানতের ৯ থেকে ৬ শতাংশ সুদহার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রথম আলো:

দাবদাহের বিপদে রাজধানী
সবচেয়ে বেশিউষ্ণ এলাকা

কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, গাবতলী, গোড়ান, বাসাবো, টঙ্গী, শহীদনগর, বাবুবাজার, জুরাইন, হাজারীবাগ, পোস্তগোলা, যাত্রাবাড়ী, তেজকুনীপাড়া, নাখালপাড়া, সায়েদাবাদ, কুর্মিটোলা, আজমপুর, কামারপাড়া, মোহাম্মদপুর,

আদাবর ও মহাখালী।ঝুঁকিগুলো কী

মাথা ঘোরা, বমি ও ঠান্ডা-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাবও বেড়ে যায়। দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

গলার কাঁটা বিদেশি ঋণ
♦ ঋণের অর্ধেকই যাচ্ছে আসল ও সুদ পরিশোধে ♦ সুদের হার বাড়াতে চায় উন্নয়ন সহযোগীরা
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতি মাসে যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ ছাড় করা হচ্ছে তার প্রায় অর্ধেকই চলে যাচ্ছে ঋণের বিপরীতে সুদ ও কিস্তি পরিশোধ করতে। এদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও চাপ বাড়ছে। ফলে কোনোভাবেই কমছে না ডলার সংকটও। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের শুধু সুদ পরিশোধের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। আর জুলাই-মার্চ পর্যন্ত সময়ে পরিশোধ করা হয়েছে ১১ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ৯ মাসেই খরচ হয়ে গেছে এ খাতে বরাদ্দের ৯৪ শতাংশ অর্থ। আসছে অর্থবছর থেকে এই চাপ আর বাড়বে। অর্থবিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জনায়, এই মুুহূর্তে দেশের অর্থনীতিতে সাড়ে ১১ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণের চাপ রয়েছে। এই ঋণ দেশি বা বিদেশি হোক, তা নির্দিষ্ট সময় শেষে সুদসহ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো কারণে কিস্তি খেলাপি হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঋণমান খারাপ হয়ে যাবে। এতে একদিকে দেশের ইমেজ ক্ষুণ হবে। অন্যদিকে বিদেশি ঋণপ্রাপ্তির উৎসগুলো সীমিত হয়ে আসবে। ফলে যথাসময়ে এ ঋণ পরিশোধে সরকারের মধ্যে বড় ধরনের চাপ রয়েছে। আবার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও সচল রাখতে হচ্ছে। অবশ্য এর আগে ঋণ পরিশোধে কখনই ব্যর্থ হয়নি বাংলাদেশ।

দৈনিক সংগ্রাম:

পাবনায় জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস শাকুরের ইন্তিকাল বিভিন্ন সংগঠনের শোক প্রকাশ

পাবনা সংবাদদাতা : পাবনা জেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস শাকুর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। গতকাল রোববার দুপুরে মাদরাসা থেকে ফিরে নিজ পুকুরে নামলে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মাওলানা আব্দুস শাকুর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওলামা মাশায়েখ বিভাগের জেলা দায়িত্বশীল ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি দারুল আমান ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত পাবনায় ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুপুরে আব্দুস শাকুরের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী তার নিজ বাড়ি মহেন্দ্রপুরে সমবেত হতে থাকে।

তিনি পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারীর ছোট ছেলে।

তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পাবনাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শোকবার্তা দিয়েছে।

পাবনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরে দুপুর দেড় টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। তার এই মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি। মাদরাসার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তিনি সদাসর্বদা মানুষের সঙ্গে হেসে কথা বলতেন। আদর্শ ও দক্ষ শিক্ষক ছিলেন। জনপ্রিয় একজন বক্তাও ছিলেন। আজীবন নিজেকে ইসলামের খেদমতে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না।

বনিক বার্তা:

অনুসন্ধান ও গ্যাসকূপ খননে ২৩ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ মাত্র ৭ হাজার কোটি টাকা
রাষ্ট্রায়ত্ত তিন গ্যাস কোম্পানি ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত—এ ২৩ বছরে দেশে গ্যাসকূপ খনন করেছে মোট ৫৯টি। এতে বিনিয়োগ হয়েছে ৬ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। সীমিত এ অর্থে খননকৃত অনুসন্ধানমূলক কূপের ৫০ শতাংশেই গ্যাস পাওয়া গেছে। যেখানে তার চেয়ে নয় গুণ বেশি বিনিয়োগ করে বিদেশী তেল-গ্যাস উত্তোলন কোম্পানিগুলোর (আইওসি) সফলতার হার কেবল ২৫ শতাংশ। গ্যাস খাতের উৎপাদন, সরবরাহ পরিস্থিতি, গ্যাসকূপ খনন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে পেট্রোবাংলার তথ্য-উপাত্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। দেশে গ্যাস উত্তোলন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। প্রায় দুই যুগে কোম্পানি তিনটির আওতায় (এনওসি) মোট ১৮টি অনুসন্ধানমূলক গ্যাসকূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়টিতেই গ্যাস মিলেছে। এক্ষেত্রে সফলতার হার ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে বিদেশী তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি দেশে মোট আটটি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে। এর মধ্যে গ্যাস পেয়েছে কেবল দুটিতে। সে হিসেবে বিদেশী কোম্পানির সফলতার হার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির অর্ধেক, ২৫ শতাংশ।

সমকাল:

কথা না শোনা’ মন্ত্রী-এমপির কপাল পুরছে।

নির্দেশনা আমলে না নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে স্বজন প্রার্থী হওয়ায় কপাল পুড়তে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগদলীয় এমপি ও মন্ত্রীর। সাংগঠনিক শাস্তির খড়্গ নেমে আসছে তাদের ওপর। কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি। এমনকি আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা দলের মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। যে কোনো সময় মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়তে পারেন দলের কড়া বার্তা কানে না তোলা মন্ত্রীরা।

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপির স্বজন দলের নির্দেশ না মেনে উপজেলা নির্বাচনে লড়ছেন। তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে সে কথায় চিড়ে ভেজেনি! এক এমপিও তাদের স্বজনকে ভোটের মাঠ থেকে তুলে নেননি। এ নিয়ে দলের ভেতরেই দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।

এ পরিস্থিতিতে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী ও এমপির স্বজন প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেন দলের আট সাংগঠনিক সম্পাদক।

এ তালিকায় থাকা মন্ত্রী ও এমপির বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আলোচনার কথা রয়েছে বলে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা সমকালকে জানিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। অভিযুক্ত এমপির কয়েকজন, যারা দলের কার্যনির্বাহী সংসদে আছেন, তারাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। তাদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেনপুড়ছে

সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির

সব কর্তাই মন্ত্রী সচিবের আত্মীয়

আপডেট সময় ০৮:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

আজকের পত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

দেশরপান্তর:

সব কর্তাই মন্ত্রী সচিবের আত্মীয়
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, প্রায় প্রতিটি পরিবারেই মুষ্টি তোলার রেওয়াজ ছিল। প্রতি বেলার রান্নার জন্য কৌটা মেপে যখন চাল নেওয়া হতো, তখন তা থেকে এক মুঠো চাল সরিয়ে রাখা হতো। এতে কারও ভাতে কম পড়ত না। কিন্তু একটু একটু করে জমে উঠত আরেকটি বিকল্প চালের ভান্ডার। চাল ফুরিয়ে গেলে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাজারে যাওয়া না হলে পরিস্থিতি সামাল দিত এই মুষ্টিচাল।

একইভাবে রপ্তানি করে যখন আয় হয়, তখন তা থেকে একটা সামান্য অংশ অর্থাৎ কার্যাদেশের মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ জমিয়ে তহবিল করা হয়, যা কেন্দ্রীয় তহবিল নামে পরিচিত।

ব্যবসায়ীদের শ্রমে ঘামে গড়া প্রতিষ্ঠানের মুনাফার টাকায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ তহবিলের গঠন প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। অপ্রয়োজনীয় খরচে কাঁচি চালিয়ে ব্যবসায়ীরা তিল তিল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অথচ তাদের দেওয়া টাকায় গড়া তহবিল ব্যবহার হচ্ছে ক্ষমতাশালীদের আত্মীয়স্বজনদের চাকরি দেওয়ার কাজে। যখন যে মন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এসেছেন, তারা তাদের আত্মীয়স্বজনকে এ তহবিলে চাকরি দিয়েছেন। এমনকি শ্রম মন্ত্রণালয়ের দাপুটে কর্মকর্তারা তাদের অবসর-পরবর্তী চাকরির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি স্বজনদেরও এখানে চাকরি দিয়েছেন। নিজেরা চাকরির বিধি তৈরি করেছেন। সেই নামমাত্র বিধি তৈরির আগেই তারা চাকরিতে ঢুকে গেছেন। তহবিলের ১০ কর্মকর্তার সবাই মন্ত্রী-সচিবদের কোনো না কোনোভাবে আত্মীয়।
সব চাকরি দিতে নিয়মকানুন মানা হয়নি। চাকরি দেওয়ার আগে বিজ্ঞাপন প্রকাশের ন্যূনতম যে বাধ্যবাধকতা তা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের ভেতরে কেন্দ্রীয় তহবিল কার্যালয়ের দেয়ালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দায় সারা হয়েছিল। নিয়ম মেনে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি। একটু একটু করে জমা হয়ে বড় একটি তহবিল হলেও তা ভালো জায়গায় লগ্নি করা হয়নি। এমনকি খুব কম সুদে এ টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। যে যৎসামান্য শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে।

মানবজমিন:

কোন পথে অর্থনীতি
মূল্যস্ফীতির হার পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের সংসারে চাল-তেলের হিসাব মেলাতে প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। ডলারের দর হয়ে উঠেছে পাগলা ঘোড়া। তিন বছরের ব্যবধানে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে ২৪ টাকারও বেশি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ খরচ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

প্রবাসী আয় কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। ডলার আসার অন্যতম প্রধান দুটি উৎস নিয়ে স্বস্তি আসেনি। প্রধান কয়েকটি খাতের রপ্তানি কমেছে। ব্যাংক খাতে অস্থিরতা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোনদিকে যাবে? এমন প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি বহুমুখী চাপের মধ্যে রয়েছে। অর্থনৈতিক সূচকগুলো নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে: চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে শিল্প খাতে, ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ শতাংশ। এদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংকও। সংস্থাটি বলছে, এ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও গত এপ্রিলে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। নানাবিধ চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ করে প্রবৃদ্ধি হ্রাসের এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার কথা বলছে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দুই সংস্থার পূর্বাভাসের ব্যবধান দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট। সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরেও সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা একই ছিল। তবে সরকারের উচ্চাভিলাষী এই লক্ষ্য অর্জন হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কালের কন্ঠ:

বিস্তীর্ণ উপকূলে ঢুকে পড়েছে লবণাক্ততা
দীর্ঘমেয়াদি খরার প্রভাব

– সার্বিক উৎপাদন কমছে
– অসুস্থতা বাড়ছে
– জমি উর্বরতা হারাচ্ছে
– সবুজায়ন কমছে

দীর্ঘমেয়াদি খরার প্রভাবে উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে লবণ পানি। শুষ্ক মৌসুমে পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ অনেক বেশি বাড়ে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা অঞ্চলের নদীতে শুষ্ক মৌসুমে এখন লবণাক্ত পানির পরিমাণ অনেক বেশি। এই অঞ্চলের জেলে, মাঝি অথবা কৃষকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তারা বলছেন, তারা নদীর পানিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি লবণ অনুভব করছেন। লবণাক্ততা নদীর চার পাশে মাটিতে ঢুকে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে সার্বিক কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, সবুজায়ন বিলিন হয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে লবণ পানি মিঠা পানির সাথে মিশে যাওয়ায় মানুষ বাধ্য হচ্ছে, লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে। ফলে এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বেড়ে চলেছে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়ার পরামর্শ দিলেও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০০ গুণ বেশি লবণ খেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে আইসিডিডিআরবি, লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
উজান থেকে মিঠা পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীতে জোয়ারের সাথে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে পলি পড়া। ধীরে ধীরে নদীগুলোতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে এক সময় যেখানে বড় লঞ্চ, ট্রলার চলাচল করত এখন সেখানে চর পড়ে গেছে। তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক কৃষি উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। কারণ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সার্বিক তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে পরাগায়ণে বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহে খুলনা বিভাগীয় তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যাচ্ছে বলে ঠিকমতো পরাগায়ণ হচ্ছে না। ফলে এই অঞ্চলে বিশেষ করে ধানের ফলনে প্রভাব পড়ছে।

নয়া দিগন্তের খুলনা প্রতিনিধি মো: শাসুদ্দোহা খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, তীব্র তাপদাহ ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে গত ১০ বছরে খুলনা অঞ্চলে ১২১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জমির ফসলসহ অন্যান্য মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে অর্ধ শতাধিক কোটি টাকা। খুলনা অঞ্চলে এক হাজার ১৮৭টি খাল ছিল, ৬১৫টি খাল ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। আরো অনেক খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষিজমিতে এবং কমে যাচ্ছে উৎপাদন। অন্য দিকে খালগুলোতে কম-বেশি পানির প্রবাহ রয়েছে, সেগুলোতে স্লুইস গেট না থাকায় জমিতে লবণাক্ত পানি উঠে আসে। লবণাক্ত পানির কারণে খেতের ফসল মরে যায়। জানা গেছে, বর্তমানে খুলনা অঞ্চলে ৬৪৯টি স্লুইস গেট অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর গ্রামের কৃষক সাদেক আলী বলেন, ‘ধানে পানি দিতে পারছি না বলে ধানগাছ মরে যাচ্ছে। ডুমুরিয়া উপজেলার প্রায় সর্বত্রই পানির স্তর অন্তত ৪০ ফুট নিচে নেমে গেছে। টিউবওয়েলেও পানি ওঠে না, মেশিনেও পানি ওঠে না। খাল অথবা নালায় কোথাও পানি নেই। কৃষকরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলায় কপোতাক্ষ, তেতনা, ইছামতি, খুলপেতুয়া, কালিন্দী, কাকশিয়ালী, মরিচপ নদীর পানিতে জোয়ারের সময় অনেক দূর পর্যন্ত লবণাক্ত পানি চলে আসে। জোয়ারের সময় লবণাক্ত পানি নদীর একটি জায়গায় গিয়ে আটকে থাকে উজানের মিঠা পানির চাপে। জোয়ার চলে গেলে সেখানে দেখা যায় নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে উঠেছে অর্থাৎ সেখানে কয়েক ইঞ্চি পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে চর জেগে যায়। তিনি বলেন, হিরণ পয়েন্টে এক সময় বনবিভাগ, কোস্ট গার্ডের জেটিতে বড় লঞ্চ ও ট্রলার নোঙর করত। কিন্তু ইদানীং দেখা গেছে, হিরণ পয়েন্টের জেটি থেকে এক থেকে দুই কিলোমিটার চর পড়ে গেছে।
নয়া দিগন্তের বরগুনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বরগুনায় পায়না, বিষখালী ও বলেশ্বরের মতো নদীতে আগের তুলনায় এখন অনেক এলাকাজুড়ে লবণাক্ত পানি উঠে আসছে। জেলেদের উদ্ধৃত করে তিনি জানান, জেলেরা এখন আগের চেয়ে আরো উজানের পানিতে লবণ পাচ্ছেন।
আইসিডিডিআরবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষকরা খুলনা জেলার দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১৮ মাস পর্যন্ত খাবার পানির লবণাক্ততা ও ওই অঞ্চলের মানুষের রক্তচাপ পরিমাপ করেছেন। দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা এক হাজার ২০৮ গর্ভবতী মায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা বলেছেন, এই অঞ্চলের বৃষ্টি, ফিল্টার, পুকুরের পানির চেয়ে নলকূপের পানিতে বেশি লবণ পাওয়া গেছে। এই পানির কারণে গর্ভবতী মায়েরা বেশি মাত্রায় উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।
মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (এসআরডিআই) হিসাব অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝারি থেকে খুবই তীব্র মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ৮ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর (স্বল্পমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত জমিকে বাদ দিয়ে)। এসব জমিতে প্রতি বছর লবণাক্ততার কারণে শস্য উৎপাদন কম হচ্ছে হেক্টরপ্রতি গড়ে ৩.৪৮ টন। সব মিলিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের জমিগুলো শুধু লবণাক্ততার কারণে ফলন হারাচ্ছে বছরে ৩০ লাখ ২৭ হাজার টনেরও বেশি। প্রতি কেজি শস্যের গড় মূল্য ৭৭ সেন্ট হিসাবে বছরে এ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৭ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় চার হাজার ৪২০ কোটি টাকা।

কালবেলা:

তাপপ্রবাহেই খুলল স্কুল, অসুস্থ অর্ধশত শিক্ষার্থী
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই গতকাল রোববার খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু স্কুল-কলেজ খোলা হলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ছিল অনেক কম। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নাকাল রাজধানী ও বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা। স্কুল খোলার প্রথম দিনই প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন দুই শিক্ষক। সারা দেশে অর্ধশত শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাই তাপপ্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায় স্কুল-কলেজ বন্ধ বা অনলাইন ক্লাস চালুর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এদিকে, তাপপ্রবাহ বিবেচনায় ঢাকাসহ পাঁচ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বাকি জেলাগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী।

জানা যায়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকা রহমান ক্লাসেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সহপাঠীরা জানায়, সকাল ৭টায় তার ক্লাস শুরু হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ হয়েছে। ছুটি হওয়ার পরপরই ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বমি করতে শুরু করে। অন্য কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ না হলেও স্কুল ছুটির পর এই বিদ্যালয়ের অনেক শিশু শিক্ষার্থীকেই ক্লান্ত চেহারা নিয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হতে দেখা গেছে।

শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে দেশের অন্য জেলা-উপজেলা থেকেও। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। একপর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন, অষ্টম শ্রেণির দুজন, নবম শ্রেণির দুজন ও দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। ১০টার দিকে আফিফা রিজওয়ানা হঠাৎ গরম সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টিউবওয়েলের পানি পান করে তিন শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ পড়েছে। অসুস্থদের মধ্যে এক শিশু শিক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, পানি পান করে নয়, গরমে ও ভয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার নাম পাওয়া গেছে। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

যুগান্তর:

শিক্ষকসহ ১২ জনের মৃত্যু
ঢাকাসহ ৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ বন্ধ, খোলা থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয় * সপ্তাহের শেষদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
শিক্ষকসহ ১২ জনের মৃত্যু
টানা তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ দেশবাসী। রোববার প্রচণ্ড গরমে রাজধানী ঢাকাসহ আট জেলায় হিট স্ট্রোকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একজন শিক্ষকও আছেন। গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালগুলোয় গরমজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা বেশি থাকায় মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে। অল্পতেই মানুষ প্রচণ্ড ঘেমে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এরকম তীব্র গরমের সময় সতর্ক না থাকলে শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

 

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ পাঁচ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকাসহ অন্য জেলাগুলো হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এসব এলাকার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীততাপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার এক বিবৃতিতে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু প্রাথমিকের সব ক্লাস মর্নিং শিফটে হয়, তাই সারা দেশে প্রাথমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার যশোর ও রাজশাহী জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.২ এবং রাজশাহীতে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ খুলনা অঞ্চলের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি তাপমাত্রা বয়ে যায়। বাকি জেলাগুলোয় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ ছিল। আরও তিনদিন দেশে তীব্র গরম থাকবে জানিয়ে রোববার আবারও ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ নিয়ে পঞ্চমবার হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো। ১৬ এপ্রিল থেকে টানা তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। তবে তাপমাত্রা নিয়ে কিছুটা স্বস্তির তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। ২ মে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোয় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ৩ মে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৮ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ১-৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। আবহাওয়াবিদ একে নাজমুল হক যুগান্তরকে বলেন, একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এ কারণে মানুষের শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ঘাম সহজেই শুকাচ্ছে না।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে রাস্তায় মানুষের যাতায়াত কমে গেছে। গরমে অল্পতেই মানুষ হাঁপিয়ে উঠছেন। রাস্তার পাশে ফুটপাতে আখের রস, শরবত, লেবুপানি খাওয়ার হিড়িক পড়েছে। রোববার গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া এলাকায় অতিরিক্ত গরমে বজলুর রহমান (৫০) নামের একজন মারা গেছেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে ইমাদ কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বজলুর কমিউনিটি পুলিশ সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশের ধারণা, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে। মৃত বজলুর সদরঘাট এলাকায় পরিবারসহ থাকতেন।

ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী কমিউনিটি পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন বলেন, বিকালে ডিউটি করার সময় অতিরিক্ত গরমে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে অচেতন হয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বজলুর রহমান ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতিতে কমিউনিটি পুলিশ সদস্য হিসাবে কাজ করতেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ জালাল বলেন, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

কালের কন্ঠ:

চাপে ব্যবসা, মূল্যস্ফীতিতে উসকানি
কয়েক মাস ধরে স্মার্ট সুদহার চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়টি বেসরকারি খাতকে আরো দুর্বল করে দিচ্ছে। ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসার ব্যয়কে আরো বাড়িয়ে তুলেছে, যার প্রভাব মূল্যস্ফীতি আরো উসকে দিচ্ছে।

সার্বিক অবস্থা অপরিবর্তিত রেখে যদি চাহিদা ও সরবরাহ সমান হয়, তখন তা স্থিতিস্থাপক।

অর্থনীতির সূত্রের ক্ষেত্রে এই কথাটি প্রযোজ্য। তবে বাস্তবে এখন দেশের অর্থনীতির সব সূচকে পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিরাজমান। এই অবস্থায় সব কিছু অপরিবর্তিত বিবেচনা করে অর্থনীতির সূত্র বাস্তবায়ন করতে গেলে তাতে হিতে বিপরীত হবে—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকদীর্ঘদিন বেঁধে রাখা ঋণ ও আমানতের ৯ থেকে ৬ শতাংশ সুদহার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রথম আলো:

দাবদাহের বিপদে রাজধানী
সবচেয়ে বেশিউষ্ণ এলাকা

কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, গাবতলী, গোড়ান, বাসাবো, টঙ্গী, শহীদনগর, বাবুবাজার, জুরাইন, হাজারীবাগ, পোস্তগোলা, যাত্রাবাড়ী, তেজকুনীপাড়া, নাখালপাড়া, সায়েদাবাদ, কুর্মিটোলা, আজমপুর, কামারপাড়া, মোহাম্মদপুর,

আদাবর ও মহাখালী।ঝুঁকিগুলো কী

মাথা ঘোরা, বমি ও ঠান্ডা-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাবও বেড়ে যায়। দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

গলার কাঁটা বিদেশি ঋণ
♦ ঋণের অর্ধেকই যাচ্ছে আসল ও সুদ পরিশোধে ♦ সুদের হার বাড়াতে চায় উন্নয়ন সহযোগীরা
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতি মাসে যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ ছাড় করা হচ্ছে তার প্রায় অর্ধেকই চলে যাচ্ছে ঋণের বিপরীতে সুদ ও কিস্তি পরিশোধ করতে। এদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও চাপ বাড়ছে। ফলে কোনোভাবেই কমছে না ডলার সংকটও। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের শুধু সুদ পরিশোধের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। আর জুলাই-মার্চ পর্যন্ত সময়ে পরিশোধ করা হয়েছে ১১ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ৯ মাসেই খরচ হয়ে গেছে এ খাতে বরাদ্দের ৯৪ শতাংশ অর্থ। আসছে অর্থবছর থেকে এই চাপ আর বাড়বে। অর্থবিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জনায়, এই মুুহূর্তে দেশের অর্থনীতিতে সাড়ে ১১ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণের চাপ রয়েছে। এই ঋণ দেশি বা বিদেশি হোক, তা নির্দিষ্ট সময় শেষে সুদসহ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো কারণে কিস্তি খেলাপি হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঋণমান খারাপ হয়ে যাবে। এতে একদিকে দেশের ইমেজ ক্ষুণ হবে। অন্যদিকে বিদেশি ঋণপ্রাপ্তির উৎসগুলো সীমিত হয়ে আসবে। ফলে যথাসময়ে এ ঋণ পরিশোধে সরকারের মধ্যে বড় ধরনের চাপ রয়েছে। আবার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও সচল রাখতে হচ্ছে। অবশ্য এর আগে ঋণ পরিশোধে কখনই ব্যর্থ হয়নি বাংলাদেশ।

দৈনিক সংগ্রাম:

পাবনায় জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস শাকুরের ইন্তিকাল বিভিন্ন সংগঠনের শোক প্রকাশ

পাবনা সংবাদদাতা : পাবনা জেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস শাকুর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। গতকাল রোববার দুপুরে মাদরাসা থেকে ফিরে নিজ পুকুরে নামলে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মাওলানা আব্দুস শাকুর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওলামা মাশায়েখ বিভাগের জেলা দায়িত্বশীল ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি দারুল আমান ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত পাবনায় ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুপুরে আব্দুস শাকুরের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী তার নিজ বাড়ি মহেন্দ্রপুরে সমবেত হতে থাকে।

তিনি পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারীর ছোট ছেলে।

তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পাবনাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শোকবার্তা দিয়েছে।

পাবনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরে দুপুর দেড় টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। তার এই মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি। মাদরাসার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তিনি সদাসর্বদা মানুষের সঙ্গে হেসে কথা বলতেন। আদর্শ ও দক্ষ শিক্ষক ছিলেন। জনপ্রিয় একজন বক্তাও ছিলেন। আজীবন নিজেকে ইসলামের খেদমতে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না।

বনিক বার্তা:

অনুসন্ধান ও গ্যাসকূপ খননে ২৩ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ মাত্র ৭ হাজার কোটি টাকা
রাষ্ট্রায়ত্ত তিন গ্যাস কোম্পানি ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত—এ ২৩ বছরে দেশে গ্যাসকূপ খনন করেছে মোট ৫৯টি। এতে বিনিয়োগ হয়েছে ৬ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। সীমিত এ অর্থে খননকৃত অনুসন্ধানমূলক কূপের ৫০ শতাংশেই গ্যাস পাওয়া গেছে। যেখানে তার চেয়ে নয় গুণ বেশি বিনিয়োগ করে বিদেশী তেল-গ্যাস উত্তোলন কোম্পানিগুলোর (আইওসি) সফলতার হার কেবল ২৫ শতাংশ। গ্যাস খাতের উৎপাদন, সরবরাহ পরিস্থিতি, গ্যাসকূপ খনন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে পেট্রোবাংলার তথ্য-উপাত্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। দেশে গ্যাস উত্তোলন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। প্রায় দুই যুগে কোম্পানি তিনটির আওতায় (এনওসি) মোট ১৮টি অনুসন্ধানমূলক গ্যাসকূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়টিতেই গ্যাস মিলেছে। এক্ষেত্রে সফলতার হার ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে বিদেশী তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি দেশে মোট আটটি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে। এর মধ্যে গ্যাস পেয়েছে কেবল দুটিতে। সে হিসেবে বিদেশী কোম্পানির সফলতার হার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির অর্ধেক, ২৫ শতাংশ।

সমকাল:

কথা না শোনা’ মন্ত্রী-এমপির কপাল পুরছে।

নির্দেশনা আমলে না নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে স্বজন প্রার্থী হওয়ায় কপাল পুড়তে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগদলীয় এমপি ও মন্ত্রীর। সাংগঠনিক শাস্তির খড়্গ নেমে আসছে তাদের ওপর। কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি। এমনকি আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা দলের মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। যে কোনো সময় মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়তে পারেন দলের কড়া বার্তা কানে না তোলা মন্ত্রীরা।

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপির স্বজন দলের নির্দেশ না মেনে উপজেলা নির্বাচনে লড়ছেন। তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে সে কথায় চিড়ে ভেজেনি! এক এমপিও তাদের স্বজনকে ভোটের মাঠ থেকে তুলে নেননি। এ নিয়ে দলের ভেতরেই দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।

এ পরিস্থিতিতে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী ও এমপির স্বজন প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেন দলের আট সাংগঠনিক সম্পাদক।

এ তালিকায় থাকা মন্ত্রী ও এমপির বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আলোচনার কথা রয়েছে বলে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা সমকালকে জানিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। অভিযুক্ত এমপির কয়েকজন, যারা দলের কার্যনির্বাহী সংসদে আছেন, তারাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। তাদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেনপুড়ছে